somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুর্নীতির কালো বিড়াল ও সুনীতির নেংটি ইদুর

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার এডিটোরিয়াল পাতায় আজ ১৫ নভেম্বর নিচের লেখাটি 'খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার' কলামে মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান-এর লেখা 'দুর্নীতির কালো বিড়াল ও সুনীতির নেংটি ইদুর' শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। ব্লগের পাঠকদের সঙ্গে লেখাটি শেয়ার করছি...................................................


বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত শব্দ কোনটি? এমন প্রশ্নের উত্তরে যে শব্দটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হবে তা হলো দুর্নীতি। ড. আহমদ শরীফ সম্পাদিত বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান-এ দুর্নীতির অর্থ দেয়া হয়েছে, যা নীতিবিরুদ্ধ; কুনীতি; অসদাচরণ।
অর্থাৎ দুর্নীতির সীমানা অনেক বড়। এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এখন দেশ জুড়ে অভিযান চলছে। আগের সরকারগুলোর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতির শেকড় ঢুকে গেছে অনেক গভীরে। দেশ থেকে দুর্নীতি উচ্ছেদ করার যে লড়াই শুরু হয়েছে তা শুরুতে প্রশংসিত হলেও এখন সেটা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। দুর্নীতি কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়; কিন্তু স্বাধীনতার পর যে দেশের গোটা অর্থনীতিই দাড়িয়ে আছে দুর্নীতির ওপর, সেখানে খুব সহজে দুর্নীতি দূর হয়ে যাবে এমন ভাবারও কোনো কারণ নেই। কেননা বঙ্গবন্ধুর আমলে রিলিফের কম্বল চুরি থেকে শুরু করে হাওয়া ভবনের দমকা বাতাসে অনেক কুনীতির খুশবুই লুটিয়ে পড়েছে।
বিএনপি ও চারদলীয় জোট ২০০১ সালে সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ শুরু করে। মাত্র তিনটি খ- বের করেই এ উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। কেননা সংবাদ সম্মেলনে যিনি শ্বেতপত্র প্রকাশ করছিলেন তার দুর্নীতি নিয়েই একজন সাংবাদিক সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে দিলে তিনি সব ফেলে কেটে পড়েন। শ্বেতপত্র প্রকাশের উদ্যোগ সেখানে ঘুমিয়ে পড়লেও বিএনপির অনেক নেতাই নতুন শ্বেতপত্রের চরিত্র হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন।
দুর্নীতি ও দস্যুবৃত্তির মধ্য দিয়েই এ দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি প্রভাবিত করেছে আমাদের সমাজকে। কোনটা দুর্নীতি আর কোনটা সুনীতি সেটা আলাদা করাই দায় হয়ে গেছে।
সমাজ জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতি স্থায়ী অঙ্গ হয়ে গেছে। পানি বা ইলেকট্রিক মিটার রিডারদের টাকা ধরিয়ে দিয়ে বিল কমানো, টেলিফোনের লাইন নিতে কিংবা টেলিফোন ডেড হওয়া থেকে বাচাতে লাইনম্যানদের খুশি করা, সিএনজির নির্ধারিত ভাড়া থেকে ১০-২০ টাকা বাড়িয়ে দেয়া, বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করাতে মোটা অঙ্কের ডোনেশন দেয়া, হসপিটালে রোগীর সিট পেতে ওয়ার্ডবয়দের বকশিশ দেয়া, এলাকায় বাড়িঘর তুলতে পাড়ার ছেলেদের মিষ্টি খেতে টাকা দেয়াসহ এমন অনেক কাজ আছে যা আমরা নিয়মিত করি বা করতে বাধ্য হই।
কর্মজীবনে দুর্নীতি ছেকে ধরে চারপাশ থেকে। বিসিএসের মতো পরীক্ষায়ও পদে পদে দুর্নীতি বাসা বানিয়েছে। যে লোকটি দুর্নীতি করে চাকরি নিচ্ছে তার কর্মজীবনে আর যা-ই হোক, সততা আশা করা যায় না। যারা ব্যবসা করছেন তাদের অনেকেই এমন সব কাজ করছেন বা করতে বাধ্য হচ্ছেন, যাতে তারা নিজেরাও মানসিকভাবে অসহায় বোধ করেন। কিছুদিন আগে দেশের একজন অন্যতম সফল ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি সব রাজনৈতিক দলকেই চাদা দিয়েছেন। ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্যই তাকে এটা করতে হয়েছে। তার খুব কাছের আত্মীয় বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদে আছেন।
এমন অসংখ্য উদাহরণ আমাদের চারপাশে আছে। এ কাজগুলো আর যা-ই হোক, সুনীতির মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমরা তা করছি কিংবা পরিস্থিতি করতে বাধ্য করছে।
দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো :
এক. দুর্নীতি চিহ্নিত করবে কে?
দুই. তার সে যোগ্যতা আছে কি না?
তিন. তার নৈতিক অবস্থান কতোটুকু শক্ত?
কিছুদিন আগেও শীতের রাতে গ্রামের মানুষের অন্যতম বিনোদন ছিল যাত্রা দেখতে যাওয়া। রাজা-বাদশাহ-শাহজাদীর কাহিনীর ফাকে গ্রামবাসীর কাছে আরেকটি আকর্ষণীয় চরিত্র হলো বিবেক। এ চরিত্রের অবস্থানকাল সবচেয়ে কম। কিন্তু এ অল্প সময়ে ওরে ভোলা মন, করিসনে তুই এতো অন্যায়, থাকতে হাতে দিন জাতীয় গান গেয়ে রাজা-মহারাজাদের মতো ক্ষমতাধরদের মনে আতঙ্ক ধরিয়ে দেয় বিবেক। যার ফলে চরিত্রটি এতো জনপ্রিয়।
দুর্নীতির রাজা-বাদশাহদের সতর্ক করবে কোন বিবেক? তাছাড়া দুর্নীতির পরিমাপ করাও জটিল।
মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস যুদ্ধ করার পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। দেশ হয়েছে শত্রুমুক্ত। সামরিক শাসনের প্রতিবাদে দীর্ঘ আন্দোলনের পর ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসক এরশাদের আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথে দেশ যাত্রা শুরু করে। স্বৈরশাসনমুক্ত হয় দেশ। দুই ক্ষেত্রেই দুটি তারিখ সাফল্য লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ যুদ্ধের ফলাফল অনিশ্চিত। কেননা এখানে কোনো তারিখ দিয়ে যেমন বলা সম্ভব নয়, ওমুক দিন থেকে বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত হয়েছে বা হবে, তেমনি এমন কোনো সূচক নেই যাতে বোঝা যাবে দেশে দুর্নীতি নেই। তাছাড়া কে এই ঘোষণা দেবে? আমেরিকা Ñ যার নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের টপ বসকেই দুর্নীতির দায়ে পদ ছাড়তে হয়। নাকি দেশটি বৃটেন Ñ যে দেশের সবচেয়ে সম্মানিত নাগরিকের মাথায় শোভা পায় ইনডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া ডায়মন্ড কোহিনূর। অথবা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালÑ যার জন্মভূমি জার্মানি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা পুরো বিশ্বে হত্যা ও লুটপাট চালিয়েছিল।
বৃটেন, আমেরিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়াসহ এসব দেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় দখল, লুটপাট, হত্যা, নির্যাতনসহ বিভিন্ন সমাজকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার অসংখ্য কাহিনী। দুইশ বছর ইনডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টকে শোষণ করেছে বৃটেন। আফ্রিকার কালো মানুষের গলায় শেকল পরিয়ে আমেরিকা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। আদিবাসীদের নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া নতুন বিশ্বে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে। আর ইহুদি নিধনসহ দুটি বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির অণ্রায়ের কথা সবারই জানা। এই কালো ইতিহাসকে তারা ঢেকে রাখতে চায়। দুর্নীতির ভেতর দিয়েই গড়ে উঠেছে পুজিবাদী বিশ্ব। আমেরিকার একেকটি দুর্নীতির পরিমাণ আমাদের দেশের জাতীয় বাজেটের চেয়েও বেশি হয়। তারা যখন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে তখন তা নিষ্ঠুর পরিহাস মনে হয়।
সংবাদপত্র তথা মিডিয়াকে জাতির বিবেক বলা হয়। একটা সময় ছিল যখন আদর্শ প্রচারের জন্য পত্রিকা প্রকাশিত হতো। সত্যজিৎ রায়ের চারুলতা মুভিতে যে ধরনের পত্রিকা ও তার প্রভাবকে বোঝানো হয়েছে, এখনকার পরিচালকদের পক্ষে সেভাবে দেখানো সম্ভব নয়। বিশ্ব জুড়েই সংবাদপত্র তথা মিডিয়া পরিণত হয়েছে সাবান বা কোল্ড ড্রিংকসের মতো প্রডাক্টে। আর বাংলাদেশে অধিকাংশ মিডিয়া রূপান্তরিত হয়েছে মালিকের ঢালে আবার কখনো লাঠিয়াল হিসেবে। মালিকের ব্যবসা রক্ষা, প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যবসা ধ্বংস করা থেকে শুরু করে হেন কোনো কাজ নেই যা মিডিয়ার মাধ্যমে করা হয়নি।
মিডিয়ার মালিকদের একটি বড় অংশের বিরুদ্ধেই এখন দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। এদের কেউ জেলে আছেন, কেউ দুর্নীতির ঘোষিত তালিকাভুক্ত, কেউ অঘোষিত তালিকাভুক্ত, কেউবা স্থগিত হয়ে যাওয়া তালিকাভুক্ত। ফলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখার জন্য যে নৈতিক শক্তি পত্রিকাগুলোর থাকার কথা ছিল তা এখন নেই। এটি সবচেয়ে বেশি চলা দৈনিকের জন্য যেমন সত্য, তেমনি সবচেয়ে কম চলা দৈনিকের জন্যও সত্য। সত্য-সুন্দর-আলোকময় পৃথিবীর কথা বলে বেশি চলা দৈনিকগুলো তাদের মালিকদের দুর্নীতির কালো চেহারায় আলো ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি বিজ্ঞাপন ও নিউজপ্রিন্ট কোটা প্রাপ্তির দুর্নীতিতে নামসর্বস্ব পত্রিকাগুলো দেয়াল পত্রিকায় পরিণত হয়েছে।
দেশ জুড়ে বিজনেস সেক্টরের মন্দার কুফল পড়েছে মিডিয়ার ওপরও। মিডিয়া জগৎ তীব্র অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে আছে। ২৪ ঘণ্টার নিউজ চ্যানেল সিএসবিকে বন্ধ করা হয়েছে, দৈনিক আজকের কাগজ অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতপ্রায় অবস্থায় আছে বেশ কিছু মিডিয়া হাউস। মাসের পর মাস বেতন না হওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে পত্রিকা বা চ্যানেল বন্ধ হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অসংখ্য সংবাদকর্মী। আগে মালিকরা নানা কৌশল করে টাকা ম্যানেজ করেছেন। এখন অধিকাংশ মালিক জেলে বা পলাতক থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে। অনেক মিডিয়া হাউসের প্রধান আয়ের উৎসগুলোও বন্ধ হতে চলেছে। মানুষের হাতে টাকা না থাকায় অনেকে পত্রিকা কিনে পড়া ছেড়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ থাকায় বিজ্ঞাপন আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে, ফলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া হাউসগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন কমে যাওয়ার বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন মিডিয়া এক্সপার্টরা। পত্রিকার বিজ্ঞাপনের বড় খাতগুলোর মধ্যে আছে সরকারি, ল্যান্ড ডেভেলপার, মোবাইল কম্পানি এবং নতুন প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন। কিন্তু সরকারি ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রম না থাকায় সরকারি টেন্ডার হচ্ছে কম। ল্যান্ড ডেভেলপারদের বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে এ সেক্টরে কোনো বিজ্ঞাপন নেই। মোবাইল কম্পানিগুলো ভিওআইপি জটিলতায় পড়ে যেটুকু না দিলেই নয়, এমন পরিমাণ বিজ্ঞাপনই শুধু দিচ্ছে। যেহেতু ব্যবসা কমে গেছে তাই নতুন প্রডাক্ট কেউ বাজারে ছাড়ছে না, ফলে বিজ্ঞাপনও আসছে না। এসব কারণে বেশ কিছু পত্রিকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটিই ঝুকিতে আছে। তাদেরও বিজ্ঞাপন কমে গেছে। টাকা ফেরত পাওয়া যাবে কি না এ ভয়ে টাকা বিনিয়োগ করছেন না প্রডিউসাররা। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী তিন মাস পর কিভাবে অধিকাংশ চ্যানেল চলবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মিডিয়া সেক্টরের মতো প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই মন্দা যাচ্ছে। যে কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললেই জানা যাবে এ হতাশার কথা। পুরো জব মার্কেটেই এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে ।
বর্তমান সরকার দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে এমন ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে পেরেছে আক্ষরিক অর্থেই যাদের স্পর্শ করার ক্ষমতা কারো ছিল না। এক বছর আগেও বিষয়গুলো স্বপ্নের মতো ছিল। কিন্তু এরপরও এ সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সমালোচনা হচ্ছে, তারা সুপরিকল্পিতভাবে না এগিয়ে এতো বেশি ফ্রন্ট ওপেন করেছে যার ফলে অনেক কিছু সামলাতে তো পারেইনি; বরং বহু ক্ষেত্রে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। বাংলা ভাষায় একটি প্রচলিত বাগধারা আছেÑ ঠগ বাছতে গা উজাড়। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা দাড়িয়েছে সে রকম। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের মতো অসাধারণ ঘটনাও নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন কোন পরিস্থিতি ভালোÑ দুর্নীতিযুক্ত সমাজ কিন্তু সবার কাজ বা আয় আছে, নাকি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ কিন্তু কারো কাজ বা আয় নেই?
দুর্নীতির কালো বিড়ালের বিরুদ্ধে সুনীতি বাঘ হয়ে দাড়াতে পারেনি; বরং সরকারের অদূরদর্শিতার জন্য তা পরিণত হয়েছে নেংটি ইদুরে। কার্টুন চরিত্র টম অ্যান্ড জেরির মতো এ ইদুরকে এখন কালো বিড়ালই দাবড়ে বেড়াবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৫
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×