১) মেয়েরা নির্যাতিত হয় তাদের পোশাক-চলাফেরার দোষে।
২) আপনার মেয়েকে বাইরে বের হতে নিষেধ না করে আপনার ছেলেকে বলুন মেয়েদের সাথে ভদ্র আচরণ করতে।
৩) ফুল থাকলে তো ভ্রমর আসবেই।
৪) ধর্ষণকারীদের জনতার হাতে দিন, দেখুন কিভাবে এগুলো বন্ধ হয়।
৫) আপনার মা-বোনদের সাথে এই আচরণ করলে কেমন হবে?
এতো গেলো মানুষের বিচার,তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। একেক জনের একেক কথা।
এবার আসুন দেখি আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুর'আনে কি বলেছেন।
১) "মুমিনদের বলুন তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি নত রাখে।" (সূরা নূরঃ৩০)
২) "মুমিন নারীদের বলুন তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি নত রাখে।" (সূরা নূরঃ৩১)
৩) "তারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে।" (সূরা নূরঃ৩১)
৪) "তোমরা গৃহে অবস্থান করবে,জাহিলি যুগের মত নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াবে না।" (সূরা আহযাবঃ৩৩)
৫) "হে নবী, আপনি আপনার পত্নীগ্ণকে, কন্যাগণকে ও মুমিন নারীদের বলুন তারা যেন তাদের চাদরের একাংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়,এতে তাদের চেনা সহজ হবে ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না।" (সূরা আহযাবঃ৫৯)
এখন লেটস কাম টু দা পয়েন্ট। আল্লাহ নারী-পুরুষের জন্য যে বিধান দিয়েছেন কেউ তার উল্টা করলে তার সাথে উল্টাটাই হবে।
মুমিন নারী ও মুমিন পুরুষদের বলা হয়েছে তাদের দৃষ্টি নত রাখার জন্য। অর্থাৎ কোন পুরুষ বেগানা নারীর দিকে তাকাবে না,আর কোন নারীও বেগানা পুরুষেরদিকে তাকাবে না। হ্যাঁ চলতে ফিরতে প্রয়োজন হলে দেখতে হবে,কিন্তু খারাপ দৃষ্টিতে বা কামনার দৃষ্টিতে নয়।
নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে দৃষ্টির পর্দা করা ফরজ। হাদিসে এসেছে,"প্রথম দৃষ্টি তোমার আর দ্বিতীয় দৃষ্টি শয়তানের।"
আল্লাহর এই নির্দেশ মান্য করলে নারীরা কি নিরাপদ থাকবে না?? অবশ্যই থাকবে।
এবার আসি নারীর পর্দায়। নারী তার গোপন সাজসজ্জা প্রদর্শন করে বেড়াবে না। সূরা নূরে ৩০-৩১ আয়াতে উল্লেখিত কয়েকজন পুরুষ ব্যতীত আর কোন পুরুষকে সাজসজ্জা দেখানোর অনুমতি নাই। কোন নারী সাজসজ্জা প্রদর্শন করে বাইরে গেলে তার সাথে খারাপ ছাড়া ভালো কিছু হওয়ারই কথা না। নারী যখন পর্দা ছাড়া বাইরে যায় তখন শয়তান তাকে আরো সুন্দর করে পুরুষের চোখে দেখায়। সুতরাং অপর পর্দাহীন পুরুষ দ্বারা তার সাথে অসদাচরণ, ধর্ষণ ঘটানো হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
নারীদের হুকুম দেয়া হয়েছে গৃহে অবস্থান করার জন্য আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে নিজেদের ঢেকে নেওয়ার জন্য। এতেই তাদের চেনা যাবে ফলে তারা উত্যক্ত হবে না। এই যুগে যেহেতু আমাদের পড়াশোনা করার জন্য ও আনুসঙ্গিক কাজে বাইরে যেতেই হবে সুতরাং আমাদের সেভাবে পর্দা মেইনটেইন করেই যেতে হবে। একজন ভালো মহিলাকে তার এই শরয়ী পর্দার দ্বারাই চেনা যাবে,টাইট কাপড়ে উলঙ্গ থাকার শামিল বা সাজসজ্জা প্রদর্শন করে বেড়ানো কখনো একজন ভালো নারীর পরিচয় না।
একদিকে যেমন পুরুষ নিজেদের দৃষ্টি নত রাখবে,অন্যদিকে নারীরা পর্দা করে বাইরে যাবে। সংযত হয়ে চলাফেরা করবে।তাহলেই যত ধর্ষণ, ইভ টিজিং, উত্যক্ত করা বন্ধ হবে আল্লাহ চাইলে। যতই ব্যানার হাতে আন্দোলন করুন,যতই আইন-কানুন তৈরী করুন। পরিণাম সেই একই থাকবে। যেসব দেশে ইসলামী আইন চালু আছে,নারীরা যথাযথ পর্দা করে সেসব দেশে বছরে কয়টা ধর্ষণ হয়?? হাতে গোনা গেলে ৫ বছরে হয়তো ২-৩। আর বাংলাদেশ ভারত সহ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গুলোতে সপ্তাহেই গড়ে ২-৩ টা। বছর শেষে হিসেব করে দেখবেন কি ভয়াবহ পরিসংখ্যান দাঁড়ায়!!! শুধুমাত্র পর্দার খেলাফ,ইসলামী শাসনতন্ত্রের অভাবেই এসব হচ্ছে। তাই সচেতন যদি হতেই হয় সঠিক দিক দিয়ে সচেতন হোন। জাযাকাল্লাহ।