*
*
*
*
*
১.
বহু কাংক্ষিত বৃষ্টির জলে
ধুয়ে যায় গাছের পাতায় জমা
অনাহুত সমস্ত ধুলিকনা।
ভেসে যায় রাজপথ
ভেসে যায় নগরীর
পথে পথে উড়ে বেড়ানো
ভবঘুরে ছেঁড়া পলিথিন।
শহর ভিজিয়ে বৃষ্টি
চলে যায় গ্রামীন মেঠপথ ধরে
লাজুক কিশোরী তার ভেজা উঠোনে
নেচে বেড়ায় হরিণীর মতো
তার ভেজা শরীরে থেকে
হিমেল বাতাস দু'হাত ভরে
কচিদুর্বার গন্ধ চুরি করে নেয়।
বৃষ্টির জলে হেসে ওঠে নদী
সাগরের সাথে মেতে উঠে
উন্মত্ত সঙ্গমে,
সেই সঙ্গমের শীৎকারে
কেঁপে উঠে বুক, অপেক্ষায় থাকা
মাঝির তরুনী বধুটির।
অতঃপর,
সবার স্বার্থসিদ্ধি শেষে বৃষ্টি
ফিরে আসে মায়া হরিণীর চোখে
টলটল করে অপেক্ষায় থাকে
আরেকটি উত্তপ্ত দিনের।
২. (ক)
প্রতি রাতে পুরোনো ক্ষতের ব্যাথা উদযাপনে
সাথি হয় অমর এক ফিনিক্স পাখি।
যার প্রতিটি পালকে লেপ্টে আছে
পরিচিত সব রং
যার কন্ঠে বিষাদী সুর
যার আর্তনাদের কম্পনে বৃষ্টি নামে।
রং আর বৃষ্টির সঙ্গমে আসে
দারুন মায়াবী বিভ্রম।
একটু নীরবতার আকুলতায়
চেপে ধরি তার কন্ঠনালী,
তখন রং গুলো সব পালক ছেড়ে
উঠে আসাতে চায় দু’হাত বেয়ে।
তার কন্ঠ ছেড়ে
রং গুলো ঝেড়ে ফেলি,
ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট
আগুন তার গায়ে ঢালি।
পাখী তখনও গান গায়
আমি আগুন ডালি
যতোটুকু সওয়া যায়।
একসময় ক্লান্তি আসে
আসে দুচোখ জুড়ে ঘুম।
তন্দ্রার ঘোরে দেখি
জ্বলে ছাই হওয়া পাখির
মায়া ভারা চোখ।
আমি জানি পাখি জেগে উঠছে আবার,
ভীষন ঘুম পেয়েছে, আজ বেঁচে থাক
আগামীকাল না হয় পোড়াব আবার।
২.(খ)
মনের কোনায় লুকানো কান্নাগুলো
যেনো রুপকথার ফিনিক্স পাখি
সুরেলা গানে হৃদয়ের সুখের দিনগুলো জাগাতে গিয়ে
আমাকে আবার পোড়ায় দুঃখের দহনে
আমি পুড়ে যাই, ছাই হয়ে যাই
আমার ফিনিক্স ডানার দুঃখগুলো আবার
ছাই হতে জেগে উঠে
আমাকে মুক্তি পেতে দেয়না
আমি নিজেকে পুড়িয়ে ছাই করে দেই
আবার জেগে উঠি ছাই থেকে
ক্লান্তিতে ঘুম আসে
তবু আমি জেগে থাকি
আমার মুক্তি নেই
তন্দ্রাহারা চোখে বারবার দেখি
ফিনিক্স পাখির ডানায় ভর করা
আমার দুঃখগুলোর জেগে উঠা। ----- নিশা
৩.
পুড়ে খাঁক
হয়ে যাক
ছাই হয়ে
উড়ে যাক
দূরে যাক সব
বিষাদি অনুভব।
ধোঁয়াটে হয়ে যাক,
মুছে যাক,
ভেসে যাক সব,
আজ হোক,
বৃষ্টি উৎসব।
চেয়ে থাক
ওরে কাক
দৃষ্টির তীর
করে তাক,
চোখে রাখ সব
কেমন করে
জীবনধারী মিছিলগুলো সব
ঘুমাচ্ছে নীরব।
***আমার ব্লগার নিশার সাথে দারুন একটা সম্পর্ক। আমার মেসেজ বক্সে তার আর আমার প্রায় ৮০০০ মেসেজ আছে। তার প্রেম বিষয়ক প্যানপ্যানানী শুনতে শুনতে হয়তো ভাব নিয়া তারে কিছু বললাম সে সেইটারে সাজাই গোছাইয়া আমারে ফিরৎ দেয়। উপরের সবকয়টা লেখাই এমন। শুধু ২.(খ) পুরাটাই তার।
অনেক সময় আমি ও নিশা দুজনে মিলে নোমানরে অনেক পেইন দেই তাই পোষ্টটা নিশারে ও নোমানরে উৎসর্গ করলাম
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:৩৭