somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাঙামাটি থেকে কাপ্তাই!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




প্রথম পর্বঃ কাপ্তাই লেক-এ নৌভ্রমণ --------

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই গোসল সেরে রেডি হয়ে নিলাম। সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে, রাতের বাসে ঢাকায় ফিরতে হবে, এমনই প্রোগ্রাম! নাস্তা সেরে সবাই বেরিয়ে এলাম হোটেল থেকে, আজকের গন্তব্য কাপ্তাই। সেই ঘাটে দু’টো নৌকা বাঁধা। একসময় যাত্রা শুরু হলো আমাদের। আজকেই শেষ দিন তাই নৌকাতে গল্পসল্প খুব বেশী চলছিল, চলছিল কত্ত রকমের ছবি তোলা।

দুই ঘন্টার মত সময় লাগলো আমাদের কাপ্তাই পৌছাতে। কাপ্তাই ঘাটে এসে আমার" চক্ষু দু'টি ছানাবড়া, মুখখানি মোর হাঁড়ি"----!!! নামা সে আরেক জ্বালা। এত নৌকা জমে আছে ঘাটে, আমাদের নৌকা ঘাট পেল না। আমরা নৌকা থেকে নেমে আরেক নৌকায়, তারপর আরেক নৌকায়, তারপরে আরেক নৌকায়----- এভাবে ৩/৪টা নৌকা পেরিয়ে ঘাটে এলাম। ঘাটে নেমে অবাক হবার পালা, চারিদিকের সব মানুষের চেহারা, ভাষা অন্যরকম। আমরা যেন এখানে পরদেশী! ঘাট থেকে কিছুদূর হেঁটে একটা হোটেলে উঠলাম আমরা। ফ্রেশ হয়ে, সবার ব্যাগ রেখে ঘুরতে বের হব আমরা। গ্রুপ ক্যাপ্টেন জানালেন, “কাপ্তাইতে কোথাও একটা ঝর্ণা আছে, গাইড সাথে নিয়ে খুঁজে যেতে হবে। ওখানে যারা যেতে চান না, তারা নেভি পার্ক দেখতে যেতে পারেন। খুব ভাল লাগবে। ঝর্ণা দল আর নেভি পার্ক দল একসাথে হয়ে আমরা দুপুরের খাবার খাব। এর পরের স্পট রাসেল পার্ক দেখা।“


নৌকা ছাড়ার সাথে সাথেই আড্ডা শুরু, আজকেই নৌভ্রমণের শেষ দিন।




কত যে পোজ নিয়ে ছবি ওঠা!!! :)





লেক-এর এমন রূপ আবার কবে দেখা হবে, আদৌ হবে কী না কে জানে!!


দূরের কোন পাহাড়ে বৃষ্টি নেমেছে!


ছোট ছোট এমন দ্বীপে বাস করে অনেকেই!


এক সময় কাপ্তাই চলে এলাম, দেখা যাচ্ছে কাপ্তাই ঘাট।


ঘাটের পাশেই হাট বসেছে!


আমরা গেলাম নেভি পার্ক দেখতে। এডভেঞ্চার প্রিয় আরেক দল গেল ঝর্ণা আবিষ্কার করতে!! ছোট ছোট সবুজ পাহাড়ের টিলা, মাঝে মাঝেই ছোট ছোট লেক। ছোট সেই লেক-এর সাথে মূল লেক-এর সংযোগ আছে। ঢুকেই হারিয়ে গেলাম সবুজ অরণ্যে। দু’চোখ ভরে শুধুই দেখলাম কিছুক্ষণ, তারপরে ক্যামেরা হাতে নিলাম! দলের কেউ কেউ কোনদিকে গেল, কে জানে! ছো্ট ছোট প্রমোদ তরী, স্পীড বোটে মূল লেকে বেড়ানোর ব্যবস্থাও আছে। আরো যে কত কী আছে, অত কিছু দেখার সময় কৈ। ভিতরেই বাংলা কলা আর দেশী পেয়ারা কিনে সবাই খেলাম। আমি এক কাপ কফিও খেলাম। লাঞ্চ-এর আগেই ফেরার প্রোগ্রাম আছে, তাই তাড়াতাড়িই ফিরতে হলো।



এভাবে সবুজের মাঝে আঁকাবাঁকা পথ চলে গেছে নেভি পার্কের ভেতরে!!




আমাদের দল চলেছে ঐ টিলার উপরে কি আছে দেখতে।



ওই টিলার উপর থেকে এমন দেখা যাচ্ছে পার্কের লেক এবং মূল কাপ্তাই লেক।



প্রশান্তি নিয়ে সবার ফিরে আসা।





পার্কের ভিতরে এমনই সুন্দর সুন্দর স্পট।



বনচয় কুটিরে দলের কয়েক জনের আবারও পোজ দেয়া।


রাস্তার পাশে থেকে তোলা। এইসব নৌযানেই লেকে ভ্রমণ করা হয়।


এই স্পটটি জাহাজ আকৃতির, নিচে বয়ে চলেছে শান্ত পানির লেক। খুব ভাল লেগেছে আমার। বাকিটা সময় আমি এখানেই কাটিয়েছি, দলছুট হয়ে। অনেক অনেক ছবি তুলেছি এখান থেকেই!!






ওখানে দাঁড়িয়েই তোলা এই ছবিগুলো।


এখান থেকে বেরিয়ে, দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই রওয়ানা হলাম রাসেল পার্কের দিকে। আজ আর নয়। ওখানে বেড়ানোর ছবি আরেকদিন হবে -------------



ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
৩৫টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×