somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে--------- ভুটান ভ্রমণ ( দুই )

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




থিম্পু ভুটানের পশ্চিম অংশে অবস্থিত দেশটির রাজধানী শহর। শহরটি হিমালয় পর্বতমালার একটি উঁচু উপত্যকায় অবস্থিত। অতীতে এই শহর দেশটির শীতকালীন রাজধানী ছিল। ১৯৬২ সালে শহরটিকে দেশের স্থায়ী রাজধানী করা হয়।

চারপাশটা এতটাই শান্ত, ঢাকার কোলাহল থেকে গিয়ে হঠাৎ অদ্ভুত লাগছিল। নদী, বন, পাহাড় আর পর্বত এর এই দেশে শহুরে কাঠখোট্টা ভাবটা নেই বললেই চলে। তাছাড়াও রয়েছে নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সৌন্দর্য৷ সারা দেশটি পাহাড়ে ঘেরা৷ পাহাড়ি চু নদী যেন কটিবন্ধের মতো বেষ্টন করে রেখেছে এই সুন্দরী দেশকে৷ ভ্রমণের ফাঁকে ফাঁকে কখনও দূরে বা কখনও কাছে এসে ধরা দেবে চু নদী৷ মাত্র আট/নয় লাখ মানুষের দেশ ভূটান। তাই পুরা দেশ টাই নিরিবিলি, এক শহর থেকে আরেক শহরে যাবার পথে রাস্তা থেকে দুরের গ্রামগুলকে দেখে ঠিক যেন “ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়” বলে মনে হয়েছিল।


-------------------------------------থিম্পু শহরে ঢুকলাম আমরা।



-------------------চারিপাশে পাহাড়ে ঘেরা আমাদের হোটেলটি।

দুপুরের খাবার সেরে, কিছুক্ষণের বিশ্রাম শেষেই বেরোলাম ভূটান শহর ঘুরে দেখতে। আমাদের হোটেলের নাম সাংগ্রীলা , শহরতলীতে অবস্থিত। সাংগ্রীলা শব্দের অর্থ নাকি ড্রাগন। অনেক হোটেল বাড়ীঘর চারপাশে, একটা বাড়ী থেকে আরেকটা বাড়ী উঁচু অথবা নিচুতে। চারপাশে উঁচু পাহাড়ে ঘেরা। সকাল সাতটার আগে সূর্য্য দেখবার উপায় নেই। সুর্যোদয় দেখতে হলে পাহাড়ের মাথায় উঠতে হবে। হোটেল থেকে বেরিয়ে সারা শহরটা ঘুরে আমরা এসে থামলাম ক্লক টাওয়ার পয়েন্টে।

বেশ সুন্দর আবহাওয়া , হালকা ঠান্ডা। হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখলাম সে দেশের ঐতিহ্যমন্ডিত ঘরবাড়ী। কাঠের কারুকার্যে ভরা প্রতিটি বাড়ী। মানুষ গুলো দেখতে অনেক টাই তিব্বতি বা চিনাদের মত, স্বভাব অনে্ক বেশি বিনয়ী এরা। ভুটানের আরেকটা মজার ব্যপার হচ্ছে স্কুল, অফিস, মন্দিরে ট্র্যাডিশনাল পোশাক বাধ্যতামুলক। এই ব্যপারটা দেশটাকে অনেক বেশি রঙিন করেছে। স্কুল কলেজ ছুটির পরে ছাত্রছাত্রীরা ফিরছিল, দেখতে বেশ লাগছিলো। ওদের দেখেই মাথায় গেঁথে নিলাম, মেয়েদের এই পোশাক একটা কিনতেই হবে আমার!

সন্ধ্যের অনেক আগেই সূর্য্য চলে গেল পাহাড়ের আড়ালে। চায়ের তেষ্টা পেতেই চারজন গিয়ে ঢুকলাম একটা ছোট দোকানে। দোকানী তিনজনই মেয়ে। সবাই হিন্দিতেই কথা বলছে। ইন্ডিয়ান পর্যটকও আছেন অনেক। বেশীরভাগ ছেলেমেয়েরাই খাচ্ছে পানিপুরী। আমি লাল চা খেয়ে বেরিয়ে এলাম। আরো কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে ফিরে এলাম হোটেলে।----------


আশেপাশে অনেক বাড়িতেই এভাবে মরিচ রোদে দেয়া আছে। আমাদের হোস্ট উগানের কাছে জানলাম 'এমাদাতশা' এদের জাতিয় খাবার। আর এর প্রধান উপকরণই হলো লাল মরিচ। সাথে পনির দিয়ে রান্না করা হয়।


--------- শহরের দিকে যেতেই চোখে পড়বে Tashichho Dzong । এটি একটি দুর্গ ও মনাস্ট্রি!



-------------------------------------------চলে এলাম থিম্পু শহরে।


------------------------------------------------এটাই ক্লক টাওয়ার।


নির্দিষ্ট পার্কিং-এ গাড়ী রেখে ঘুরতে বেরোলাম আমরা। আমাদের চার জনের জন্য এই ছোট গাড়ীটা।





-------------------------ক্লক টাওয়ারে এক সময় সাঁঝবাতি জ্বলে উঠলো।



নির্মল বাতাসে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিয়ে আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে হোটেলে ফিরে এলাম আমরা।

আমার ভুটান বেড়ানোর আরো পোষ্টের লিংক এখানেঃ

পাইন বনের দেশে ---------------!!

আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে--------- ভুটান ভ্রমণ - (১)



ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×