একটা টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির বাৎসরিক কামাই কত হইতে পারে, আপনেরা কেউ জানেন? অনেকেই জানেন আবার অনেকেই না, আসলে বেশির ভাগই না, খালি জানে মে্লা---আর সেইটা যদি হয় গ্রামীনফোনের মত কোম্পানি, তাইলে? আমিও মুর্খ মানুষ, তেমন কিছুই জানিনা। খালি জানি হেরা বোলে মেলাআআ টাকা কামায় আর হেগো কর্মচারীগরে মেলাআআ টেকা বেতন দেয়। আমি যদি আরেকটু শিক্ষিত হইতাম, হেগ কোম্পানির বুটকি তনিমা হামিদের (বড় অপিসার) মত, তাইলে আমিও চেষ্টা করতাম হেগ অইখানে ভর্তি হওয়ার লেইজ্ঞা। মাগার আমিত অশিক্ষিত, ভর্তি হমু কেমনে? যোগ্যতার বাইরে আরেকটা উপায় অবশ্য আছে সেটা হইছে চোষা পদ্ধতি, যা করতে আরো বেশী যোগ্যতা লাগে। অত যোগ্যতা আবার আমার নাই। তয় থাকলে চান্স নেয়া যাইতে পারত। বেশ কয়েক বছর আগে বিদ্যুৎ কুমার বসু নামে একজন আছিল, তার আবার একটা চোষা চেলা আছিল, নামটা মনে হয় আমোদ রঞ্জন কর্মকার, হেরা নাকি কিছু লোক নিয়োগ দিছিল, উলটা পাল্টা পোলাপান নিছিল। তখন নাকি মেট্রিক পাস করা পোলাপাইনো নকল সার্টিফিকেট দেখায়া ঢুইকা গেছিল। তখন একটা চান্স নেওন যাইত অবশ্য। যাউগগা, ওইসময় নাকি কোম্পানির মেলা কাস্টমার বাড়াইছিল ওই কাইল্যা বেডায় আর লাভ-ও মেলা করছিল। কত টাকা কামাইছিল ওই ডাটা আর বরবটি না দিলে আপনেরা কইবেন মুর্খ হালায় কি লেখছে? তাই কইতাছি ডাটা ইন্টারনেট থিকা খুইজা বাইর কইরা দেখেন, আমি হাছা কইলাম কিনা? আমি তো মুর্খ-ই। অস্বীকার তো করি নাই।
মাগার এইযে এই কোম্পানির কামাই বাড়লো, এতো টাকা সব কি দেশে আছে? না বড় একটা অংশ দেশের বাইরে চইলা গেছে? কেউকি কখনো খুজছে? খুজলে সে নিশ্চয়-ই লাভবান হইত, হইছেও কেউ কেউ। তার মুখটা তো বন্ধ করতে হইত অথবা হইছে? লেন দেনের একটা ছুতা পাওয়া যাইত। ইসসঃ কামাই করার একটা চান্স আছিল, আফসোস!!!!!
থাক, ওইসব অতীত কথা টাইনা লাভ নাই। বর্তমান নিয়া একটু পুন্দা পুন্দি করি। ইদানিং শুনতাছি গ্রামীনফোনে নাকি কর্মচারীরা ট্রেড ইউনিয়ন করছে। আমি এইডা কিছুটা বুঝি। আপনা স্বার্থের ব্যপার তো? তাছাড়া আমাগো মত দিন মজুরেরা অথবা কোম্পানির কামলা শ্রেনীর লোকেরা এইটা ভালোই বুঝে। তবে বিস্তারিত তথ্য দিতে গেলে লেখাটা এত বড় হইব যে কেউ পইড়া মজাই পাইব না। কারন এইখানে কোড অফ কন্ডাক্ট, আইনের ধারা/ উপধারা, দেনা-পাওনা, প্রাপ্তি-যোগ্যতা, অধিকার বিভিন্ন বোরিং ব্যাপার আছে, যার ফ্যাচর ফ্যাচর শুনতে ভালও লাগব না। তাই ব্যাপারটার জাগরন যেইভাবে ঘটে সেইটা সংক্ষেপে ছিল এইরকম -
"Following GP’s unilateral announcement of 250 job cuts in May 2012 where retrenchment laws were infringed, GPEU launched a campaign, “Break the silence, get organised and form a union.”
যারা শিক্ষিত তারা পইড়া বুইজা নেন। না বুজলে কষ্ট না করলেও চলব। আবার মত ফ্যাল ফ্যাল কইরা চাইয়া থাহেন। তয় এইটুকু বুঝতে পারবেন, এইটা হইল শুরু।
২০১০ সালে এই গ্রামীনফোন নথিবদ্ধ হয় সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনে। তার মানে হইতাছে হেরা শেয়ার বেচতে পারব আর পাবলিকের কাছ থিকা টাকা আসল হিসাবে খাটায়া আসল নকল মিলাইন্যা মুনাফা দেখায়া ইধার কা মাল উধার করতে পারব। ওগো দোষ দিয়া লাভ নাই, এইটা বেবাকে করে। অন্যে করলে হয়ত অল্প যায় আর এরা করলে বানের পানির মত দেশের টাকা বাইরে চইলা যায়। বুইঝা দেখেন এরা হইতাছে দেশের এক নাম্বার করদাতা। কতলা টাহা জানি খালি দিয়ালায়------ আল্লাগো ! যাউজ্ঞা কথা হইল ওই সময় থিকা এইটাও কন্ডিশন যে মুনাফার ৫% ইমপ্লয়ি অর্থাৎ কর্মচারীদের মধ্যে বিতরন করতে হইব। আমার কাহিনী আসলে এইখানে।
(কর্পোরেট বাঁশা)
------Update on 5% (2010-2012)---------
As you all know, earlier, management has declared to disburse 5% ( 2010-2013) among all eligible employees.
Now they think 5% is payable only for year 2013 not for 2010-2012. Still out of good spirit they wanted to disburse 5% of profit 2010-2013.
But they had to change their decision as employees are claiming 5% with interest for year 2010-2012.
In this situation, they have decided to settle this issue again in court whether they should disburse the 5% among employees or not, then the question of interest will come.
(অশিক্ষিতের বাঁশা)
আমরা অশিক্ষীত মুর্খ, এত বুইঝা কি কাম কন? আমরা তো কর্পোরেট না, আমরা হইছি দুরবীন। দুই পায়ের চিপায় প্যান্টের সুতা খোলা থাকলে জাইঙ্গার কালার ধইরা ফালাই। তাই অত বুইঝা কাম নাই। কালার বোঝানোটাই এইখানে উদ্দেশ্য।
খালি মনে হয় এই দেশে ক্ষমতাবান বেইন্যাগরি আইন চলে, যহন যেই পার্টি ক্ষমতায় আসে সেই পার্টিরে মেলা টাকার ক্ষমতা দিয়া পালা কুত্তার মত বশ কইরা রাখে, টাকার জোরে রফিক সাবের মত বড় উকিলরেও বশ করে, তকমার (বেরেন্ড) জোরে পরথম আলুর মত পত্রিকা আর বড় বড় চেলিব্রেটিরেও বশে রাখে, বশে রাখে মানুষের আবেগ, নৈতিকতা আর আধুনিকতা। দেশের টাকা দেশের মাটিত থাহে কয় টাকা আর বাইরে যায় কয় টাকা? হের হিসাব কারো দরকার আছে, নাই? মাস শেষে বেতন আসে, ভালা ভালা জায়গায় খাওন আর চিকিৎসার ওপর ডিস্কাউন্ট দেয়। পড়ালেখা খুব একটা না করলেও চোষার অভ্যাস থাকলে ভালা করন যায়, আরো কর ফ্যাসিলিটি-------
অনেক তথ্য ডাটা পটল ভ্যান্ডি আর উইস্তা দিতে পারলে মনে হয় ভাল হইত। মাগার দিয়া কি লাভ? বরং পরতে বোড় লাগত। চাইলে চোখ মেইলা তাকান, পাইয়া যাইবেন। আমরা আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর লইয়া কাম কি? মাগার জাহাজ যখন ছোট্ট নাও গুলানরে ডুবায়া দিয়া যায় অথবা নাও ডিরে তোয়াক্কাই করে না, তখন ইচ্ছা করে দুরবীনের মধ্য দিয়াই জুতা ছুইরা মারি। ছোট বেলায় গার্ল ফ্রেন্ডরে দুরবীন দিয়া দূর থিকা দেইখাই যেমন ছুইতে ইচ্ছা করত তেমনে। বান্দরের লগে বান্দরের পিডা ভাগ। আমরা খাঁচার সামনের দর্শক, দুরেত্বে হয় বাদাম দিমু নইলে দিমু ঢিলা। কতক্ষন দেইখা, চিড়িয়াখানার ১০১ নম্বর খাঁচা থেইক্কা অন্য দিকে রওনা দিমু, চেষ্টা কইরা দেহি কুমিররে দুইডা ঢিল মারন যায় কিনা!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


