কিছুদিন ধরে হাঁদারাম বিএনপিকে ফরমালিন দিয়ে বাচিয়ে রাখার কথা বলে মার্কেটে একটা ফান চাঊর হয়েছে, যার প্রধান কুশীলব আমাদের প্রান প্রিয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলিগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আর যাকে ছুয়ে গিয়েছে এই মধুর বানী বীনার সুরে তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রাক্তন বিরোধী দলিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
যারা বিগত কয়েকদিনে পেপার পত্রিকা, টিভি মিডিয়া অথবা অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে বিএনপি নেত্রীর জনসভার ভাষন এবং তার উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্বেলন উপভোগ করেননি তারা বিস্তারিত পড়ে নেবেন অথবা দেখে নিবেন। কথা দিচ্ছি, আদিম একটা আনন্দ পাবেন দেশের গন্যমান্য নারী নেত্রীদের এই কুত্তার মত কামড়া কামড়ি দেখে। খারাপ ভাবে বললাম, তাই না? চুলোচুলি হলে ভাল হতো? না থাক, Cat Fight বলি অথবা Dog Fight । ইংলিশে বললে এতটা খারাপ লাগেনা। একজন আরেকজনকে পচাচ্ছেন অথবা আরো পচতে দিচ্ছেন। আবার তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্বেলনে আক্রান্ত নেত্রী ভারাক্রান্ত নেত্রীকে ফরমালিন খাওয়াচ্ছেন। আসলে এরা কেউ কি টাটকা? নাকি ক্যামিকেলে ভেজা, নাকি পোকায় খাওয়া নাকি অন্যকিছু? আসলে এদের স্ট্যাটাস কি?
এক নেত্রী (ম্যাডাম) বললেন, “এদের (সরকার) পচতে আরো একটু সময় দিতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে,”।
অন্যদিকে আরেক নেত্রী (আপা) বললেন, “পচলটা কে, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তিনিই তো পচে গেছেন। আমরা বিএনপিকে ফরমালিন দিয়ে তাজা রাখার চেষ্টা করছি।”
এই বিএনপি হাঁদারামরা কি জানে কাদের সাথে কথা বলছে? কাদের সাথে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় নেমেছে? তারা আসলে যা করছে তা শিশুতোষ আচরন ছাড়া আর কিছুই না। সুন্দর সুন্দর কথা আর ভাসা ভাসা ভাষা দিয়ে এই প্রতিযোগীকে যে পরাহত করা যাবে না তা তাদের বুঝতে এতো সময় লাগছে কেন? বিএনপির মত বৃহৎ এই দলটি আসলেই ফরমালিন খেয়ে টিকে আছে। কারন ফরমালিনের ফলমূল এবং শাক-সব্জি যেমন পুষ্টিগুন অবলুপ্ত হয়ে ক্ষতিকারক বিষে পরিনত হয় তেমনি এই দলটি বিষাক্ত হয়ে নীল বর্ন ধারন করেছে। দুঃখের রঙ নীল, তারা এখন বিষাক্ত দুঃখি। দেশ আর দেশের মানুষকে উদ্ধার করাতো দুরের কথা নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েই সঙ্কায় আছে। দুই দিন পর পর শুধু শীৎকার ধ্বনি দেন আর বলেন, "গনতন্ত্র গেল রে.......... গেল"। :!>
অন্যদিকে অতি চতুর বুদ্ধিসম্পন্ন শৃ্গাল তুল্য ক্ষিপ্রতায় যারা বিএনপিকে ফরমালিন খাইয়ে যাচ্ছেন তাদের কি আদৌ টিকে থাকার জন্য ফরমালিন অথবা ক্যামিকেলের প্রয়োজন নেই? হাদারাম ওই দলটি কেন আওয়ামীলিগকে পাল্টা জিজ্ঞাসা করছেনা যে তারা কিভাবে টিকে আছে এই ফরমালিনের যুগে, ফরমালিনের দেশে, ফরমালিন ছাড়া? কি তাদের গোপন রহস্য? জিজ্ঞাসা করলে হয়তঃ উত্তর পেতেন, "না, তাদের ফরমালিন প্রয়োজন নেই কারন তারা কেউ জীবিত নন, তাই টাটকা থাকার প্রশ্নই আসে না"।
জীবিত অথবা টাটকা মাছ, ফলমূল, শাক সবজি জাতীয় কিছু অথবা কাউকে সবুজ অথবা আরো টাটকা রাখার জন্য এবং অনেকদিন সেটাকে মার্কেটে বিক্রয় উপযোগী রাখার নিমিত্তে এই ফরমালিন নামক ক্যামিকেলের ব্যবহার। যেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখন প্রকাশ্যে বিলি বন্টন শুরু করেছেন আর বনি বা শাঈদ করেছেন বিএনপিকে দিয়ে। পুরো দলটাকেই ফরমালিনে চুবিয়ে ছেড়েছেন। বিএনপির প্রয়োজন হলেও আওয়ামীলিগের কিন্তু নেই। কি তাদের গোপন রহস্য? আসলে গোপন রহস্য হচ্ছে উনারা এখন টাটকা থাকার চিন্তাই করছেন না কারন তারা কেউ জীবিত নেই। এই আওয়ামীলিগের মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই ৭৫-এ বাকশাল গঠনের মাধ্যমে। এরপর মেজর জিয়া যাকে আবার জাগিয়ে তুলেছেন ভুল বশত সেটা আর জীবিত কোন আওয়ামীলিগের Reincarnation ঘটেনি। ঘটেছে Zombie আওয়ামীলিগের। Like Dead Man Walking. সব পচা Zombies. Brain Dead but Body Works. এই পচা Zombie-ই এখন দেশ চালাচ্ছে। যেহেতু এখন আওয়ামীলিগে যা আছে তা সব মুর্দা পীরের জংশন, তাই সব মৃত Zombie -তে পরিনত হয়েছে। বিবেক বুদ্ধি আকল সব বিসর্জন দিয়ে সবাইকে কামড়ানোর চেষ্টা করছে যাতে তাদের বিষাক্ত থাবা অথবা কামড়ের ভাইরাসে অন্যরাও সব Zombie -তে পরিনত হয়। যারা যারা এই কামড় অথবা খাবলা খেতে না চাইবে তারা হবে বিতারীত, থাকবে দৌড়ের ওপর।
Zombie- দের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে এদের Individual ব্রেইন কিন্তু কোন কাজ করে না। Virus এ আক্রান্ত হয়ে সব Imhotep হয়ে গেছে। এদের হেড অফিস কোন একজায়গায় সেটা হয়ত খুজে বের করে, নেটওয়ার্ক কেটে দিলে অথবা কোন Antidote ব্যবহার করলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যারা অলরেডি মৃত তাদেরকে আর মারবে কে? বরং তারাই মারবে, কামড় দেবে, খাবলা দেবে, খামচি দিবে, রক্ত মাংস খাবে। ফরমালিন খেকো দল দিয়ে আসলে এদের দমন সম্ভব না, যাদের পা চাটা দল আবার কিছু So Called সুশীল আর Steroid খাওয়া হাইব্রীড হুজুরস। তাই প্রয়োজন হচ্ছে পরিশুদ্ধির, বিবর্তন, Revoulution , অথবা ম্যালথাসের Destruction for Adjustment টাইপ ভিন্ন কিছুর। কড়া ঝাকুনির প্রয়োজন। সেনাবাহিনীর ক্যু দিয়েও হয়ত এই Zombie বাহিনী দমন সম্ভব না কারন এই ভাইরাস যে প্রশাসন ছাড়িয়ে ক্যান্টনমেন্টে ঢুকেনি তার Assurance কেউ দিতে পারবে না।
আমাদের দেশনেত্রী যে জননেত্রী এবং তার লীগকে পচার কথা বললেন, উনি কি একবারো ভেবে দেখলেন না যে আওয়ামীলিগ যদি আরো পচে সেই সাথে আমাদের কি দশা হবে? দেশটার আরো কি দুর্গতি হবে? আওয়ামিলিগ ক্ষমতায় তা বৈধ অথবা অবৈধ হোক, তারা সরকার পরিচালনা করছে। তাদের পচা মানে দেশ পচা, তাদের নষ্ট হওয়া মানে পু্রো জাতির দুর্নাম গোটা বিশ্বের পরিমন্ডলে। আমরা এইসব পচা কথা বলে আসলে কাকে আরো পচাতে চাচ্ছি? কোন লীগকে নাকি গোটা দেশকে?
পক্ষান্তরে আমাদের সরকারের মস্তিষ্ক প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্বেলনে যে Approch আর অহমিকায় কথা বললেন তাতে জাতির গর্ব বোধ করা উচিৎ নাকি ভয় পাওয়া উচিৎ সেটা বিশাল প্রশ্নের জন্ম দেয়। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তার উত্তরগুলো এমন-
১. ক্রেষ্টে স্বর্ন চুরির ব্যাপারেঃ ‘বিদেশি বন্ধুদের দেওয়া ক্রেস্টে সোনা কতটুকু ছিল, সেটা বড় কথা নয়। ওনাদের এনেছি এবং সম্মান দিয়েছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ এটা নিয়ে হইচই করে নিজেদের সম্মান খোয়াবেন না৷ নিজেদের চোর হিসেবে সাব্যস্ত করবেন না৷’
২. আদালত সম্পর্কেঃ “কনটেমপ্ট অব কোর্ট হলে আই ডোন্ট কেয়ার”।
৩. জামায়াত নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গেঃ ‘এত হইচই ও অস্থিরতার কী আছে? আমার ওপর ভরসা রাখুন।’
এইরকম আরো ভয়াবহ বক্তব্য উনি রেখেছেন যা আদৌ কি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শোভে পায়? উনি সবাইকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে তার ক্ষমতার তেজ বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। আমি জানিনা একটি ন্যুনতম সুস্থ গনতান্ত্রিক দেশে তার এই কথাগুলো কতটা মানানসই। কিন্তু আমরা হজম করছি এবং ভবিষ্যতে আরো হজম করে জাতি হিসেবে বদহজমের পীড়ায় ভুগতে্ রাজি আছি।
অন্যদিকে আমাদের প্রাক্তন মাননীয়া বিরোধী দলিয় নেত্রী বেগম জিয়া মনে হচ্ছে কোন কথা খুজে পান না। অনেক দিন পর পর উনি হঠাত করে জিকির তোলেন দেশে গনতন্ত্র নাই। এইটা কি এতো পুরনো, এতো অভিজ্ঞ একটা রাজনৈতিক দলের মুখে শোভা পায়? তাদের কি আরো ভাবনা চিন্তার দরকার নাই? তাদের কি স্ক্রিপ্ট রাইটারের অভাব? সরাসরি বলতে তাদের রাজনৈতিক অপরিপক্কতা সীমা হারা। তাদের ফরমালিন দিয়েও টাটকা রাখা আসলেই দুরূহ হয়ে দাড়িয়েছে।
যাই হোক, কি আর করা একদিকে ZOMBIES আর আরেকদিকে Formalin দিয়ে জিইয়ে থাকা Formalined একটা দল। সেই সাথে বাম হাতের কাজ সারা বা Role প্লে করার জন্য মাঠে আছে এরশাদ কাকুর মত Trolls, ইনু-মিনুদের মত Igors আর Cyclops জামায়াত । এই হচ্ছে আমাদের রাজনীতির আকৃতি আর সুপরিসরে কুলাঙ্গারদের ব্যাপকতা। এদের নিয়েই যেমন চলতে হবে তেমনি খাবারে ফরমালিন খেয়েই বাচতে হবে আমাদের। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য হালাল করেছেন, না খেলে পাপ লাগবে। উনার কি একবারো মনে হল না যে ফরমালিন নিয়ে উনি মজা মারছেন সেই মজার মজার ফরমালিন যুক্ত খাবার খেয়ে আমরা, আমাদের শিশুরা মারা যাচ্ছি। তাদের জন্য যেটা বাক্যবান সেটা আমাদের কাছে বিষ হয়ে ধরা দেয়। বাচার উপায় বুঝি আর রইল না আইজউদ্দিন!!! অন্য কোন রাস্তা যদি কেউ দেখাতে পারেন তাহলে আওয়াজ দিয়েন ভাই, আমরাও বাচতে চাই। কুত্তাদের মহা রতিক্রিয়ায় কুত্তি (Bitch) হয়ে বাচতে চাই না। সুস্থ ভাবে বাচতে চাই, প্রান ভরে শ্বাস নিতে চাই ফরমালিন মুক্ত বাতাসে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৫