সুকুমার রায় কি জানতেন জাতীয় পার্টি যাত্রা পার্টি হয়ে যাবে !!! ???
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আচ্ছা সুকুমার রায়ের আমলটা কখন? উনবিংশ না বিংশ? দাড়ান একটু দেইখা নেই ! আর জাতীয় পার্টির???? :>
খাড়ান, উইকিপিডিয়া দেইখা আসি।
হঃ দেখছি !!!!
According to উইকিপিডিয়া সুকুমার রায়ের জন্ম ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর, কলকাতার এক ব্রাহ্মন পরিবারে। আর জাতীয় পার্টির প্রাচীন জন্মসূত্র হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ১৯৮৬ সালের ১লা জানুয়ারী এই দল গঠনের মাধ্যমে। এর আরো কয়েকবার জন্ম হয়েছে, বেশ কয়েকজন পিতার অশুদ্ধ স্পার্ম আর গন ধর্ষনে। যেমনঃ
জাতীয় পার্টি (এরশাদ)
জাতীয় পার্টি (নাজিউর)
জাতীয় পার্টি (মঞ্জু)
জাতীয় পার্টি (আন্দালিব রহমান পার্থ)
যাই হোক এই জাতীয় জারজের জন্মসুত্র উদ্ভাবন আলোচ্য বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে কবি সুকুমার রায় ১৮৮৭ সালে এই জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব, জন্ম, ক্যারিয়ার, রাজনীতিতে তার অবস্থান কিভাবে অনুধাবন করেছি্লেন সেটাই অবাক হওয়ার ব্যাপার!!! এই জন্য তিনি তাদের মত সঙদের নিয়ে কবিতা/ছড়াই লিখে ফেললেন???? আচানক ব্যাপার না?
এই প্রথম বিরোধী দলের সঙ-শোধনী নিয়ে গোটা দেশের বাৎসরিক বাজেট জা্তীয় পার্টি সমৃদ্ধ বিজাতীয় সঙ-সদে যাত্রা পালা পরিদর্শনের মাধ্যমে গোল্ডেন A+ নিয়ে পাস হল। দীর্ঘ নয় মাস দেশে যুদ্ধ চলার পরে সুদীর্ঘ নয় বছর দেশ শাসনের অভিজ্ঞতা যে একনায়কের তথা যে দলের সেই দল কি করে আজ এমন বিজাতীয় পরিস্থিতিতে কুকুর অথবা ছাগতূল্য অবস্থানে নিজেকে আসীন করতে পারে? সেটাই কি ভাবেছিলেন সুকুমার রায়?
ছাগলের তিন নাম্বার ছানারা লাফাবে একটু বেশী, কথা বলবে একটু বেশী, কথা বলে সেটাকে মুহুর্তে পাল্টিয়ে ফেলবে, এদিকেরটা খাবে ঐদিকেরটা খাবে, যেখানে সেখানে মুখ দিবে, চামচামি করবে, তেলাবে ইত্যাদি ইত্যাদি কর্ম কান্ডে ব্যাস্ত থাকবে। এগুলো তিন নাম্বারের বৈশিষ্ঠ্য সেটা কি সুকুমার রায় জানতেন? তারা যে কারো কোন ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে না অথবা রাখবে না, সেটাও কি জানতেন? আর ঐ তিন নাম্বারদের যদি এক অথবা দুই নাম্বারের আসনে বসিয়ে দেয়া যায় তাহলে সে যে কি প্রলাপ বকবে, কি মাথা মুন্ডু বোঝাবে তা সে নিজেও বুঝবে না, নিজে বিশ্বাস-ও করবে না, অন্যদের তো দুরের কথা। উনা্দের নিয়ে যে সবাই মজা নিচ্ছে, উনার ভাড়ামো দেখে যে সবাই সার্কাস দেখার আনন্দ উপভোগ করছে তা বোঝার
জন্য যে পার্টস অথবা নাট-বল্টু দরকার তাই হয়তো উনাদের কালেকশনে নেই। তাই এই তিন নাম্বার ছাগলদের প্রতি আমাদের সকলের-ই সহমর্মিতা প্রদর্শন করা উচিৎ কিন্তু ভুলেও তা্দের জাতে উঠানো উচিৎ নয়। সেবা ও শশ্রুসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলাই সকলের মহাজাগতিক ও মানবিক দ্বায়িত্ব। মহান ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা সুকুমার রায়ের-ও নিশ্চয়-ই এই ইচ্ছাই ছিল।
এই জাতীয় তথা যাত্রা পার্টি নিয়ে সুকুমার রায়ের সেই অনবদ্য সৃষ্টি আবারো একবার নতুন করে সবার সামনে তুলে ধরছি। এখনো ঘটে কুলায় না এই মহান কবি কি করে জানতেন এইরকম এক বিজাতীয় পার্টি বাংলার কাঙ্গাল বুকে আভির্ভুত হবে যে সেটা নিয়ে তাকে কবিতাই লিখে ফেলতে হয়েছিল???
বাপুরাম সাপুড়ে
সুকুমার রায়
বাবুরাম সাপুড়ে,
কোথা যাস্ বাপুরে?
আয় বাবা দেখে যা,
দুটো সাপ রেখে যা!
যে সাপের চোখ্ নেই,
শিং নেই নোখ্ নেই,
ছোটে না কি হাঁটে না,
কাউকে যে কাটে না,
করে নাকো ফোঁস্ ফাস্
মারে নাকো ঢুঁশ ঢাঁশ,
নেই কোন উৎপাত,
খায় শুধু দুধ ভাত-
সেই সাপ জ্যান্ত
গোটা দুই আনত?
তেড়ে মেরে ডান্ডা
করে দিই ঠান্ডা।
জ্ঞাতার্থেঃ এই প্রকাশনাটি কেবল রম্য রচনার প্রয়াশ মাত্র। বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই। যেহেতু লেখাটি পাগল ছাগলদের নিয়ে, সেহেতু শুধুমাত্র বধীর, অপরিপক্ক ও পাগলদেরদের জন্য এই রচনা পাঠের অনুমোদন দেয়া হল।
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ
'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।
এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।
ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস
রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন