এ বছর (২০১৬) রমজান মাসের শেষদিন। যথারীতি সারারাত না ঘুমিয়ে আম্মুর সাথে গল্প করেই কাটিয়ে দিলাম। মা বাড়ির বাইরে ছোট একটা টিনের ছাউনিতে ভাত রান্না করছে আর আমি পাশে বসেই গল্প জুড়ে দিলাম। আর মুষলধারে বৃষ্টিতো হচ্ছেই। মাঝেমধ্যে টিনের চালের ছিদ্র দিয়ে বা প্রবল বাতাসের ধাক্কায় গায়ে পানি লেগে যাচ্ছে। তো যথারীতি সবার সাথে সেহরি সম্পন্ন করলাম। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে মসজিদে যেতে না চাইলেও আম্মার কথাতে ছাতা নিয়ে লুঙ্গি খানিকটা তুলে সেন্ডেল পায়ে কাঁদা মাটিতে টপাস টপাস করে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করলাম। বিছানায় শুয়ে ফেইসবুকের ফিড চেকিং করছিলাম এমন সময় পাশের বাড়ি থেকে চাচিআম্মা ফোন দিল কিছু কথা শুনার জন্য। চাচীর কথা শুনে আবার ঘুমাতে আসলাম কিন্তু কেন জানি ঘুম আসছে না। তাই মুবাইলটা নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম বৃষ্টি দেখার জন্য। বৃষ্টি দেখতে কার না ভালো না লাগে? তাও নিজ গাঁয়ের! বৃষ্টি দেখতে গিয়ে পেয়ে গেলাম আরেক সঙ্গী। সেও নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় বসে বৃষ্টি দেখছে। কাছে গিয়ে ভাব জমালাম। অনেক নতুন পুরোনো কথা বললাম। সে ছিল আমার গাঁয়ের এক দাদু (মনজুরের মা- আমাদের একই বংশের)। ধারণ করলাম বৃষ্টির ভিডিও ক্লিপ। যা দেখতে পারেন এখানে।
[youtube Click This Link
মাগরিব নামাজের পর বন্ধু মুঈন উদ্দিন সুমন (পাড়াত চাচা) বলল একটা ইভেন্টের ব্যাপারে যে গত পহেলা জুলাই গুলশানে ঘটে যাওয়া নৃশংস জঙ্গি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে কালো বাহুবন্ধনি পড়ে সবায় ঈদের জামাত করবে। বন্ধু আবুল হোসেন রনি সহ আলোচনা করে ইভেন্টের ব্যাপারে একমত হলাম। দু’জনে (মুঈন আর আমি) প্রায় এক মাইলের পথ হেটে মজিদিয়া মার্কেট থেকে ১.৫ গজ কালো কাপড় ও এক বক্স আলপিন নিয়ে আসলাম। পরে মুঈনের বাসায় বসে এগুলোকে সাইজ করে কাটলাম। ততক্ষণে মুঈন ফেইসবুকে ইভেন্ট খুলার কাজটাও সেরে ফেলেছে। এক্ষেত্রে অবশ্য আমি সাথে থাকলেও সম্পূর্ণ কাজের ৯৯% ক্রেডিট মুঈনের।
পরদিন যথানিয়মে সেহরির সময়ে মুবাইলের এলার্মে ঘুম ভাঙ্গল যদিও আজকে ঈদের দিন। উঠেও গেলাম। ফ্রেশ হয়ে মসজিদে গিয়ে কিছুক্ষণ এবাদত-বন্দেগী করে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি আসলাম। আম্মা বলেন “কি খাবে?”। আমি পান্তা ভাত খেতে চাইলাম। পরে সব প্রস্তুতি সেরে ঈদের জামাতের উদ্দ্যেশ্যে বের হলাম। খুব ভালো ওয়াজ হচ্ছে, আমি এমনিতেই আমাদের গ্রামের হুজুরদের ওয়াজ শুনতে বেশ উৎসুক বিশেষ করে শ্রদ্ধেয় উস্তাদ মাওলানা খানে আলাম সাহেবের। প্রথম বক্তব্য রেখেছেন- মাওলানা নাজিম উদ্দিন। অনেক সারগর্ভ বক্তব্য রেখেছেন তিনি। উনার বক্তব্য থেকে জানলাম- ঢাকাই একমাত্র শহর যেখানে ৬ হাজারের অধিক মসজিদ আছে যার কারণে ঢাকাকে মসজিদের নগরী বলা হয়। অধিক মসজিদের দিক দিয়ে বাংলাদেশ দু’নম্বর আর ভারত এক নাম্বার অবস্থানে আছে। আরবি ভাষা শিক্ষা করা মুসলমানদের জন্য ফরজে কেফায়া ইত্যাদি। এরপর বক্তব্য দিয়েছেন মাওলাপাড়া মসজিদের পেশ ইমাম (উনার নাম জানা না থাকাই আন্তরিকভাবে দুঃখিত)। এত সুন্দর ও ধারাবাহিক বক্তব্য আমি খুব কমই শুনেছি। উনি বক্তব্যে বলেছেন যে, “ঈদের আনন্দ শুধু তাঁদের জন্য যারা পুরা রমজান মাস রোজা রেখেছে, নামাজ পড়েছে এবং আল্লাহর আদেশ-নিষেধ পুরাপুরি মান্য করেছে।” তিনি আরো বলেছেন যে, যাকাত গরিবের হক, এটা অনাদায়ে কিয়ামতের দিন এই ধন-সম্পদ দিয়ে তাকে আগুনের ছেঁক দেওয়া হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপর বক্তব্য দিয়েছেন আমার প্রাণ প্রিয় উস্তাদ ও গুণীজন মাওলানা খানে আলম সাহেব যার বক্তব্য শুনার জন্যই মূলত অপেক্ষা করছিলাম। উনার নরম কথার আঞ্চলিক ভাষার ওয়াজ শুনে যে কারো মন গলে যায়। উনার বক্তব্যেও যাকাত নিয়ে সুগভীর আলোচনা ছিল। উনি বলেছেন “যাকাত আল্লাহর অন্যতম একটি বিধান, নামাজের পরেই যার স্থান।” তিনি যাকাত সম্পর্কে আরো বলেন “আল্লাহর নবীর জনৈক এক সাহাবি (নামটি আমি ভুলে গেছি) নবীজির কাছে ফরিয়াদ করলেন যে ওহে আল্লাহর নবী আপনি আল্লাহর দরবারে আমার জন্য দোয়া করুন যেন আমি ধনী হতে পারি ও মানুষের খেদমত করতে পারি। নবীজি তার জন্য দোয়া করলেন ও সেই সাহাবি যথারীতি নবীর দোয়ার বরকতে ধনী হলেন। তার ছাগলের ব্যবসা দিনদিন বড় থেকে বড় হতে লাগল। এভাবে সে আস্তে আস্তে দ্বীন থেকে দূরে সরতে লাগল এমনকি আস্তেআস্তে একএক ওয়াক্ত করে নামাজ বাদ দিতে লাগল। অবশেষে জুমার নামাজ পর্যন্ত বাদ দিল। নবীজি সেই ব্যক্তির কাছে যাকাতের হুকুম পাঠালে সে আমতা আমতা করতে লাগল যেন তার উপর কর ধার্য করা হয়েছে। তো নবীজির সাহাবিরা যাকাত না নিয়ে ফেরত আসল যা শুনে নবীজি অনেক আফসুস করেছিল। পরবর্তীতে সেই ছাগল ব্যবসায়ীর জন্য আয়াত নাজিল হলে লোকটি ৫০০ ছাগল নিয়ে নবীজির দরবারে হাজির হল কিন্তু তার যাকাত আল্লাহর নবী প্রত্যাখ্যান করলেন আল্লাহর নির্বাহী আদেশে। এভাবে তার যাকাত পর্যায়ক্রমে হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) দ্বারাও প্রত্যাখ্যাত হলেন। শেষে এই ছাগল ব্যবসায়ী দোযকবাসী হয়ে মৃত্যু বরণ করলেন।” এভাবে উস্তাদজীর বক্তব্য থেকে আরো জানতে পারলাম যে যাকাত দিতে হলে সাড়ে ৫২ তোলা সম্পদের অধিকারী বা তার সমমূল্যের সম্পদ থাকলেই হবে যা বাংলা টাকায় ২৫-৩০ হাজার হয়। এই পরিমান টাকা খেয়েপরে একবছর জমা থাকলে তার উপর ২.৫% টাকা যাকাত আদায় করতে হবে নচেৎ তার সমস্ত টাকা অপবিত্র থেকে যাবে। এবং অবশেষে ঈদের ৬ তাকবিরের নামাজের নিয়ম বলে দিলেন যে প্রথম রাকাতে তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধার পর অতিরিক্ত ৩ তাকবির বলতে হবে এবং প্রতিবার হাত ছেড়ে দিতে হবে ও তৃতীয় তাকবির শেষে হাত বাঁধতে হবে। আর দ্বিতীয় রাকাতে সূরা পাঠ শেষে আবার ৩ তাকবির বলে রুকুতে যেতে হবে। সবশেষে আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও আমাদের মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা ইউসুপ সাহেব তাঁর মূলবান বক্তব্য দিয়ে নামাজ আদায় করেন ও কিয়াম ও লম্বা মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজ শেষ করেন।
এক্ষেত্রে লম্বা মোনাজাত আমার কাছে বরাবরই বিরক্তিকর! হুজুরের কি দায় পড়েছে যে আমাদের হয়ে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করবে? আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি ও দোয়া একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। লোক দেখানো দোয়া ও কান্নাকাটি আমার কাছে খুব আর্টিফিশিয়াল মনে হয়। হুজুরকে টাকা না দিলে সে কখনোই অন্যের জন্য দোয়া করেনা। টাকা ও ভাল খাবার দিলে বা লোক দেখানো মজলিশে হুজুরেরা ছিল্লা-ফাল্লা করে দোয়া ও কান্নাকটি করে যা কোন কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আমার মনে হয়না। মজলিশের দোয়া হতে হবে খুবই সাধারণ ও সংক্ষিপ্ত। তবে এক্ষেত্রে সব হুজুর এক রকম না। আমি শুধু কোরআন নিয়ে ব্যবসাকারী হুজুরদের কথা বলছি। অনেকে কোরআন শিখে ব্যবসা করার জন্য অথচ কোরআন এসেছে মানবজাতির মুক্তির জন্য, হেদায়তের জন্য। আমরা কোরআন পড়ি অধ্যয়ন করিনা। এ ব্যাপারে কোরআনের সূরা মুহাম্মদের ২৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে...
اَفَلَا يَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْانَ اَمْ عَلي قُلُوْبٍ اَقْفَالُهَا
(তারা কি কোরআন শরিফকে নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে পারে না। নাকি তাদের কলবের মধ্যে তালাবদ্ধ করা হয়েছে।)
এ থেকে বুঝা যায় যে কোরআন শুধু পাঠ করার জন্য নয়, এটা নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করতে হবে ও প্রচুর গবেষণা করতে হবে। অর্থসহ পড়ে এর উপর আমল করতে হবে নচেৎ কোরআনের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
তারপর কিয়ামের ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করলাম না শুধু মাওলানা কামাল উদ্দিন জফরির এই ভিডিওটি দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=WiS3Z4IbfjY
এই ভিডিওটিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=snZH0z9bZ-M
মসজিদের আঙ্গিনায় সবার সাথে কুলাকুলি সেরে পাঠাগার থেকে বাহুবন্ধনী সংগ্রহ করে একে অপরের বাহুতে পড়িয়ে দিলাম। সবাইমিলে ফটো সেশন করলাম বন্ধু রিদোয়ানের আই-ফোন সিক্সে। আর এই অসাধারণ উদ্যোগটি নেওয়ার জন্য বন্ধু মুঈনকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি মনে করি এই পাঠাগার একটি সূতার মত যেটা ধরে আমরা এলাকার সব বন্ধুরা ঐক্যের ভিত গড়েছি। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় আমাদের দুর্বলতার কারণে পাঠাগারের কার্যক্রম অনেকটা স্থগিত হয়ে আছে। তাই সব বন্ধুদের অনুরোধ করব আসুন সবায় মিলে আবার আমরা এই পাঠাগারের গতি ফিরিয়ে আনি। এক্ষেত্রে আমাদের একটা প্রস্তাব আছে সেটা হলো পাঠাগারকে যদি শহরমূখী করে কার্যক্রম চালু রাখা হয় তাহলে পাঠাগার আবার নিজের গতি ফিরে পাবে। বিস্তারিত কোন একটা প্রোগ্রামে বলব ইনশা আল্লাহ।
বাড়ি এসে মাকে পা ছুঁয়ে সালাম করে মা ও বোনদেরকে নিয়ে কিছু ছবি তুললাম। চাচাতবোন তামিম কে কোলে নিয়ে পাড়া-পড়শী ও কাছের আত্মীয়দের কাছে গেলাম সালাম বিনিময় করতে। পাড়ার বন্ধুদের নিয়েও কিছু ঘোরাঘুরি হল এভাবেই কাটল ঈদের প্রথম দিন। এ বছর দূরে কোথাও যাওয়া হইনি কারণ গত দু’বছর বাইক নিয়ে ঘুরেছিলাম বলে এ বছর বাইক না থাকায় দূরে কোথাও আর যেতে ইচ্ছে করে নি। আত্মীয়-স্বজনকে মোবাইলেই সালাম দিলাম, কথা বললাম। কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখাটা ফরজ তাই অন্তত বছরে একবার হলেও সবার সাতে দেখা করা বা অন্তত ফোনে কথা বলা দরকার। সারা বছরে ১৫-২০ দিনও ভাল করে বাড়িতে থাকা হয় না তাই যখনই বাড়ি থাকি চেষ্টা করি বোনদের কিছু শেখাতে এবং তাদের কার্যকলাপগুলো পর্যবেক্ষণ করি। বাড়ির সবায়কে নিয়ে শিক্ষামূলক কথাবার্তা বলি। আমি যতটুকু জানি তা দিয়ে ছোট বোনদের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করি। এ বছরই প্রথম তাদেরকে কম্পিউটার শিক্ষা দিলাম (অপারেটিং সিস্টেম, টাইপিং ইত্যদি)। নিজের টিউটরিয়াল রেকর্ড করা থাকাই আমাকে শেখাতে হইনি শুধু টিউটরিয়াল প্লে করে দিয়েছি আর আমি টুকটাকা দেখিয়ে দিয়েছি।
আপনারাও দেখতে পারেন এই লিংকে:
https://www.youtube.com/playlist?list=PLa1dVaFIG9UdR_FemH34qqpMZRKnafguB
https://www.youtube.com/playlist?list=PLa1dVaFIG9UdcNwkGRc9EBAMMbFgKy4WY
ঈদের তৃতীয় দিন যথানিয়মে ফজরের নামাজ পড়ে বোনদের কিছুক্ষণ পড়ালাম। বিকেলে বড় আপুর বাড়িতে গেলাম ও সন্ধ্যায় বন্ধু মুঈন ও দিদারের সাথে বাহাদিরপাড়া (বন্ধু জুবাইরের বাড়ি), হোসননগর ও সিব্বাড়ির কিছু এলাকায় বেড়াতে গেলাম। বাড়ি ফিরে বিছানায় গিয়েও ঘুমের কোন সম্ভাবনা না দেখে উঠে কম্পিউটার অন করে আগামী এক বছর অর্থাৎ রমজান টু রমজান একটা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করলাম।
বড় বোন উম্মে কুনসুমের বাড়ি থেকে আসার সময় আমার প্রাণের বিদ্যাপিঠ গারাংগিয়া মাদরাসায় আসরের নামাজ আদায় করতে গেলাম। সেখানে এক পরিচিত জনের সাথে দেখা হলে যথানিয়মে সালাম বিনিময় হল এবং উনি এক পর্যায়ে বললেন “দোয়া নিতে এসেছেন মনে হয়!” আমি বললাম “কিসের দোয়া? আমি শুধু নামাজ পড়তে এসেছি ও মাদরাসাটা দেখতে এসেছি।” উনি উত্তরে বললেন “এ রকম বলবেন না! গুনাহ হবে!”। যতসব আজাইরা ফাইজলামি! ভন্ডদের দল দেখছি সবখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কি আর বলব কিছু না বলেই ওজু করতে চলে গেলাম। মাদরাসা একটা শিক্ষা নিকেতন। এটি ধর্ম ব্যবসাক্ষেত্র নয়। মানুষের শ্রদ্ধা ও ভয়কে পূজি করে এক শ্রেণির মানুষ ব্যবসা করে যাচ্ছে যা থেকে আমাদের সচেতন হতে হবে। টাকা দিয়ে ঐ সব ভন্ডদের দোয়া না নিয়ে নিজের মা-বাবার কাছ থেকে দোয়া নিন। কাজ দিবে। ভন্ডদের হাজার টাকা দিলেও খুশি হইনা আর নিজের মা-বাবাকে ভালবেসে একটু পাশে বসে মা বা বাবা বলে ডাক দিলেই তাঁরা খুশি হয়। আর তাতেই আল্লাহও খুশি হন। অনেক কুলাঙ্গার সন্তানদের দেখি যারা নিজের মা-বাবাকে ঠিক মত খেতে পরতে দেই না অথচ তাদের পীর-মুর্শিদদের দরবারে হাজার হাজার টাকা ও গরু-ছাগল দেয়। এই সব ভন্ড পীরেরা ধোকা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না। এরা কোরআর শরিফ নিয়ে তাবিজের ব্যবসা করে, যাট-ফুকের ব্যবসা করে অথচ কোরআন পাকের কোথাও বলা নেই যে কোরআন নিয়ে তাবিজ বানানো যাবে ও যাট-ফুক করা যাবে। বরং কোরআনে বলা আছে যে কোরআন মানবজাতির হেদায়তের জন্য, পথ হারা মানুষকে পথ দেখানোর জন্য অবতির্ণ হয়েছে। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন মত ঔষুধ না খেয়ে প্রেসক্রিপশন দিয়ে তাবিজ বানালে যেমন রোগ ভাল হয় না ঠিক তেমনি কোরআন মত না চলে কোরআনকে তাবিজ বানিয়ে গলায় ঝুলালে কোন ফল হবে না।
তাবিজের বিষয়ে হুকুম কি? উত্তর দিচ্ছেন Dr Abu Bakar Mohammod Zakaria
https://www.youtube.com/watch?v=J2zAlY6bfpQ
আরো জানুন তাবিজ সম্পর্কে এখান থেকে:
https://www.youtube.com/watch?v=n-FZaK053sI
https://www.youtube.com/watch?v=T8y1V1xHEhM
https://www.youtube.com/watch?v=_O_dPfzHIzc
https://www.youtube.com/watch?v=MV7awNATjOI
https://www.youtube.com/watch?v=xt4A6pNtsTI
https://www.youtube.com/watch?v=mwg-9VrW4MM
ঈদের আমেজ শেষ করে, সবকিছু ঘুচিয়ে মাকে সালাম করে বের হলাম কর্মনগরীর উদ্দেশ্যে। প্রথমে গেলাম কালামিয়া বাজার বন্ধু ইমতিয়াজের বাসায় তারপর নিজ বাসায়।
তো এই ছিল আমার এ বছরের ঈদ ভাবনা । সবায় দোয়া করবেন যাতে আগামী বছরের ঈদ ভাবনা আরো সুন্দর ও সাবলীল হয়। আর আমি জানি আমার লেখায় অনেক ভুল আছে, তারপরেও মনের আনন্দে লিখে যায়। ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে একহাজার বার কৃতজ্ঞ হব। সবার সমালোচনা আশা করছি।
লিখাটা পিডিএফ আকারে পড়তে বা ডাউনলোড করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৬