বড় চেনা লাগে পথঘাট, দেশ, ঘাস ও মেঘ।
বেহুলা সুন্দরীর কথা তোলা থাক, নাচিতে নাচিতে কন্যা ঘামিতে লাগিল, আর টগর ফুলগুলি রবি কিরণে বিবর্ণ হয়ে উঠেছে শান্তিনিকেতন জুড়ে, এক মরা গাছ শুয়ে আছে রাস্তার পাশে আর গুড়ি গুড়ি আমলাকির মত মায়া আর রোদে শুকাচ্ছে বিবাদ। থাক, বেহুলার কথাই বলি, তার লম্বা বিনুনি আর কপোতাক্ষ অলকদাম কথাকলির মত নাচিতে লাগিল।
চারপাশে বালু, মাঝে উলু ঘাস এঁকেবেঁকে ট্রেন যায় তার মাঝ দিয়ে, মাঝে মাঝে।
দ্বীপগুলি সত্যিই ডুবে গেল। সূর্যের ভেতর দিয়ে নৌকা আসে, বিশাল ফুলের ভেতর এক আনা দুই আনা মানুষ, জাল ফেলছে তুলছে, সোনার দোকানের মত কাঁচের ভেতর দিয়ে শরীর ঝিলিক দেয় রূপা গাঙ্গুলির চোখে, আর ধামাইল গান ও নাচে নতুন জেগে ওঠা চরের বিয়ে হয় গাঙশালিখের সঙ্গে, আরো কিছুদিন গান লিখবেন রাধারমন, আমি জানি কেননা আমি যাকে ভালবাসি সে থাকে অন্যকোন মেঘের কাছে, ভিনদেশে।
প্রবল বর্ষার উপর ছাতার মত একখন্ড কালোপানা মেঘ, ধূসর অক্ষিগোলক চিনিনা, নির্ঘাত কনট্যাক্ট লেন্স, তার নিচে পিল পিল, কলকাতা। নাহ, আমি চিনি না।