একটি জাতীয় দৈনিক কতোটা দেউলিয়া হলে এ ধরনের প্রতিবেদন ছাপে তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। আজকের কালের কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠার একদম উপরে বড় বড় অক্ষরে যে নিউজটি ছাপিয়েছে সেটির শিরোনাম- 'হেফাজতের শক্তির পেছনে জামায়াত আর সরকারের নমনীয়তা'। বেশ, ভালো কথা। পড়তে শুরু করলাম... ওমা পরের পৃষ্ঠায় দেখি আজগুবি নাম ধাম।
আপনারাও দেখুন...
>>> 'এ ছাড়া হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দিন রুহী ও সংগঠনের আমির শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফের ছেলে মাওলানা আনাছ মাদানী বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের শরিক দল ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা।'
কী বুঝলেন? হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ নাকি আল্লামা শাহ আহমদ শফী? অথচ আগের পরিচ্ছেদেই কিন্তু বলেছে, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। আনাছ মাদানী ওনার ছেলে। সেইটা আরেকজনকে দিয়ে দেয়া হলো, এমন ছাগল কি গাছে ধরে?
পরের পরিচ্ছেদে আবার নাম ঠিক। দেখুন...
>>>'হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন আল্লামা শাহ আহমদ শফী সম্পর্কে শাহরিয়ার কবির গত ১৫ মার্চ মোমেনশাহী প্রেসক্লাবে যে বিষোদগারপূর্ণ এবং অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'
বলার কিছু নাই। এরাই নাকি জাতির বিবেক! কথা ঠিকই। জাতির বিবেকের অবস্থা এমন না হলে কি আজ জাতির এই অবস্থা হয়। সোবহানের মতো ভূমিদৈত্য যদি জাতির বিবেক হয় সেই জাতি তো একজনের ছেলেকে আরেকজনকে দেবেই।
নিউজের শেষ পরিচ্ছেদে দেখুন আবার সেই ভুল।
>>>'ওই সময় হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ গুলিবিদ্ধ হন। এরপর থেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল সংগঠনটির কার্যক্রম।'
এই পত্রিকায় কি কোনো সম্পাদক, কোনো প্রুফ রিডার নাই? থাকলে এমন ভুল কীভাবে হতে পারে মাথায় ধরছে না। আর কি অবাক কাণ্ড! এই রাত ১১টা পর্যন্ত তাদের ওয়েবসাইটে সেই ভুল লেখাই মানুষকে পড়াচ্ছে।
ইমদাদুল হক মিলন আর সোবহান সাহেব, দুইজনে মিলে আসলে চটি বইয়ের দোকান দেয়া উচিত।
Click This Link
Click This Link