বিশেষ দিনেই তবে ঘটে যাক ে কয়ামত
কাউসার ইকবাল
ধর্মবিশ্বাসীদের মতে, † েকয়ামত বা মহাপ্রলয় ঘটবেই। হাজার বছর পর যদি †কয়ামত ঘটে, তবে ৩৬৫ হাজার দিন লওহে মাহফুজে অপেক্ষা করতে হবে †সই দিনটির জন্য। †যহেতু †কয়ামতের পরপরই হাশরের ময়দানে পুনরুত্থান ঘটানো হবে সকল আত্মার এবং ঈমানদারদের চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তবে †সই দিনটি লাভে দীর্ঘ প্রতীক্ষা †কন? এ বছরের ২৫ ডিসেম্বরই হচ্ছে বিশেষ পবিত্র দিন। খ্রিস্ট ধর্ম প্রবর্তকের জন্মদিনে ইসলাম ধর্ম প্রবর্তকেরও জন্ম ও ওফাতের দিন। এ বিশেষ পবিত্র দিনেই †কয়ামত ঘটে হাশরের ময়দানে মানবের পুনরুত্থান পর্ব শুরু হলে তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হবে। ঈমানদারেরা †কয়ামত ঘটার পরপরই চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ †পয়ে যাবেন। অতএব, জান্নাত †পতে আর বিলম্বের দরকার কি? ২৫ ডিসেম্বরই তবে ঘটে যাক †কয়ামত।
২৫ ডিসেম্বর ঈমানদারদের মৃত্যু ঘটলে †সই মৃত্যুটা কতোই না মর্যাদাকর হবে ঈমানদারদের জন্য! দুই নবীর জন্মদিনে মানবের পুনরুত্থানপর্ব শুরু হলে তাও কতই না মর্যাদার বিষয় মানবজাতির জন্য! অতএব, ২৫ ডিসেম্বর †যখানেই যত ধর্মীয় সমাবেশ ঘটবে, সকল সমাবেশ †থকেই ঈমানদারেরা স্রষ্টার কাছে দাবি জানান †কয়ামত ঘটে যাবার জন্য। আর কম ঈমানদারেরা †সই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলুনÑ আমিন! ছুম্মা আমিন! কারণ, যত আগে †কয়ামত ঘটবে তত আগেই ঈমানদারদের জন্য জান্নাতলাভের সুযোগও আসবে। জান্নাতময় জীবনের জন্যইতো ঈমানদারেরা রাতের ঘুম নষ্টসহ কত কষ্টকর জীবনই না †ভাগ করে চলেছেন পৃথিবীতে। অতএব, †সই জীবনলাভে বিলম্ব করা †মাটেই উচিত নয়। ২৫ ডিসেম্বর স্রষ্টার কাছে সমস্বরে দাবি জানালেই স্রষ্টা ঈমানদারদের ইচ্ছা পূরণ করে †দবেন। এ বিশেষ দিনে স্রষ্টা ঈমানদারদের দাবি প্রত্যাখ্যান করতে পারবেনই না। আর স্রষ্টাতো বলেই দিয়েছেনÑ তিনি ‘হও’ বললেই তা হয়ে যায়। তিনি এও বলেছেন †য, স্রষ্টা মানুষের গ্রীবাস্থিত ধমনী †থকেও নিকটে অবস্থান করেন। অতএব, এদিন †যকোন ঈমানদারের কণ্?ে কণ্? মিলিয়ে স্রষ্টা ‘হও’ বললেই †কয়ামত ঘটে যাবে। মানুষ যখন পৃথিবীতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারছেনই না, প্রতিদিনই নানাভাবে শঙ্কার সাথে জীবনযাপন করতে হচ্ছে, †কান ধর্মতত্ত্বই শান্তিময় পৃথিবী গড়ে তুলতে কার্যকর †নই, †কাথায় আত্মঘাতী †বামা হামলা ঘটে কিংবা †কাথায় কার হাত-পা-মাথা কাটা যায় কিংবা †কাথায় †কান নারী বা শিশু ধর্ষণের শিকার হয় এমন আতঙ্কে মানুষকে †য পৃথিবীতে বসবাস করতে হচ্ছে, এমন পৃথিবীর অস্তিত্ব †থকে লাভই বা কি? এমন পৃথিবীর অবসান ঘটে পুণ্যাত্মারা তথা যথার্থ মানুষেরা জান্নাতে প্রবেশ করুক, আর দুষ্ট আত্মারা অনন্তকালের শাস্তিভোগ শুরু করুক, এমন ইচ্ছা কার্যকরের জন্য এ বছরের ২৫ ডিসেম্বরই যথার্থ দিন। অতএব, এ দিনে পুণ্যাত্মারা তথা ঈমানদারেরা প্রাণভরে কামনা করুক †কয়ামত ঘটার। ২৫ ডিসেম্বরই †কয়ামত ঘটে †গলে মুসলমানেরা ইহুদি-খ্রিস্টানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার যন্ত্রণা †থকে †রহাই পাবে। ইহুদিদেরও এই বলে আক্ষেপ করতে হবে না †য, মুসলিমরা এতোগুলো রাষ্ট্রের মালিক হয়ে যাওয়ার পরও আমাদেরকে একটিমাত্র রাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে চাইল না! শিয়াদের এই বলে আক্ষেপ করতে হবে না †য, সুন্নিরা †কন তাদের হত্যা করতে উদ্যত হয়! আহমদিয়াদের এই বলে আক্ষেপ করতে হবে না †য, †কন সুন্নিরা তাদের কাফের বলে গালাগাল করে! সকল প্রকার বিবাদ-বিদ্বেষ-হিংসা-হানাহানির অবসান ঘটে যাবে ২৫ ডিসেম্বরই †কয়ামত ঘটে †গলে। এরপর †থকে শুরু হয়ে যাবে ঈমানদারদের জন্য অফুরন্ত শান্তিময় জীবনÑ চিরস্থায়ী আহার ও হুর লাভের ব্যবস্থা বিনাশ্রমে। একের পর এক হুর, আর আহারের পর আহার। কী শান্তিময় জীবন! ঈমানদারদের জীবনে †কবল শান্তি আর শান্তিই থাকবে। অতএব, ঈমানদারেরা সমস্বরে বলুন, ‘২৫ ডিসেম্বরই †কয়ামত ঘটে যাক’। কম ঈমানদারেরা সমস্বরে বলুনÑ আমিন! ছুম্মা আমিন!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯