তোমাকে দেখবো বলে দাঁড়িয়ে ছিলাম একটি সম্পূর্ণ শরৎ
রবীন্দ্র রচনাবলীর মতোই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছি
নাকের ঘাম, চোখের পতনের সময়কাল এবং ঘন নিঃশ্বাসের মধ্যবর্তী দূরত্ব।
অথচ, শেষচুম্বনের সময় আমার কাছে কোন হাতঘড়ি ছিল না!
লিখেছিলাম-'রমণীর একই ঠোঁটে তৃষ্ণার জল আর হেমলক থাকে যুগপৎ,
উল্লেখ্য আর ঘৃণাযোগ্য মুখ বলে কিছু নেই।'
কালপুরুষ বলেছিলেন-'কবির এইরূপ দুঃখ থাকা চাই'
দুঃখ?
তাকে আমি দেখেছিলাম ঢাকার জনবহুল রাস্তায়; একা নয়, একাকী।
একটা ট্রেনের মতো ধাবমান
চিরকাল গন্তব্য চেনে নির্ভুল; নিজের নয়, অন্যের!
আমরা হাটছি একটা বৃত্ত ধরে
আমরা হাটছি স্মৃতি থেকে ভবিষ্যৎ
আচমকা দ্যাখা হলে—
তোমার যে হাত ছুঁয়েছিলাম সংখ্যাতত্ত্বের নিয়মের বাইরে
যে হাত মিছিলে যেত আমার হাতের সমান্তরাল
যে হাত ঘুমিয়ে গ্যাছে বহুবার আমাকে ভালোবেসে
সেই হাত—
সেই নাতিশীতোষ্ণ হাত ধরে থাকে যে অন্য লোক
তাকে কুশল জানাবো;
এক সিগারেট দূরত্বে দাঁড়িয়ে বলবো— 'লোকটা সুখী হোক'।
যদিও মানুষের হৃদয় চিরকাল প্রতারক!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২০