কিছু কথা
বহুল ব্যবহ্রিত একটি বাক্য আছে “ ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহন ”
এখন প্রসঙ্গে আসাজাক, ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় জাখন ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন খুদ্র খুদ্র বিন্দু থেকে অর্থাৎ একক বাক্তির হৃদয় থেকে শত মানুষের হৃদয়, হাজার মানুষের হৃদয়, লক্ষ মানুষের হৃদয় হয়ে যখন তা কোটি মানুশের হৃদয়ের দাবি আকারে খুদ্র খুদ্র বিন্দু হতে পর্বতের আকার ধারণ করে তখন এই কোটি প্রানের গর্জনে কেঁপে ওঠেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভীত। পরিতাপের বিষয় হলেও সত্য যে ঐ গর্জনে সাম্রাজ্য কেঁপেছে মাত্র ভাঙেনি । ফলে ধূর্ত (আমি বুদ্ধিমান বলতে নারাজ) ব্রিটিশরা এই গর্জন রোধকল্পে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কূটবুদ্ধির আশ্রয় গ্রহন করে। এমতঅবস্থায় তারা এতো বড় গর্জনের কারণ উধঘাটোন করতে থাকে এবং খুব সহজেই এটা বুঝতে পারে যে সমগ্র ভারতবর্ষের মানুষ ধর্মে বর্ণে আলাদা হলেও স্বাধীনতার দাবীর প্রসঙ্গে সকলে এক। তাই কোটি কণ্ঠে এক রব ব্রিটিশ থেকে মুক্তি চাই। ব্রিটিশ মস্তিষ্ক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্তে পৌছায় কোটি প্রানের গর্জনে যদি ব্রিটিশ সাম্রাজ্য না ভেঙ্গে শুধু কাঁপে থাকে তাহলে এই গর্জন যদি ভাগ হোয়ে যায় অর্থাৎ কোটি গর্জন থেকে লাখে চোলে আসে তাহলে কেমন হয়, বড়ই উত্তম প্রস্তাব এতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভাঙ্গা তো দুরের কথা কাঁপা ও বন্ধ হোয়ে যাবে।
আচ্ছা ভেঙ্গে দাউ যে ভাবে পার ভারতবর্ষ, ভেঙ্গেছেও বটে। আবার জোড়া ও লেগেছিল কিন্তু ভাঙ্গাটি ছিল এমনই নিখুঁত যা আপাত দৃষ্টিতে জোড়া লাগলেও প্রকিতপক্ষে তা আর কাখনোই আগের অবস্তায় পৌঁছে নাই।
কিভাবে ভাংল, কিভাবে জোড়া লাগল বা লাগল না সে বিষয়ে আলোচোনা এখন আর বিস্তর ভাবে করবোনা এক কথায় বলি, তা ছিল হিন্দু মুসলিম সৌহার্দের জায়গায় উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে দেয়া। ফল যা হাওয়ার তাই হল বোকার মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার মত অবস্তা, এর আগে ভারতবর্ষের ইতিহাসে এমন অবস্থার নজির আর পাওয়া যায়না। ফলে ব্রিটিশরা তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যে যা চালু করলো তা সফল হল ও শোষণ আরও দীর্ঘায়িত হল।
তাহলে এটা স্পষ্ট যে ব্রিটিশদের ভাগকর নীতি ব্রিটিশদের পক্ষে যথেষ্ট ফলপ্রসূ ও কার্যকর ছিজ।
এতখন তো গেল আমাদের পূর্বসূরিদের বোকামির গল্প, বর্তমানে আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় অনেক অগ্রসর হোয়েছি সকল ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধন করছি। কিন্তু এমন সময় কিছু রাজনৈতিক নেতা ও এমনকি কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা আবার সেই পূর্বপুরুষদের করা ভুল পথে আবার অগ্রসর হচ্ছে এবং প্রচার করে চলছে যে এখন বাংলাদেশের মানুষ দুই ভাগে ভিভক্ত, এক পক্ষ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি অন্য পক্ষ স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি।
তারা শুধু এগুল বলেই ক্ষান্ত নয় তারা আরও বলছে বিএনপি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। আমি বিএনপির অন্ধ গুন-কিত্তন কোরতে আসিনি। শুধু বিভাজন সঙ্ক্রন্ত বাক্যটি ব্যাবহারের দীর্ঘমেয়াদী ভয়াবহতা সম্পর্কে জাঁতিকে সাবধান কোরতে চাই মাত্র।
আগেই আলোচনা করেছি একবার আমরা বিভক্ত হোয়ে দীর্ঘদিন পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দী ছিলাম । এখন আবার কোন পুরান পথে, নতুন ফাদে পা দিয়ে দেশের বিপর্যয়কে আমন্ত্রণ জানাচ্চিনাত? প্রশ্ন রইল
প্রায় প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ভোটের তফাৎ থাকে খুব করে ১০% থেকে ১৫% আমরা জাকে বলি ভ্রাম্যমাণ ভোটার এরা যেদিকে যায় সেই দল জয় লাভ করে। তাহলে বলা যায় দুটি দলেরই ৩০% থেকে ৩৫% স্থায়ী ভোটার অর্থাৎ বিএনপিরও তাহলে ৩০% থেকে ৩৫% স্থায়ী ভোটার রয়েছে। তাহলে যারা বিএনপিকে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বলছে তারা ৩০% থেকে ৩৫% জনগন কে প্রতিনিয়ত স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বলছে। (আমি আবারো স্পষ্ট ভাবে বলছি আমি বিএনপির সাফাই গাইতে কলম ধরিনি)। তাহলে কি এই ৩০% থেকে ৩৫% জনগন সবসময় স্বাধীনতার বিরোধীপক্ষে অবস্থান করে বা স্বাধীনতার হানি করনে লিপ্ত। নাকি কোন অন্ধকার শক্তির মগজ ধোলাইতে পোড়ে এমন বক্তব্য, যদি তাই হয় তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ “অতীত”।
তাহলে যারা এই বক্তব্য দিচ্ছি বা এই মতাদর্শে বিশ্বাসী তারা কোন পথে হাঁটছি, হ্যাঁ নিশ্চয়ই পূর্বের যে ভুলের কারনে দীর্ঘদিন ব্রিটিশদের শাসন শোষণ ভোগ কোরতে হোয়েছিল ঠিক সেই পথেই তারা হাঁটছেন। তাই বলছি এসব বাক্য উচ্চারণের আগে ইতিহাসের দিকে একটু তাকাবেন, একটি ভুলে যদি এতো বিশাল ভারতবর্ষ ভেঙে দিতে পারে সেখানে বাংলাদেশের আয়তন আর কত টুকু।
"বানান ভুলের জন্য দুঃখিত"
কাজী মুসা
জানুয়ারী ২০১৫ সালে লেখা
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৪