somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

চলেপথিক
আমি মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী, কারণ মুক্তচিন্তা হলো এমন এক প্রকার দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি যা বলে যে বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ , মতামত গঠনের ক্ষেত্রে প্রথা, অন্ধবিশ্বাস এবং কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রভাবান্বিত হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় ।

ইসলাম একটি রাজনতৈকি মতবাদ

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৫ম কিস্তিঃ-

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে এই পর্যন্ত আবির্ভূত ধর্মের সংখ্যা হছে প্রায় ২১টি যেমন – খ্রিস্টানধর্ম, ইসলামধর্ম, ভারতীয় সনাতনধর্ম, চিনা লৌকধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, উপজাতীয় ধর্মবিশ্বাস, আফ্রিকান সনাতনধর্ম, শিখধর্ম, আত্মবাদ, ইহুদীধর্ম, বাহাইধর্ম, জৈনধর্ম, শিন্তোধর্ম, কাত্তদাইধর্ম, জরাথ্রষ্টধর্ম, ফালুনগং , টেনরিকিড, নব্য-পেগানধর্ম, একাত্ববাদী সার্বজনীনতাবাদ, রাসটাফারি আন্দোলন ও সাইন্টোলজি ইত্যাদি ।
তবে অনুসারীর সংখ্যার দিক থেকে বিচার করলে বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত প্রধানতম ধর্ম হচ্ছে ১০টি খ্রিস্টান, ইসলাম, হিন্দু , বৌদ্ধ, কনফুসীয়, শিখ, ইহুদি, বাহাই, জৈন ও শিন্তো ধর্ম । এই ধর্মমত গুলোর কয়একটি বাদে বাকি সবগুলিই একঈশ্বরবাদী বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত ।
একঈশ্বরবাদী ধর্মগুলোর প্রধানতম বৈশিষ্ঠ হচ্ছে এগুলোর দুটি দিক রয়েছে , এর একটি আধ্যাত্মিক দিক অন্যটি পার্থিব দিক । সাধারণত আধ্যাত্মিক দিক বলতে আমরা বুঝি স্রষ্ঠা, তাঁর সৃষ্টিকর্ম ও সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কিত জ্ঞান । এবং পার্থিব দিক হচ্ছে পৃথিবীতে সুশৃঙ্খল ভাবে বসবাসের জন্য মানবের ব্যক্তিগত জীবনের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গগুলির উপর যথাযথ জ্ঞান ও কিছু রীতিনীতি অনুশীলনের মাধ্যমে পরম ঈশ্বরের সন্তুষ্টি বিঁধান। আক্ষরিকঅর্থে ধর্মগুলোর মূল উদ্দেশ্যই হল এই উভয় ক্ষেত্রে সঠিক জ্ঞান বিতরণের মধ্যমে মানব জাতিকে তার ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জীবন সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান ।

সব ধর্মপ্রবক্তাই যুগে যুগে মানবকে শুধু মাত্র বানীই শুনিয়ে গেছেন এর বাহিরে তাদের অন্য কোন কর্মসূচী ছিল না । তারা ত্যাগ আর ভালবাসার মত মানবিক গুণাবলির বিকাশের মাধ্যমে মানব আত্মার উন্নতি ঘটাতে চেয়েছেন । আর বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তারা নিপীড়নের স্বীকার হয়েছেন বা নির্মম ভাবে খুন হয়েছেন । এ ক্ষেত্রে এক মাত্র ব্যতিক্রম হচ্ছেন নবী মুহাম্মদ ও তাঁর ধর্ম ইসলাম । তাঁকে যেমন হত্যা করা যায়নি তেমনি তাঁর ধর্ম প্রচার বন্ধেও কেউ সফলকাম হতে পারেনি । তাই তো ইসলাম বর্তমান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎতম ধর্ম এবং মুহম্মদ একজন নবী এই ধর্মের প্রচারক ও প্রতিষ্ঠাতা । বর্তমান বিশ্বে যার অনুসারীর সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৪০ কোটি ।

আমরা যদি বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত বা অপ্রতিষ্ঠিত অন্যান্য ধর্মগুলোর ইতিহাস ঘেটে দেখি, তাহলে দেখা যাবে প্রায় প্রতিটা ধর্মই সে সে অঞ্চলের শাসকবর্গ দ্বারা প্রথমে বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে এবং পরবর্তীতে তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় প্রসার লাভ করেছে । আর শাসকবর্গ সব সময়ই সে সমস্ত ধর্মমত কে তাদের শাসন এবং শোষণের একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে এসেছে । এইক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারে খ্রষ্টধর্ম, যা যীশুখ্রিষ্টের অন্তর্ধানের বহু পরে বিশ্বে ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে । এ পর্যন্ত খ্রিষ্টান ধর্মই বর্তমান বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত সর্ববৃহতম ধর্ম, যার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২১০ কোটি ।

কোন ধর্মপ্রবক্তা রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেছেন এমনটি পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা । অথচ ৭ম শতাব্দীর একজন দরিদ্র নিরক্ষর ব্যক্তি ‘মুহাম্মদ’ বিশৃঙ্খল এক বেদুঈন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, এবং তদের নিয়ে একাই একটি রাষ্ট্র গঠন করেছিলেন । আর তাঁর প্রতিষ্ঠিত সে রাষ্ট্রটিই ১২০০ বছর ব্যপি অর্ধেক বিশ্বকে শাসন করেছে । আমার আলোচনার মুল বিষয়ই হলো কি ভাবে নবী মুহাম্মদ এই অসাধারণ কাজটি সম্পাদন করলেন, সেটি কি আধ্যাত্মিক শক্তিবলে না কি পার্থিব শক্তিবলে ?
আমরা যদি প্রাক ইসলামী যুগের আরবের ভুগলিক, ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাই । আরব জাতি মরুভূমির অধিবাসী হওয়ায় মানব জাতির উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম কৃষিকর্মের সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত ছিল । বেঁচে থাকার জন্য তাদের অবলম্বন ছিল বাণিজ্য আর পশুপালন । সুপেয়পানির সন্ধানে স্বপরিবারে মরুভূমির একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলা ছিল তাদের জীবনের একটি অংশ । সে কারণেই তাদের মাঝে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কখনও গড়ে উঠেনি । তারা ছিল রাষ্ট্রহীন এক বিশাল জনপদের অধিবাসী ।

আরবের মক্কা নগরী গড়ে উঠেছিল এমনই একটি স্থায়ী পানির উৎসকে কেন্দ্র করে, আর মানব চরিত্র অনুযায়ীই সেই সাথে গড়ে উঠেছিল একটি ধর্মীয় উপাসনালয় । কালক্রমে সেটি সমগ্র বেদুইন সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ কেন্দ্রে পরিণত হয় । মক্কায় বসবাসকারীদের কাছে নগরে আগত বেদুঈন তীর্থ যাত্রীরাই হয়ে পড়ে রোজগারের অন্যতম মাধ্যম । তাদের এই আয়ের উৎসটি হাতছড়া হয়ে যাক, এমন তারা কখনও কামনা করতো না । তাই তারা কখনও একিশ্বরবাদি কোন ধর্মকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত ছিলো না । এমনকি তাদের খুব কাছাকাছি তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম ধর্মমত ইহুদী ও খ্রিষ্টান ধর্মের ব্যপক প্রভাব থাকা সর্তেও হাজার বছর ধরে তারা পৌত্তলিকই থেকে গেছে । এমন একটি পরিবেশে ইসলামের আধ্যাত্মিক বাণী তাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করবে এমন ভাবার কোন কারণ আমি দেখি না । একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদবাক্য আছে “চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী ” তা হলে যে চোরের চুরি করাই ছেড়ে দিতে হয় । যেখানে রুটিরুজির প্রশ্ন জড়িত সেখানে নীতিবাক্য অর্থহীন মনে হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক নয় কি ? তৎকালীন মক্কাবাসীও এর ব্যতিক্রম ছিলো না ।
সে সময়কার মক্কাবাসীর এই মানসিকতার পরিচয় ফুটে উঠতে দেখা যায় আল-কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন সূরায় যেমন- “ তারা যখন ব্যসায়ের সুযোগ অথবা ক্রীড়াকৌতুক দেখে তখন আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সে দিকে ছুটে যায় । বলুন আল্লাহ্‌র কাছে যা আছে, তা ক্রিড়াকৌতুক ও ব্যবসা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট । আল্লাহ্‌ সর্বউত্তম রিযিকদাতা । “ (সুরা আল জুমুয়াহঃ আয়াত-১১)

আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি নবী মুহাম্মদ ১৩বছর ধরে মক্কায় ইসলামের আধ্যাত্মিক বানী প্রচারে অক্লান্ত পরিশ্রম করেও মক্কাবাসীর চিন্তার পরিবর্তন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন । অবশেষে তাঁকে হিজরত করতে হয়েছিল মদিনায় এবং সেখনে তাঁকে গড়ে তুলতে হয়েছিল একটি রাষ্ট্র একটি সেনাবাহিনী । আর তিনি তাঁর এই বাহিনীকে ব্যবহার করেই মূলত সশস্ত্র প্রতিরোধ আর রাজনৈতিক কৌশলকে অবলম্বন করে আরব ভূখণ্ডে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন । মদিনায় অবস্থান কালে নবী মুহাম্মদের ১০বছরের কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় । যেমন মদিনায় আশ্রয় লাভের পর নবী এবং তাঁর সাথে আগত অনুসারিদের জন্য যেটি প্রধান সমস্যা হিসাবে দেখা দেয় , তা হল বাসস্থান নির্মাণ ,পর্যাপ্ত খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় অস্ত্র সংগ্রহ । আর যে উপায়ে নবী এ সমস্যার সমাধান করেন সেটি কোন আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া ছিলনা , এটি ছিল সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া । এই ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে মুসলমানদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করা হয় এবং পরবর্তীতে মক্কাগামি বাণিজ্যিক কাফেলা লুণ্ঠন করা হয় । আর এ কাজের বৈধতার পক্ষে ইসলাম ধর্মে নতুন যে দুটি বিষয়কে সম্পৃক্ত হতে দেখা যায় এর একটি হচ্ছে ‘গাজওয়া’ ও অন্যটি হচ্ছে ‘জিহাদ’ । আমরা যদি আল কুরআনের মক্কি সূরা আর মাদানি সূরাগুলি আলাদা ভাবে বিশ্লেষণ করি, সেখানেও দেখা যাবে মক্কায় অবতীর্ণ সূরা আর মদিনায় অবতীর্ণ সুরাগুলোর মর্জি , মেজাজ ও বিষয়য়ে ভিন্নতা রয়েছে । মদিনায় অবস্থান কালে আমরা এমন এক মুহম্মদকে দেখতে পাই যিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন অমিত সাহসি সেনানায়ক ও একজন কৌশলী রাজনীতিবিদ । সেখানে আধ্যাত্মিকতার ছিটে ফোঁটাও অবশিষ্ট ছিলো না । অবশ্য ধর্ম হিসাবে ইসলামও নতুন কোন বিশ্বাস প্রচার করেনি । ইসলামের দাবি অনুযায়িই ইসলাম পুরাতন ধর্মবিশ্বাসগুলিই সঠিক ভাবে পুনঃ স্থাপন করেছে মাত্র । তাই দেখা যায় আল- কুরআনও নবী মুহাম্মদ কে অন্য নবীদের সীলমোহরকারী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে ।

ইসলাম ধর্মে অলৌকিক বলতে কিছু নেই ,আর নবী মুহাম্মদও কোন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এমন প্রমান কোথাও পাওয়া যায় না । তাই বিভিন্ন সময় মক্কাবাসীর অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শনের দাবীর কাছে নবীকে নীরব থাকতেই দেখা গেছে । বরঞ্চ নবীর এই নীরবতা ভঙ্গ করেছে আল কুরআন যেমনঃ- “অথবা আপনার কোন সোনার তৈরি গৃহ হবে অথবা আপনি আকাশে আরোহণ করবেন এবং আমরা আপনার আকাশে আরোহণকে কখনও বিশ্বাস করবো না, যে পর্যন্ত না আপনি অবতীর্ণ করেন আমাদের প্রতি এক গ্রহ্ন, যা আমরা পাঠ করবো । বলুনঃ পবিত্র মহান আমার পালনকর্তা, একজন মানব, একজন রসূল বৈ আমি কে ? ”( সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ-৯৩) । এমন আরও অনেক আয়াতের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়েছে মুহাম্মদ একজন স্বাভাবিক মানুষ এবং পূর্বে যারা নবুয়াত প্রাপ্ত হয়েছেন তারাও সবাই মানুষই ছিলেন । যেমনঃ---
“আপনার পূর্বে আমি মানুষই প্রেরণ করেছি , যাদের কাছে আমি ঐহী পাঠাতাম । অতএব তোমরা যদি না জান তবে যারা স্মরণ রাখে তাদের জিজ্ঞাসা কর । আমি তাদেরকে এমন দেহবিশিষ্ট করিনি যে , তারা খাদ্য খেতনা এবং তারা চিরস্থায়ী ছিল না “ ( সূরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ৭-৮) ।

অর্থাৎ নবীরা একজন মানুষ ছাড়া আর কিছুই নয় তাই তাদের কোন অলৌকিক ক্ষমতা থাকার কথা নয় । কারন সমস্ত অলৌকিকত্বের মালিক ঈশ্বর স্বয়ং এবং এই ক্ষমতা তিনি কাউকে কখনও প্রদান করেন না । মানবের দুর্বল চারিত্রিক বৈশিষ্ঠের কারনেই তার পক্ষে কোন ধরনের অতি প্রাকৃতিক ক্ষমতা বহন করা সম্ভব নয় । যেহেতু নবী মুহাম্মদও একজন মানুষ তাই স্বাভাবিক করণেই মানব চরিত্রের দুর্বল দিকগুলো থেকে তিনিও সম্পূর্ণ মুক্তনন । এ ক্ষেত্রে তাঁকে আতিমানব ভাবলেই বরং বিতর্কিত হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায় ।

সাধারণত বিশ্বের যে কোন থিউরিই মূল্যহীন যতক্ষন না তার বাস্তব প্রয়োগ ঘটছে । মুহাম্মদের নবুয়াত প্রাপ্তির প্রথম ১৩ বছরের আধ্যাত্মিক জ্ঞান কে যদি আমরা একটি কনসেপ্ট হিসাবে ধরি তবে ১০ বছরের মদিনার কর্মকাণ্ড হচ্ছে সে কনসেপ্টের বাস্তব প্রয়োগ । নবী মুহাম্মদের সফলতা তাই প্রমান করে আসলে তিনি যত বড় নবী তার চেয়ে অনেক বড় একজন নেতা । আধ্যাত্মিক জ্ঞান শুধু কিছু ব্যক্তির অন্তরকে আলোকিত করার ক্ষমতা রাখে গোটা সমাজ এবং সমগ্র জাতির নয় । সমাজ আর জাতিকে সঠিক পথে আনার জন্য প্রয়োজন সঠিক মতাদর্শ যথাযথত কর্মপন্থা এবং সেটি বাস্তবায়নে সাহসী পদক্ষেপ । নবী মুহম্মদ মদিনায় অবস্থান করে সে কাজটিই করেছেন মূলত তা ছিল ধর্মের ছত্রছায়ায় একটি রাজনৈতিক কর্মসূচী । এই জাতিয় কর্মসূচী বর্তমান বিশ্বে অনেক বাম রাজনৈতিক দলের মধ্যেও আমরা দেখতে পাই । মার্কসবাদের আদর্শে সস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টার মধ্যে । এই ক্ষেত্রে ইসলাম ও মার্ক্সবাদের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই , উভয়েরই মুল উদ্দেশ্য শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা । যেটুকু দ্বন্দ তা হছে ভাব আর চৈতন্যের , যুক্তি আর বিশ্বাসের মধ্যে ।

নাবী মুহাম্মদের ১০ বছরের মদিনায় অবস্থান কালে তাঁকে প্রায় ১০টি যুদ্ধ করতে হয়েছিল। এর মধ্যে কিছু ছিল প্রতিরোধ যুদ্ধ আর কিছু ছিলও গণিমতের মাল সংগ্রহের জন্য মদিনার আশেপাশে বসবাসরত ইহুদী ও পৌত্তলিক গোত্রগুলোর উপর আক্রমণ । অথচ এ ক্ষেত্রে আল কুর‍্আনের নির্দেশ সূরা আল বাক্কারাহ আয়াত-১৮৮ দ্রষ্টব্য “ আর তোমরা অন্যায় ভাবে একে অপরের সম্পত্তি ভোগ করোনা এবং জনগণের সম্পদের অংশ বিশেষ জেনে শুনে পাপ পন্থায় আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে শাসন কর্তৃপক্ষের হাতেও তুলে দিওনা । “
বামপন্থী দলগুলোকেও দেখা যায় পাটি তহবিলের জন্য একই প্রক্রিয়ায় অর্থ সংগ্রহ করতে । তাই এটি প্রমাণিত যে এই সময় আধ্যাত্মিকতাকে পাস কাটিয়েই আক্রমণ ও প্রতিরোধ যুদ্ধের মধ্যদিয়েই মূলত সমগ্র আরব ভূখণ্ডে ইসলাম ‘ধর্ম ‘ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে । সে সময় মদিনার আনসার আর মুহাজিরগণ যুদ্ধে পরাজিত গোত্রগুলোর উপর যে ধরণের লুটপাট আর নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তা নৈতিকতার কোন মাপকাঠিতেই বিবেচনার দাবী রাখে না । অথচ এমন ঘটনার ক্ষেত্রে আল কুরআনের সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে “ আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে আবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করোনা । নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না ।“( সূরা আল বাক্কারাহ, আয়াত-১৯০ )
আবার আল কুরআন অন্য সূরায় বলছেঃ “ হে ইমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক আর যেনে রাখ আল্লাহ মুত্তাকিমদের সাথে রয়েছেন ।“ (সূরা আত তাওবাহ, আয়াত-১২৩ )
এ ভাবেই নবী মুহাম্মদের মক্কার আধ্যাতিক ভবনা মদিনায় এসে ক্রমশ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে রূপলাভ করে । আমরা যদি নবী মুহাম্মদের মৃত্যুর পর থেকে আজকের বাংলাদেশ পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাস ও এর আলেম সম্প্রদায়ের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে লক্ষ্য করি তাহলেই বিষয়টি অনুধাবন করা খুব বেশী কষ্টসাধ্য হবে বলে আমি মনে করি না ।

মক্কা বিজয়ের মধ্য দিয়েই নবী মুহাম্মদের মিশন সমাপ্ত ,এমটিই আমরা তাঁর বিদায় হজ্বের ভাষণের মাধ্যেমে সুস্পষ্ট হয়ে উঠতে দেখি । অথচ তার পরবর্তি সময়ে ইসলামের ইতিহাস যে দিকে গড়িয়েছে তাকে আমরা কোন ভাবেই হেদায়েতের কর্মসূচী বলতে পারি না । ধর্মের কাজ কখনোই সাম্রাজ্য গঠন হতে পারে না । সহজ কথা ধর্মের আসল কাজ হল মানুষের অন্তর আত্মাকে জগ্রত করা । যাতে সে সঠিক আর বেঠিক এর পার্থক্য বুঝতে পারে । এই কাজটি যেহেতু বলপ্রয়োগ এর মাধ্যমে করা সম্ভব নয় , তবে কেন ধর্মীয় নেতৃত্বের রাষ্ট্রক্ষমতায় আধিষ্টিত হওয়া ? এর আসল উদ্দেশ্য অর্থ আর ক্ষমতার মোহ ছাড়া আর কি হতে পারে । ইসলামে এমনই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে নবী মুহাম্মদের মৃত্যুর পর । যে মুহূর্তে তাঁর প্রবিত্র দেহ যথাযথ মর্যাদায় সৎকারের কথা । যে সময় বিশ্বের অন্যতম এই শ্রেষ্ট চিন্তাবিদ মাত্র ৬৩ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন । যখন শোকে দুঃখে স্তব্দ হয়ে যাওয়ার কথা গোটা আরব জাহানের । তখন তাঁর সাহাবীদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে তাঁর উত্তরাধিকারি নির্বাচনের আলোচনা সভা ! নবুয়তির যেখানে কোন উত্তারাধিকারই থাকার সুযোগ নেই , সেখানে কিসের উত্তরাধিকারি নির্বাচনী সভা ? এই সভার উদ্দেশ্য যে নবীর রেখে যাওয়া মক্কা আর মদিনার রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতা তা একটি শিশুর পক্ষেও বোঝা সম্ভব ।
মদিনা রাষ্ট্র নবী মুহাম্মদের আধ্যাত্মিক সাধনার ফসল নয়, এটি সৃষ্টি হয়েছিল ইয়াস্রিববাসীর বদান্যতায় । আথচ নিয়তির কি নির্মম পরিহাস একদিন মদিনাবাসি যাদের আশ্রয় দিয়েছিল পরম মমতায় , সে তারাই অত্যান্ত নিষ্ঠুর ভাবে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে আশ্রয়দাতাকেই হত্যা করে এবং নিজ মাতৃভুমি থেকে বিতাড়িত করে । আর এই অন্যায় কাজটি করা হয় শুধু মাত্র আনসার আর মুহাজিরদের সম্পদ বৃদ্ধির স্বার্থে ।
নবীর মৃত্যুর পর এই রাষ্ট্রটিই খিলাফত নামে নতুন একটি শাসন ব্যবস্থার জন্ম দেয় । নতুন এই খিলাফত রাষ্ট্র যদিও বিশ্বেকে একটি অতুলনীয় শাসন ব্যবস্থা উপহার দিয়েছে । কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটি ইসলাম ধর্মের প্রচার বা প্রসারে তেমন কোন জোরালো ভূমিকা রেখেছে এমন কোন প্রমান কোথাও পাওয়া যায় না । বরঞ্চ তাদের পূর্ণ মনোযোগ ছিল কত ভাবে এই খিলাফতের সীমানা বৃদ্ধি করা যায় । এবং তারা সেটি বেশ দক্ষতা আর দ্রুততার সাথেই সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলেন । পরবর্তী ইসলামের ইতিহাস শুধু খুন, ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ আর শাসন ক্ষমতার পালাবদলের কাহিনি মাত্র, যা আমি আমার আগের পর্বগুলোতে সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি ।

এখানে প্রশ্ন আসতে পারে তা হলে আজ সমগ্র বিশ্বে ১৪০ কোটি মুসলমান কি ভাবে তৈরি হলো ?
এই কৃতিত্ব কোন ভাবেই ইসলামি খিলাফতের ১২০০ বছরের ইতিহাসের শাসক বর্গের ও তাদের হালুয়া রুটির ভাগিদার তথাকথিত আলেম সম্প্রদায়ের নয় । এই কৃতিত্বের অধিকারী শুধু মাত্র তৎকালীন মধ্যএশিয়ায় বসবাসরত আনারব মুসলিম জনগোষ্ঠীর । বিশেষ করে পার্সিয়ানদের যারা ছিল মুলত জরথ্রুষ্ট ধর্মের অনুসারী । অনেক আগে থকেই অগ্রসর চিন্তার অধিকারী পার্সিয়ানদের ইসলাম গ্রহণের মধ্য দিয়েই ইসলামের আধ্যাত্মিক যুগের সূচনা ঘটে । সে সময়কার অতি সাধারন মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসা অল্পসংখ্যক জ্ঞানতাপসের আধ্যাত্মিক ও জাগতিক ক্ষমতার সংস্পর্শে এসেই পৃথিবীর নানা প্রান্থের মানুষ ইসলাম ধর্মে দীক্ষালাভ করে । এইটিই পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মের অনুসারী বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ । আল কুরআনের গভীর আধ্যাত্মিক বানী আর পার্সিয়ান সংস্কৃতির মিথক্রিয়ার সাথে গ্রীক দর্শনের সংমিশ্রণে যে নতুন ইসলামি দর্শনের সূত্রপাত ঘটে এটি তারই কৃতিত্ব । খলিফাদের অনাগ্রহের মুল কারণ বিজিত রাজ্যেগুলোর জনগণের ব্যপক হারে ইসলাম গ্রহণের ফলে, ইসলামি সাম্রাজ্যের আয়ের প্রধান উৎস জিজিয়া কর আদায়ের পরিমাণ দিন দিন কমতে থাকে । ফলে খলিফাদের মধ্যে রাজকোষের অর্থ সংকটের ভয় কাজ করায় তারা কখনও বিধর্মীদের ধর্মান্তরে তেমন আগ্রহী ছিলেন না । বরঞ্চ তারা আলেম সমাজের সাহায্যে ইসলামি শরিয়ত নামে ধর্মীয় আইন সৃষ্টির মাধ্য দিয়ে ইসলাম ধর্মকে আরও জটিল করে তুলেন ।

নবী মুহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই আমরা এমন একটি প্রবণতাই সুস্পষ্ট হয়ে উঠতে দেখি । যেমন নবী মুহাম্মদের কোন প্রকার নির্দেশনা ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছেমত আল-কুরআনের আয়াত গুলো সংগ্রহ ও সংকলন এবং সূরা গুলোর ক্রমানুসারে সাজানোর ধরণ । এ সবই করা হয়েছে ভবিষতের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে । এ ক্ষেত্রে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হল মক্কায় অবতীর্ণ আধ্যাত্মিক বানীতে সমৃদ্ধ সূরাগুলি আল-কুরআনের শেষের দিকে লিপিবদ্ধ করা । আর পার্থিব বিষয় ও জিহাদী মেজাজে অবতীর্ণ সুরাগুলো আল-কুরানের প্রথম দিকে লিপিবদ্ধ করা । এমন ক্রমবিন্যাস যে খুব একটা সরল উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এটি বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই ।

তদ্রূপ হাদিস শরীফ সংকলন এর মাধ্যমে যে তিন লাখ হাদিস নানা ভাবে আলোচিত হয়, এর মধ্যে এমন অনেক হাদিস রয়েছে , যে গুলোর উপস্থাপনের আধো কোন প্রয়োজন ছিল না । যে হাদিস গুলোতে নবী মুহম্মদের বেশী ইতিবাচক দিক রয়েছে সেগুলো মানুষকে সুপথে আনার জন্য উপমা হিসাবে ভুমিকা রাখতে যথেষ্ট । নবী মুহাম্মদের জীবনের একান্ত ও ব্যক্তিগত জীবনের কিছু বিষয় হাদিসের মাধ্যমে তুলে আনার পেছনেও ব্যক্তিবিশেষের জাগতিক ভাবনাই কাজ করেছে । এর মধ্যে কোন মহৎ চিন্তা ছিলো বলে আমি মনে করি না । তবে, যাদের দ্বারা এই কাজগুলো পরিণতি লাভ করেছে তাদের সবাই যে একই উদ্দেশ্যে করেছেন এমনও নয় । তাদের বেশির ভাগই নবীর প্রতি অধিক ভক্তি আর ভালবাসা থেকেই এই কাজটি করেছেন বলেই প্রতীয়মান হয় ।
ইসলামের আলেমদের প্রতিনিয়তই বলতে শোনা যায় ‘ ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা ‘ অথচ তাদের ওয়াজ নসিহত শুনে মনে হবে ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ মৃত্যুপরবর্তী ব্যবস্থা । তাতে জীবনের কোন কথা নেই , আছে শুধু মরণের পর আপনার কি কি পরিণতি হতে পারে তারই পূর্ণ বিবরণ । এর একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের ধর্ম বিশ্বাস কে পুঁজি করে নিজেদের গুরুত্ব বৃদ্ধি আর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ।
বর্তমান পৃথিবীতে প্রচলিত এমন কোন ধর্মমত খুজে পাওয়া যাবে না যাদের মধ্যে কোন বিভক্তি নেই । আর ইসলামধর্ম এই ক্ষেত্র সবচেয়ে এগিয়ে যেমন- সুন্নি , শিয়া, সূফীবাদ, ইবাদী, আহম্মদি, কুরআনবাদ, এনওআই ও উদারতাবাদ । এগুলি হল ধর্মীয় গোষ্ঠী, আর রাজনৈতিক গোষ্ঠীর তো কোন হিসাবেই নেই ।
বাস্তবতা হচ্ছে মহান ঈশ্বর যদি চাইতেন পৃথিবীর সব মানুষ তাঁর প্রার্থনা করবে এবং উনার নির্দেশিত পথে চলবে । তাহলে তিনি সে ভাবেই মানুষকে সৃষ্টি করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি । তিনি মানুষকে চিন্তার স্বাধীনতা দিয়েছেন , দিয়েছেন সৃষ্টি করার ক্ষমতা আর চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন নানান উপকরণ । মানুষ তার এসব উপকরণগুলো নিয়ে যত বেশী খেলাকরবে তত বেশী তাঁকে জানবে । এই ক্ষমতা বিধাতা সৃষ্টিলগ্নেই মানুষের মগজের মধ্যে প্রথিত করে দিয়েছেন ।
মানুষের কল্যাণ আর অগ্রগতির স্বার্থেই এই বিশ্বে ধর্মের আগমন ঘটেছিল আবার মানুষের কল্যাণ আর অগ্রগতির স্বার্থেই বর্তমানে বিজ্ঞানের আগমন ঘটেছে । পুরাতনকে বিদায় নতুনকে গ্রহণ করার মধ্য দিয়েই সভ্যতা এগিয়ে যাবে , এটাই নিয়তি ।
ইসলামের বিশেষত্ব হচ্ছে ইসলাম আল কুরআন এর আধ্যাত্মিক বানীর মধ্য দিয়ে এই বিষয় গুলোর দিকে ঈশারা করে গেছেন । ইসলামের আধ্যাত্মিকা ধারণের মাধ্যমে মানুষ যেমন আত্মশুদ্ধি অর্জনে সক্ষম তেমনি ইসলামের রীতিনীতি অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ অর্জন করতে পারে ক্ষমতা আর অর্থ। আল-কুরআন হছে সেই প্রদীপের মত যার নিচে রয়েছে অন্ধকার আর আলো ছড়িয়ে আছে চারি দিকে । ঠিক এই প্রদীপের নিচেই বর্তমান মুসলমানদের বসবাস তাই তারা জিহাদি। যেহেতু ইসলাম একটি রাজনৈতিক মতবাদ তাই যুদ্ধ কোন অনৈতিক কর্ম নয় ।

“ কোন সম্প্রদায় তার নিদৃষ্ট সময়ের অগ্রে যায় না এবং পশ্চাতে থাকে না । “
---- আল-কুরআন , সূরা – হিজর , আয়াতঃ ৫ ।
------------------




















































সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×