দিন আছিল সেসম
এরাম ঠাডাইন্না রৈদের দুপুর গুলাতে কটকটিয়ালা মহল্লায় আইত ।
মাতায় কটকটির টুকরি লয়া মহল্লা কাপায় ডাকত ... ক ড ক ডি ......
আ ছে .. ভা ন্ গা .. চো রা .. হা ড়ি .. পা তি ল ... ক ড ক ডি ......
পুলাপান আমরা খাড়ার উপ্রে সব লৌড়, যে যেহানে পারি
ঘরের কুনায়, খাটের তলায়, মাচার উপর, ছাদের উপর, পায়খানার প্যানের পাশে, ব্যাড়ার ফূটা দিয়া, ময়লার বালতিতে; যে যেহান্তে পারি একটা কিছু লয়া হাজির ।
কাশের সিরাপের শিশি, দুধের কৌটা, ভাঙ্গা গেলাস, গত বছরের ক্লাসের বই, তালি মারা স্যান্ডেল (একটা আছে একটা নাই ) , পেরেক মারা ভাঙ্গা কাঠের টুকরা, বেড়ার কঞ্চি, ছালা ... ... আরো কত্ত কি ! ! !
কটকটিয়ালা আংগোরে লৌর দিতে দেইখাই টুকরি নামায়া বারান্দায় বয়া পড়ছে ।
হাত বাড়ায়া দিতাম মাস খানেক আগের মইনের কাছ থাইকা মাইরা দেয়া নষ্ট সার্কিট বুড (বোধয় ট্রাঞ্জিস্টারের কি একটা । বহুত এক্সপেরিমেন কইরাও ঐটা দিয়া কিচ্ছু বুজিনাই) ।
কটকটিয়ালা এইবার কটকটির ডিব্বা খোলে (অনেক বড় হয়া জানছি ডিব্বাটা ফিল্মের রোল রাখার ক্যান) ...... আহা কি সুন্দর কাইল্চা সেই ডিব্বাটা
আংগোর জিনিষগুলান ওজন কইরা নিত, এরবাদে একটা ছেনির মত কিছু দিয়া কটকটির একপাশে বাড়ি, ওজনে যা পামু তার থেয় বেশি ভাইঙ্গা আয়া পরতো, আমগোর জিব্লায় লোল
নাহ বেশি হয়াগেছে, কটকটিয়ালা ছেনি দিয়া একটু কাইটা রাইখা দিতে চাইলো, এইবারও বেশি ভাইঙ্গা আমগোর অংশে কম হয়া গেল, ব্যালান্স করতে আবার ছেনি, বরাবরই এইবার আবার আমগোর ভাগে বেশি।
হাল ছাইড়া কটকটিয়ালা দিয়া দিত। আংগোর পাওনাত্থে অনেক অনেক বেশি ।
কটকটিয়ালা কখনো ঠকায় নাই আংগোরে
আইজকার দুপুর দেইখা বহুৎ, বহুৎ, বহুৎ, দিন পর কটকটি খাইতে মন চাইলো ।
খালি একবার যদি ঐ দুপুর গুলায় ফিরা যাইতে পারতাম ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:০১