somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমুদ্রজীবন(ছবিব্লগ)-১

১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে লেখালেখি করার ইচ্ছা থেকে সামুতে নিবন্ধিত হয়েছিলাম। কিন্তু ব্যস্ততা আর বিভিন্ন কারনে হয়ে উঠেনা। গত কয়দিন আগে ট্রাই করছিলাম কিন্তু জাভাস্ক্রিপ্ট
এর কি একটা সমস্যার জন্য সামুতে আপলোড করতে পারিনি। আজ হয়ে গেল। নতুন ব্লগার হিসেবে সাজেশন আশা করছি।

নেশায় এবং পেশায় আমি একজন সমুদ্রচারী। আমাদের সেই সমুদ্রের দিনযাপন নিয়েই এই ছবি পোস্ট।


পানি কেটে এগিয়ে যাচ্ছে জাহাজ। পিছনে রেখে যাচ্ছে তার চিহ্ন। অনেকটা বালুচরে
আমাদের পদচিহ্নের মত।





অনেকেই ভাবে মেরিনার রা ফাও ফাও কত্তগুলা টাকা কামাই করে। সমুদ্রের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করে আর পায়ের উপর পা তুলে ডলার গুনে। উপরের কয়েকটা ছবি তাদের জন্য। চীনে -২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জাহাজের এই অবস্থা। ডেকের উপর থাকা অনেক দরকারি জিনিসের (যেমন মুরিং রোপ, ভারি মোটা দড়ি যা দিয়ে বন্দরের জেটিতে জাহাজটি আটকে রাখা লাগে।) উপর এরকম ভারি ভারি বরফের আস্তর পড়ে। ব্যবহারের প্রয়োজনে এগুলোকে পরে ভারি ভারি হাতুড়ি দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিটানো লাগে। আহ কি শান্তি যে তখন লাগে। :(( :(( :((


আমাদের জাহাজে অতিথি। তাইওয়ান অতিক্রম করার সময় কোত্থেকে যেন এসেছিল। পালকে ছিল কতগুলো হিজিবিজি লেখা সম্ভবত ওদের বিজয় দিবসে মুক্ত করা কিছু কবুতর। প্রচুর ঠাণ্ডা বাতাস আর হালকা তুষারপাত ছিল তখন। মিঠা পানি আর খাবারের অভাবে এদের মরমর অবস্থা। দুর্বল পাখিগুলো তাই অসহায় হয়ে আমাদের জাহাজেই আশ্রয় নিয়েছিল। ওদের জন্য আয়োজন করে বাসা বানানো হল। পানি, খাবার দেয়া হল। মজার ব্যাপার হল পরে এরকম আরও ১১ জোড়া কবুতর এসে আশ্রয় নিয়েছিল আমাদের জাহাজে। ইচ্ছা ছিল কোন একটা পোর্টে (যেখানে শীত নাই) ছেড়ে দিব। বিভিন্ন দেশের কাস্টমস পোষা পাখি নিয়ে ঝামেলা করে। পাখি থেকে বিভিন্ন রোগ ছড়ায় তাই। এর জন্য অনেক দেশে কঠিন জরিমানাও হয়। চীনে এবং রাশিয়ায় তাই লুকিয়ে রাখা হল। পরে ভারতের গোয়াতে এসে ছেড়ে দিয়েছিলাম। /:)



বরফের আরো কিছু ছবি। রাশিয়ান একটি বন্দর ভ্লাদিভস্তকের বহিনোঙ্গর থেকে তোলা। এরা ভালো বরফ। জাহাজের আশেপাশে পানিতে ভাসছিল। উপরে উঠে ভেজাল লাগায় নাই। তবে তুমুল ঠাণ্ডায় আমাদের মত আমাদের পতাকার ও জড়সড় অবস্থা। উড়ার কথা মনেই নাই। সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে যখন বাইরের দেশে নিজের দেশের পতাকাটিকে সগর্বে উড়তে দেখি। :)



উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের দোলা। সাউথ চায়না সী জাহাজ এবং জাহাজিদের এই ফিলিংস দেয়ার জন্য অঙ্গিকারাবদ্ধ। ও ভালো কথা। আমাদের বঙ্গোপসাগরও কিন্তু কম যায় না। কেউ এই ফিলিংস পাইতে চাইলে জুন জুলাই মাসে পতেঙ্গা সি বীচ থেকে একটা লাইফ বোট ভাড়া করে কয় ঘণ্টা গভীর সমুদ্রে গিয়ে ঘুরতে পারেন। অন্তত ১০ ভাগের ১ ভাগ ফিলিংস পাবেন আশা করা যেতে পারে। ;) ;)


নীল সমুদ্র। এই দৃশ্যটা প্রতিদিন দেখি। তবু খালি দেখতে ইচ্ছা করে।
পুরান হয় না। B-)

কেমন লাগলো জানাবেন। ভবিষ্যতে এসব নিয়ে আরও পোস্ট করব মনে হয়। দেশের বাইরে যাচ্ছি কিছুদিনের জন্য। পরে এসে আবারো দেখা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×