“৩০ লাখ শহীদের নাম প্রকাশ করুন: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়"
অবাক হওয়ার কিছুই নয়, কাল সে একথা বলেছে অার কিছুদিন পর বলবে শহীদদের বাবা, দাদা ও চোদ্দগোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করুন। যদি অাল্লাহ অারও ২০/৩০ বছর দুনিয়ায় রাখে তবে এদের মুখ থেকেই শুনতে পারবেন-"৭১ এ কোন গনহত্যা হয়েছে বলে অামার মনে হয় না। সবই কল্পকাহিনী "।
অাসলে কি বলবো এসব নির্বোধ পাকি ভক্তদের?? শহীদদের ৩০ লক্ষ সংখ্যা নিয়ে তাদের হঠাৎ জ্বলা শুরু করলো কেন? দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই ৩০ লক্ষ শহীদই সব সরকার বলে এসেছে। এমনি তাদের সরকারও যখন ক্ষমতায় ছিলো তখনও তারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ৩০ লক্ষই বলতো। হঠাৎ ২০১৬ তে এসে তাদের কেন এই সংখ্যাটা মেনে নিতে সমস্যা দেখা দিলো??? তাদের পাকি প্রভুদের মন খুশি করার জন্য??? অাজ গয়েস্বর রায় বাবু শহীদদের নাম চান? ভারতে শরনার্থী শিবিরে ৮ লক্ষ শিশুর উপরে মারা গেছে অপুষ্টিতে। তাকে এই ৮ লক্ষ শিশুর নাম বলতে বলেন। বিভিন্ন বধ্যভূমি থেকে লক্ষ লক্ষ চোখ, লক্ষ লক্ষ মানুষের মাথার খুলি পাওয়া গেছে। হত্যার পর লক্ষ লক্ষ লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে, কুয়াতে ফেলা হয়েছে, গর্ত করে পুতে রাখা হয়েছে। এসব লক্ষ কোটি শহীদদের নাম গয়স্বর বাবু সহ খালেদাকে বলে দিতে বলেন সরকার নয় অামি জরিপ করে নাম দিবো অাপনাদের।
খালেদা বলে-"৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়েও বিতর্ক অাছে।" বিতর্কটা করতো কে? এদেশে গণহত্যা হয়েছে, এত লক্ষ লোক হত্যা হয়েছে এসব অস্বীকার করতো কে? পাকিস্তান এবং তাদের এদেশের দোসর রাজাকারর অাল-বদররা। তাহলে তাদের সাথে গলা মিলিয়ে তিনিও কি দেশবিরোধী বক্তব্য দিলেন না???
বলে রাখি, সেই সময়ে বিখ্যাত সব পত্রিকায় ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা এমনি এমনি লেখা হয়নি। তারা একটা জরিপ করেই লিখেছে। তাহলে এই সংখ্যাটা মেনে নিতে বিএনপির কেন এত ভয়?? পাকি প্রভুরা মনঃক্ষুণ্ণ হবে তাই????
এসব কুলাঙ্গারদের বলে রাখি এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বক্তব্য দিয়ে দেওলীয়ার পথে অারও এগিয়ে বিএনপি। এই সোনার বাংলায় থাকতে হলে, রাজনীতি করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ৩০ শহীদের সংখ্যা মেনে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে। নয়তো ঘাড় ধরে পাকিস্তান পাঠানো হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২১