somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বইমেলা ২০১৯, বই ৪৮. ৪৯. ৫০. ৫১

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



#বইমেলা২০১৯
#বই৪৮৪৯৫০৫১

৪৮.

আচমকা উনার প্রোফাইল দেখি, বাপ্পী ভাই জানালেন উনার এটি প্রথম বই।

লেখিকা তো শুধু লেখিকা না, উনাকে আসমানের মালিক আল্লাহ একদম ভরপুর শৈল্পিক গুণ হিসেবে জমিনে পাঠিয়েছে।

একই সাথে উনি একজন গায়িকা, যার একটি নতুন অ্যালবাম সম্ভবত ৩ ফেব্রুয়ারি আসছে।

একই সাথে উনি লেখিকা, যার বই আপনারা শীঘ্র পড়বেন।

অধিকিন্তু, তিনি একজন দুর্দান্ত মহিলা প্রতিমাণ (ফিমেল মডেল),

একজন নান্দনিক কবি,

একজন মিষ্টি সুরে মোহ জাগানো কন্ঠের গায়িকা।

এর আগে, সবার আগে, উনি একজন ডাক্তার।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে কলেজে উনি এখন পড়ছেন!

ডাক্তারি পড়েও এত্তোকিছু করা যায়!

বাপরে!!

কিভাবে সম্ভব?!

উত্তর তো সবার প্রমাণে আছে এখন।

আর, যদি এখন বইয়ের কথা বলতে চাই, তবে.....

থ্রিলার বরাবরের মতো আমার দূর্বল স্থান, এরসাথে আবার রোমান্টিক, উপর্যুক্ত হিসেবে সাইকোলজিক্যাল।

দেশের সাহিত্যে রোমান্টিক থ্রিলার নেই, থাকলেও নেই। তবে, লেখিকা'র এই বইটি আমার আক্ষেপ হয়তো মিটিয়ে দিবে।

আর,

অন্যদিকে, বেশ ভালো হলো। কারণ, নিজেও রোমান্টিক-থ্রিলার লেখছি।

এবার না হয় লেখিকার বই পড়ে কিছু শিখতে পারা যাবে। তবে, লেখিকার বইতে মনস্তত্ত্ব আর রোমান্স প্রাধান্য পেয়েছে।

বইটির প্লট সম্পর্কে সামান্য কিছু ক্লুঃ

প্রান্তি- অসম্ভব প্রাণবন্ত একটি মেয়ে। জীবনকে দেখতে শিখেছে একটু অন্যভাবে। পড়াশুনা,লেখালেখি,গান,বন্ধুবান্ধব-সবাইকে নিয়ে দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল বেশ।

হঠাৎ একদিন প্রান্তির জীবনের চিরচেনা সমীকরণ পলকেই পাল্টে গেলো। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এন এস আই এর একজন এজেন্ট হিসেবে দেশে হতে যাওয়া এক সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করার দায়িত্ব এসে পড়ল প্রান্তির কাঁধে।

এক সন্ত্রাসবাদীর জীবনের সাথে নিজের জীবন জড়াতে বাধ্য হল প্রান্তি। এক অভিনব চিত্রনাট্য অনুযায়ী সেই সন্ত্রাসবাদীর সাথে প্রতি মুহূর্তে ভালোবাসার অভিনয় করতে লাগল।

উদ্দেশ্য হামলা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ! এরপর থেকেই সমান্তরাল দুই পৃথিবীতে বসবাস ওর। দ্বিতীয় জগতের প্রতি মুহূর্ত কাটে অনিশ্চয়তায়-'এই বুঝি ধরা পড়ে যাব'। প্রতি পদক্ষেপে ধূসর মৃত্যুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অনেক রহস্যের জট খোলে প্রান্তি।

লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি যেতেই ঘটলো অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা।

প্রান্তি বুঝতে পারল ও আসলে এক বৃত্তে বন্দি হয়ে পড়েছে। মুক্তি কি আছে ওর?

রহস্যের সমাধানটুকু জানতে হলে চলে আসুন, আসুন...

প্রকাশনঃ অন্বেষা
প্যাভিলিয়ন নম্বরঃ ১৮
বইয়ের ধরনঃ মনস্তাত্ত্বিক রোমান্টিক রহস্য
পৃষ্ঠা সংখাঃ ১৫৮

বলছিলাম নবীন লেখিকা ও নান্দনিক সাহিত্যানুরাগী Maliha Tabassum Smita এর কথা।

আপনার প্রথম বই ছড়িয়ে যাক উচ্চে, আপনি ছড়িয়ে যান প্রাচ্যে!



৪৯.

লেখক ও গায়ক আমাদের বেশ প্রিয় আর সেলেব্রেটি Bappy ভাই।

অনেক বছর পর, #নিশাচর এর পর এবারের বইমেলায় ভাইয়ের "হার না মানা অন্ধকার" আবারো আসছে।

দুর্দান্ত এক কাহিনী নিয়ে 'বাতিঘর' থেকে বেরিয়ে আসছে সবকিছু। আগুন হয়ে পুড়িয়ে দিবে গত বইয়ের মতো এটিও।

বইয়ের প্রচ্ছদ এখনো আসে নি, তাই ছবি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আসামাত্র, জানিয়ে দেওয়া হবে।

"হার না মানা অন্ধকার" এর কাহিনী সংক্ষেপঃ

ট্যাবলয়েড পত্রিকা 'সত্য-কলাম'কে টিকিয়ে রাখতে
প্রকাশক রফিক শিকদার সাহায্যের আবেদন নিয়ে
ছুটে গেলো দীর্ঘদিনের বন্ধু’র কাছে।

এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখিমুখি হয়ে তার মনে পড়ে
নিজের ফেলে আসা অতীতের কথা।

কিছু সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলো সে।

আর এ সিদ্ধান্তের জন্যই রফিক শিকদার দেখলো, শুনলো এবং জানলো উদ্ভট কিছু ঘটনার কথা।

অবশেষে মানতেও বাধ্য হলো, আলো'র বিপরীতেই আছে আঁধার।

হার না মানা অন্ধকার।

সুপার ন্যাচারাল ধারার এই নোভেলাতে উঠে এসেছে অদ্ভুত কিছু ভয়ের উপাখ্যান!

উফফ!!

কি দারুণ, তাই না?

আর, যারা #নিশাচর পড়েন নি, তাদের জন্য কাহিনী সংক্ষেপঃ

নাফিস এক হতাশাগ্রস্ত যুবক, সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজকেই হবে তার জীবনের শেষ দিন।

ওদিকে শৈশবে নানা অবহেলা আর বঞ্চনার শিকার গনিউলের চোখে ধ্বংসের নেশা।

ইমাদুল হাসান ভাবছে আজ রাতের ডিউটিটা কখন শেষ হবে। আদৌ শেষ হবে তো?

দায়িত্ববান সাফওয়াত খুঁজছে মুক্তির পথ।

কিন্তু, এদের সবার নিয়তি এক সুতোয় গাঁথা-যেখানে সিকান্দার চায় রক্তের হোলিউৎসব!

এমনই কিছু নিশাচর মানুষদের এক রাতের গল্প এটি... সুদীর্ঘ যে রাত শেষ হতেই চায় না !

ভাবছেন, মার্ডার থ্রিলার বা সমকালীন কিছু!?

ভুল করবেন এটা ভাবলে!!

পড়ার আমন্ত্রণ।

এবার বাতিঘরের স্টলঃ ১১৫-১১৬


৫০.

Kishor Pasha Imon এর বেশ দুর্দান্ত আর চমকপ্রদ বই আসছে #ছারপোকা নামে, বাতিঘর থেকে।

বাতিঘর এখনো সেটির প্রচ্ছদ প্রকাশ করে নি, হাতে পেলে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

তবে, কাহিনীর মধ্যে রয়েছে দুর্দান্ততা। নামের মাঝেও রয়েছে বেশ রহস্যময়তা।

৫১.

সাই-ফাই লেখক সুলতান আযম সজল, যার বইয়ের কাহিনী পড়বার পর আমার মনে হয়েছে এটা পড়া উচিত।

পড়তে হবে।

ফ্ল্যাপ থেকেঃ

অবশেষে ধরা পড়ে গেছে একজন, যে আড়াই’শ বছর ধরে পলাতক। এখন ছিনিয়ে নেওয়া হবে যা তার ছিল।
কী নিয়ে সে পালিয়েছিল? কেনই বা পালিয়েছিল? কোথায় পালিয়েছিল?

তনিমাই বা কেন মরিয়া হয়ে উঠলো, তার পূর্ব প্রজন্মদের দেওয়া কথা রাখার জন্য! সে কি পারবে সেই স্বপ্নপূরণ করতে?

হাইকিং করতে আসা ছেলেটি কে? কী তার উদ্দেশ্য। কেনই বা সে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে লাগলো আজাদকে নিজের অজান্তে। . জাফতিন কি পারবে ভালোবাসার মানুষকে পেতে? নাকি পাওয়ার পরও হেরে যেতে হবে তাকে ভালোবাসার মানুষের জীবন থেকে?

ড. একরাম কিভাবে সফল হয়েছে তার গোপন পরিকল্পনায়! কতটুকুই বা সফল হয়েছে? . বায়োবট কি আসলেই শান্তি নিয়ে আসবে নাকি অশান্তি! . ক্রমে ক্রমে খোলাসা হয় অনেককিছু। জানা যায়, আসলে কে পলাতক। কিসের জন্য পলাতক। কার জন্য পলাতক।

বেরিয়ে আসে এমন সব সত্য যা জানা ছিল না কারোই। উঠে আসে এমন কিছু যা করে দেয় স্তব্ধ। . সবকিছুর উত্তর ও ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে সজল চৌধুরী’র “পলাতক” বইটিতে।

পাঠককে আমন্ত্রণ অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর সত্যের এক সাই ফাই থ্রিলারের জগতে।

#বইয়েরদুনিয়ায়স্বাগতম


সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০২
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×