somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“আফগানিস্তান ও শান্তি”

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বাংলা প্রবাদে আছে, “চোরের দশদিন আর গেরোস্তের একদিন,” সম্ভবত এই কথাটা আফগানদের জন্য প্রযোজ্য। তবে হ্যাঁ, অবশ্য ই, এখানে গেরোস্তের ভূমিকায় রয়েছে আফগানরা।

বরাবরের মতো চোরের ভূমিকা পালন করছে মহামান্য যুক্তরাষ্ট্ররা!

আফগানিস্তানের শান্তি প্রতিষ্ঠ্র জন্য ‘দোহা’য় যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগান তালেবানদের মধ্যে শান্তি চুক্তির অগ্রগতি হচ্ছে, হয়েছে।

অনেকে হয়তো ‘তালেবান’ শুনলে আঁৎকে উঠেন, ভাবেন হায়! হায়!!

শেষ-মেষ এই হালত?

আফসোস!

গুটি কয়েক ‘মানুষ’ এর শব্দ ব্যবচ্ছেদ আমরা গোঁড়ামির ভিতর ডুবে আছি, যেমন আছি ‘রাজাকার’ শব্দটা নিয়ে!

যাই হোক,

তালেবান মূলত এসেছে আরবী তালিব শব্দ থেকে। যার অর্থ হল জ্ঞান তলবকারী, শিক্ষার্থী, ছাত্র। আরবী তালিব শব্দের সাথে ফারসী ভাষার বহুবাচনিক উপসর্গ আন/আঁ যুক্ত হয়ে হয়েছে তালিবান বা তালেবান অথবা তালেবাঁ।

মার্কিন কর্মকর্তাওরা নিজেদের হার মেনে নিয়ে, একটা দেশকে ধ্বংস আর করতে না পেরে, নিজেদের হতাশাকে শেষমেষ আঁকড়ে ধরে এখন আফগানদের সাথে ‘খসড়া চুক্তিতে’ পৌঁছার চেষ্টা করছে।

এবং, এটি হতে পারে তাদের নতুন চাল!

অসম্ভব কিছু কি?

মার্কিনদের চাটুকার, শালীন ভাষায়, মার্কিন আলোচক দলের প্রধান জালমে খলিলজাদ ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়েছেন যে, ‘প্রয়োজন হলে সামরিক চাপ বাড়িয়ে হলেও আফগানদের আলোচনার টেবিলে ফিরে আনা হবে।’

আমি মনে মনে বলি আর হাসি, “ব্যাটা, বাপের আগে পোদ্দারি করতে যাস নে। বাপ বড়, তোরা পুঁচকে!”

তালেবান নেতারা আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির উপর ক্ষুদ্ধ। কারণ, প্রেসিডেন্ট জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) কে সংযুক্ত আরব আমিরাত পাঠিয়েছিলেন ‘আলোচনা’র জন্য!

এদিকে, সৌদি আরব বরাবরের মতো দর্শকের ভূমিকায় থাকায় চোরেরা নিজের কাজ করে যাচ্ছে। যদিও সেখানে সৌদি আরবের লোকসানের চেয়ে লাভের পরিমাণ বেশি!

আফগানিস্তান এখন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনীতি অঞ্চল (ইকোনমি ফিল্ড), বিশেষ করে পাকিস্তান, চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের জন্য।


আব্বা এবং আম্মা উভয়ের ভূমিকার জন্য রাশিয়া যথেষ্ট এবং নিজেদের স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য এখনো স্থির হয়ে আছে। তবে, ঝড় কখন উঠবে আল্লাহ মাবুদ জানেন!

যাই হোক, পাকিস্তান নিজেদের স্বার্থে একবার ডানে দুল খায়, ক্ষাণিকবাদে বামে। ‘দোহা’য় আলোচনার মাঝামাঝি সময়ে তালেবান আলোচক দলে ‘মোল্লা বারাদার আখুন্দকে’ নিয়োগ দেওয়া হয়, তিনি তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও মোল্লা উমারের ডেপুটি।

আহ!!

মোল্লা উমার (রহ.)!

ওয়াশিংটনের বৈদেশিক নীতির সবেচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসা। কারণ, যুদ্ধে যে জিততে পারবে না এটা উনাদের বোধগম্য হয়ে গিয়েছে। এখন হয়তো, ‘আদর করে বিষ খাওয়ানোর’ কাজ চলছে।

দেশটির সতেরো (১৭) বছরের যুদ্ধ দেশটিকে আরো বিভক্ত করেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয় ও বিভিন্ন অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ বভাড়ার সাথে সাথে আফগান তালেবান সদস্যরা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।

সুইজারল্যান্ডের পার্বত্য পর্যটন শহর ‘দাভোস’ এ আফগান প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে প্রিয় মিত্র ও মালিক, যুক্তরাষ্ট্রের, প্রত্যাহারের পরিকল্পনা ও কাবুল সরকারের ‘যথেষ্ট উদ্বেগ’ এর মধ্যে বিদ্যমান যথেষ্ট পার্থক্যের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

আফগানিস্তান অতীত থেকে এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিস্থল হিসেবে পরিচিত, আর এই জমিনের বুকে বহু প্রাচীন বাণিজ্য ও বহিরাক্রমণ ঘটেছে, রক্তে ভিজেছে। রক্তে শুকিয়েছে এই জমিন।

কিন্তু, আজ পর্যন্ত কেউ ‘আফগান’কে নিজের মুঠোয় করতে পারলো না।

যেখানে চোখ যাবে, যেখানে কথা পৌঁছোবে, সেখান থেকে আফগান নিয়ে প্রহেলিকা আসবে। তালেবান নিয়ে কুৎসা আসবে।
কিন্তু, সত্যতা আসবে না।

কারণ, “সত্য ততক্ষণ মজাদার, যতক্ষণ পর্যন্ত সেখানে মিষ্টি থাকে।”

অবশেষে, এটি একটি শান্তির গল্প হিসেবে আখ্যায়িত হলো!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×