ভাল না লাগা কিছু অনুভুতি;
কয়েকটা সমার্থক প্রেম। তারপরে তে,
বড় রাস্তার কৃষ্ণচুড়া গাছটা যে দিকে বেকে গেছে
সে মুখো পুকুরের টলটলে ঘোলা জলের মত
চোখ বেয়ে নামা অনেকখানি তরল।
সবকিছু কেমন ঝাপসা,
মুখের ভিতর নোনতা একটা স্বাধ চট করে জীভে লাগে।
সেসব পাশ কাটিয়ে চলতে চলতে
হঠাৎ সামনে পরে কালো মতন
একটা অবয়ব।
নাহ,ঠাওর করা যাচ্ছেনা! শুধুই একটা অবয়ব।
অনেকের অনেক স্মৃতি সামনে আসে
বারবার,বেহায়া কাঁকের মতন।
স্কুলে যাবার স্মৃতি, বাবার কাধে উঠে খেলা করা
শেষবার আইসক্রিমের ধোয়া একসাথে দেখবার স্মৃতি।
অগোছালো, অবিন্যস্ত বড্ড এলোমেলো সব।
তারচেয়ে চলো গল্প করি,
নদীর গল্প, মাছের কিংবা গাছের গল্প
আকাশী নীল পরীর গল্প।
জীবন শেষে'র ঘুমের গল্প
ঘুম পাড়ানী মাসি পীসি মোদের বাড়ি এসো
খাট নাই পালং নাই পীড়ি পেতে বসো।
আজকাল কেমন যেন সব!
খোকারা ঘুমোয় না, পাড়া জুড়োয় না
দেশে বর্গীরা যার ইচ্ছে মতন আসে
ঘুরে ফীরে চলেও যায়।
মাথা ঘামানোর মত মাথা আজকাল
খুজে পাওয়া মেলা ভার হয়েছে, জানো?
আমরা বরং অন্য কিছু বলি।
কে কি বলতে চায়, তুমি কি শুনতে চাও
সেসব ভেবে বলতে গেলো অনেকটা সময়
পার হয়ে যাওয়ার পর যেই আলসেমীটা লাগে
সেটা একদুপুর ধরে রাখতে পারলে
মনে হয় জীবনটা বুঝি সার্থক।
তুমি কি পরিপুর্ন সার্থক জীবনের সংজ্ঞা জানো?
গল্প জানো?
কিংবা যে সুঠাম পুরুষটা আজ দুপুরে
অচীন গ্রাম্রে চলে গিয়েছে, মাসখানেক পরে
তার কথা ভেবে দুফোটা চোখের জল ফেলে
তৃপ্তির ঢেকুর তোলা কতটা পাশবিক
সে খোজ রাখার সময় কি পায় সামাজিক মানুষ!
সব কেমন গোলমেলে, বড্ড এলোমেলো
ঠাওর করা যাচ্ছেনা।
জীবন একটা শুধুই কালো মতন অবয়ব
ঠিকমতন তাকিয়ে ঠাওর করতে করতেই
ফুসস্ করে চলে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৩