গত সন্ধ্যার পর থেকে আমি ভাল আছি,
এই শুন্য আকাশ, নশ্বর পৃথিবীতে
একলা আমি;
হঠাৎ উপলব্দি,এ যেন এক নতুন জন্ম!
তারপর থেকেই কেমন ভাল লাগায়
উদ্ভাসিত আমার নাক,মুখ,চোখ, চুল।
সদ্য কৈশোর পেরোনোর মত অনুভুতি
অকস্মাত খোলস ছেড়ে দেবার মত,
ইদের দিনে নতুন কাপর গায়ে জড়ানোর
মত করে সমস্ত রক্তে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে চঞ্চলতা।
এ যে বিরামহীন যন্ত্রনার পর
এক ঝাক মুক্তির বাতাস।
আর ওই সবগ্রাসীকে কাছে ভীড়তে না দেয়ার
ধণুভাঙ্গা পণ।
তারপর আজকের এই প্রস্ফুটিত বিকালে
একদম হুট করেই ছেলেবেলায় চলে যাওয়া।
যেখানে কষ্ট কেবল
ফুটবলটা ছিড়ে যাওয়া কিংবা
বড়দের ক্রিকেট ম্যাচে ব্যাট করতে না পারা।
আর কোন কষ্টই যেন নেই!
ঘন্টাদুয়েক পর,
সেখান থেকে দুম করেই যেন বড় হয়ে গেলাম।
কাধে পড়লো বাবা'র রেখা যাওয়া
দায়-দায়িত্ব,
মায়ের জন্য জড়ো করে রাখা একগাদা দুঃখ,
তার দেখভাল।
বাজার সদাই থেকে শুরু করে
বিদ্যুত বিল, বাড়ি বাড়া সব যেন
একফালি আকাশ থেকে দুম করে মাথায় পড়লো।
একটি হাত চেয়েছিলাম!
সহায়তার জন্য নয়,
যেন ক্লান্ত আমি সব দায়িত্ব শেষে
কোমল পেলবতায় ভরা একটা হাত চেপে ধরতে পারি।
যে হাত এক মুঠোয় নিয়ে ভুলে যেতে পারি
সকল ব্যর্থতা, সারাদিনের ভুল,কটু কথা।
যেন নতুন করে অনুপ্রেরনা পাবার একটি হাত।
একটি হাত কি এতই দামী?
প্রতিটা মুহুর্তে মুহুর্তেই যেন বুঝতে পারছিলাম।
এই নশ্বর পৃথিবীতে কেউ কারো জন্যে বসে নেই।
সবাই ছুটছে যান্ত্রিক গোলকধাঁধা'র শহরে
বড় ছাদটা থেকে ঘুড়ি উড়ানোর জন্য।
আমি শুধু বেমাক্কা কেটে যাওয়া
ঘুড়িটার মতো করে পাক খাচ্ছি বাতাসে
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে হুট করে হারিয়ে যাবো;
বালকের ঘুড়ি হারানো অভিমানী মুখ তলিয়ে যাবে
শত চেষ্টা করেও দেখতে পাবোনা,
ফীরতে পারবোনা ওই বিকেলে।
ছবি কৃতজ্ঞতায় :অত্বিন বর্ষন
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৬