মহাকাশ- যার শুরু বা শেষ কোনটাই নেই, তার উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে গ্র্যাভিটি সিনেমা। মুভির মূল চরিত্র রাইয়ান স্টোন(সান্দ্রা বুলক) তার মিশনে গেছেন ম্যাটসহ অন্যান্যদের সাথে। হঠাৎ রাশিয়ান একটি মিজাইল একটা স্পেস শাটল এ আঘাত হানে, ফলে মহাকাশে একটি রিঅ্যাকশন শুরু হয়। ফলশ্রুতিতে সবাই মারা যায়, বেচে থাকে শুধু স্টোন এবং, ম্যাট। শুরু হয় তাদের বেচে থাকার লড়াই।
এদিকে, স্টোনের অক্সিজেন কমতে থাকে। সে ভাবে আর বাচবে না, কিন্তু, ম্যাট তার দার্শনিকতা দিয়ে, তাকে উৎসাহিত করতে থাকে, অবশেষে তারা স্পেস শাটল এ আসে কিন্তু ম্যাট ঠিকমত ল্যান্ডিং করতে পারে না। স্টোন তাকে কোনরকম ধরলেও ম্যাট বুঝতে পারে এভাবে থাকলে দুজনই মারা যাবে। তাই সে নিজেকে মুক্ত করে দেয়। এরপর শুরু হয় স্টোনের একার লড়াই। শাটল এ আগুন, অক্সিজেন কমে যাওয়া, শাটল সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকা প্রভৃতি সমস্যা মোকাবিলা করে একসময় সে পৃথিবীতে আসে।
চলচ্চিত্রটির সবচেয়ে অসাধারণ দিক ছিল গ্রাফিক্স। মহাকাশ থেকে পৃথিবীর যে ভিউটা দেখানো হয়ছে, সেটা ভোলার মত নয়। আর তার সাথে রয়েছে ম্যাট এর দার্শনিক চিন্তা-ভাবনা।
আর নিঃসঙ্গতা যে কত কষ্টের তা এই মুভি দেখলে বোঝা যায়। মুভিটির এক পর্যায়ে স্টোন যখন চাইনিজ শাটলে পৌছায়, তখন সে রেডিও ওয়েভের মাধম্যে পৃথিবী থেকে কুকুরের ডাক শুনতে পায়, এবং তার প্রতিক্রিয়া দেখে যে কারোরই মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
আর মাত্র দুজন অভিনেতার মাধ্যমে কিভাবে একটি অসাধারণ চলচ্চিত্র তৈরি করা যায়, তা এই মুভিটি না দেখলে বোঝা যাবে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




