রাকিব খান : নড়াইলে এখন বাণিজ্যিকভাবে তৈরি হচ্ছে জৈব চিত্রা সার। শহরের উজিরপুর অর্গানিক বহুমুখী সমবায় সমিতির তৈরি চিত্রা জৈব সারের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে কৃষকদের মাঝে।
বিভিন্ন ফসলে এ সার ব্যবহারে একদিকে মাটির গুনাগুন যেমন ঠিক থাকছে, তেমনি ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা।
নড়াইলের এসব বিস্তৃণ্য জমিতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে চিত্র জৈব সার। আর তাতে সবুজ সতেজ হয়ে উঠেছে জমির ফলন।
পান, সবজি ও ধানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলে কৃষকরা এখন ব্যবহার করছেন চিত্রা জৈব সার।
পৌর এলাকার উজিরপুর অর্গানিক বহুমুখী সমবায় সমিতির এই চিত্রা সারের ব্যবহারে ফসলের উৎপাদনও হচ্ছে ভালো।
কৃষকরা বলেন, এই সার ব্যবহারের ফলে আমাদের জমির ফলন অনেক ভালো হয়েছে। জমিতে এই সার অনেক কম লাগে। এই সার ব্যবহারের ফলে জমিতে শক্তি বৃদ্ধি পায়।
জমিতে প্রতি শতকে যেখানে ৩ থেকে ৪ কেজি রাসায়নিক সার লাগতো, সেখানে জৈব সার লাগে সর্বোচ্চ এক কেজি।
অর্গানিক বহুমুখী সমবায় সমিতি সাধারণ সম্পাদক সায়েদ আলী শান্ত বলেন, রাসায়নিক সারের খরচ দিনদিন কৃষকের বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি জৈব সার কৃষকরা সঠিক মাত্রায় জমিতে ব্যবহার করে তাহলে আস্তে আস্তে রাসায়নিক সারের ব্যবহার অনেক কমে আসবে। পাশাপাশি তাদের উৎপাদন খরচও কমে যাবে।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে এই ধরনের জৈব সার জমিতে ব্যবহরের জন্য। আমি আশা করছি আস্তে আস্তে এই কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত হবে।
জেলার উজিরপুর অর্গানিক বহুমুখী সমবায় সমিতির বর্জ্য মিশ্রিত চিত্রা জৈব সার প্রস্তুত ও প্যাকেটজাত করতে সময় লাগে প্রায় ৪০ দিন।