গন আন্দোলন গড়ে তোলা যাবে না বেগম খালেদা জিয়া। আপনি মিছে মিছি ঘুরে মরছেন। আপনার গৃহ পালিত পশুগুলি কিছু কিছু আকাম কুকাম করে পুলিশর গুলির খোরাক হচ্ছে মাত্র। গন আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে কিছু কিছু সংগত কারণ দেশময় বিরাজ করতে হয়। তৃনমুল পর্যায় অভাব অনটনই গনআন্দোলনের প্রধান অনুসঙ্গ যা এই মুর্হুতে দেশে অনুপস্থিত। বাংলাদেশের নিম্নআয়ের মানুষগুলিকে আর হেলাফেলা করা যাবে না। তারা দেদার কামাচ্ছে রিক্সা চালক থেকে শুরু করে তরিতরকারি ওয়ালা, মাছ ওয়ালা, দিন মজুর সবাই সাবাই বেশ ভাল আছে। কেন তারা খামাখা আপনার দেখানো হিংসার পথ বেছে নেবে। তবে হা আপনার সামনে এখন একটা রাস্তাই খোলা আছে। যদি আপনি আপনার গৃহ পালিত মৌলবাদিদের বুঝাতে পারেন যে, এই সরকার যা কিছু করছে সবই দীন ও ইসলাম বিরোধী। সেই ক্ষেত্রে যে একটা সম্ভাবনা আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বড়ই নিষ্ঠুর প্রকৃতির একজন মহিলা। তিনি কিভাবে যেন আপনার স্থানটি ছিনিয়ে নিয়েছেন। আপনি যখন জামাত ও হেফাজতে ইসলাম নিয়ে মেতে থাকেন। ঠিক তখনি ঐ নচ্ছার মহিলাটি ইসলামি আন্দোলন না আর কি কি ব্যানারের মুসরমানদের নিয়ে ক্ষেপে উঠে। আপনার স্বাধের ইসলামের মধ্যেও তিনিও ভাগ বসিয়ে ফেলেছেন এই নচ্ছার হাসিনা ওয়াজেদ। তার কথাও এখন আলেম সম্প্রদায় শুনছেন। তার পক্ষেও সোডাউন হচ্ছে। এই মৌলবাদির খেলাতেও সম্ভবত আপনি আর তাকে হারাতে পারবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের পাশে গিয়ে দাড়িয়ে আপনি ঢুবেছেন তুলেমুলে। এটা এখন প্রমানিত সত্য। বাংলার মানুষ তাদের ফাসি চায়। আপনি চান না। আপনার শাকা চৌধুরী সেবক র্নিয়াতনের মামলা খেয়ে বড়ই নাজেহাল অবস্থা। ঠিকমত কথাবার্তাও নাকি বলছেন না। আর আপনার ছাইদি হুজুরের প্রেমের ফোনালাপের ভিত্তিতে যৌনবিজ্ঞেনে নতুন একটি অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে। "ঝুলন্ত পায়ের টেবিল পোষ্চার", দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই পোষ্চারটি। এতে করে নাকি কলিজা পর্যন্ত পৌছে যাওয়া যায়। নরনারী উভয়েই বেশ খুশি। আম্বারা তার মত একজন যৌন বিশারদের মৃত্যুদন্ড দিয়ে দেশ ও জাতীর যে কত বড় ক্ষতি করল তা পরে হারে হারে ঠিকই টের পাবে।
বাংলার মানুষ আপনার কুটকৌশলের কাছে আর বিক্রি হবে না। আপনি হয়তো অভিযোগ তুলতে পারেন হাতীর ঝিল প্রকল্প থেকে জয় শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্র দুইহাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছেন। তারিক আর কোকোর বেলায় ঠিক ঐ একই গল্প বাজারে চালু ছিল বলেই বলছি। কিন্তু এখানে একটু অসুবিধাও আছে প্রকল্পটি শুরু থেকে সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সবই সেনাবাহিনীর খবরদারিতে হয়েছে। অতএব এটা বলে হালে পানি পাবেন না। তার চাইতে আপনি বরং বলুন শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের নামে গরিব মানুষের টাকা গুলি দিয়ে উড়াল রাস্তার নামে ঢাকাকে অন্ধকারের নগরীতে পরিনত করেছেন। ঢাকা সত্যকার অর্থেই যেন ঢেকে দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। বৃষ্টিস্নাত দিনে প্রেমিক প্রেমিকা যখন ঐ উড়াল রাস্তার নীচে দাড়িয়ে পরস্পরের গালে হামি খাবে তখন হয়তো শেখ হাসিনার এই কৃতকর্মের জন্য তারাও তাকে ধন্যবাদ দেবে। বির্তকীত পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক পানি ঘোলা হয়েছে। দেশিও মুদ্রায় কাজ শুরুও হয়েছে র্দুনীতিও হয়েছে ম্যালা। র্দুনীতি আমাদের জাতীয় চরিত্রের একটি বিশাল অর্জন যা শহীদ জিয়া প্রতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছিলেন। হা আমি মানি দেশিও মুদ্রায় র্দুনীতি হলেও হতে পারে কিন্ত যে অর্থ অর্থাৎ বিশ্ব ব্যান্ক ও জাইকার টাকা ছাড় না হতেই র্দুনীতি ফাদার গল্পটি কিন্তু ধোপে টেকেনি। হাসিনার সাহসি কন্ঠস্বর বার বার প্রতিবাদ করে বলেছে যে টাকা আমি পেলামই না তা আমি খাব কি ভাবে এর কোন সদউত্তর কিন্তু কেউ দিতে পারেনি। লোডসেডিং হলেই মানুষ বলত শেখ হাসিনা হয়েছে। এখন মানষ আর এসব কথা বলতে পারছে না। বাংলাদেশ এখন ইচ্ছা করলে চব্বিশ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে কিন্তু জনগনকে বেশী পয়সা গুনতে হবে দেখে সরকার সেদিকে যাচ্ছে না। কৃষিতে মতিয়া আপার প্রশ্নাতীত সাফল্য আপনি কিভাবে অস্বীকার করবেন। কিংবা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কৃত্তির কথা।
অতএব ছাইদি হুজুরকে চাদে দেখে যারা থানা আক্রমন করে বসলো তারা যদি আপনাকেও মঙ্গলের বুকে দেখে ফেলে তো বাংলাদেশের অবস্থাটা কি হবে একটিবার ভেবে দেখেছেন। তখনতো দেশে গৃহ যুদ্ধ অনিবার্য। অযথাই লৌকিকতার মধ্যে অলৌকিকতার বিষ ঢুকিয়ে জাতীর সাথে প্রতারনা করা বন্ধ করুন।
এই লৌকিক পৃথিবীতে অলৌকিকতার কোন স্থান নেই থাকলে আপনিই সর্ব প্রথম শেখ হাসিনাকে তাবিজ বা বান মেরে, মেরে ফেলতেন। সেটা সম্ভব নয় দেখেই কেউ কাউকে মাড়তে পারছেন না। এইতো গত সেশানে বাধ্য হয়ে আপনি গ্রেনেড মেরে হাসিনাকে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু আল্লা যখন বাচায় কেউ তাকে মারতে পারে না।