somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফেসবুক আজব এক জায়গা-শুধু দুটো লিখা। আরেকটি মোরাল।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তুমি কথা বলোনি বলে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি।
৬৮১ লাইকস।

এর পর নীচের গল্পটিঃ
একজন স্বার্থপর ঈশ্বর

সূর্যের শেষ আলো নিভে গেছে। ঋষি দেখেন সময় আর বেশী নেই।চারদিকে অন্ধকারে জলের কোলাহল।জল বাড়ছে। নদীর জল ফুসে ওঠছে ক্রমশ। একটানা চৌদ্দদিন আলো দেয়ার পর চাঁদও যেন ক্লান্ত হতে শুরু করেছে।শান্তির নিস্তবদ্ধতার ভিতর শুধু জলের শোঁ শোঁ আওয়াজ। আর মাঝে মাঝে বিকট শব্দে মেঘের গর্জন আর হৃদয় কাঁপানো বিজলীর চমক।

মুনি চিন্তা করেন সেতুর পাশেই বৃদ্ধা মায়ের কুড়েঘর বুঝি এবার সত্যি জলে ভেসে গেলো। ওগ...ো দয়াময় ঈশ্বর মা ভালো আছেন তো? তোমার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাও প্রভু।

ঋষি শ্রষ্টার তপস্যা শেষ করে দ্রুত সেতুর দিকে হাঁটেন।নড়বড়ে সেতু প্রবল জলস্রোতে যেকোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে।ওপারে প্রিয়তমা বৃদ্ধা মা না জানি এখন কেমন আছেন?

ঋষি সেতুর ওপর ওঠেন। সেতু কাঁপছে।ঋষির পা কাঁপছে। জল বাড়ছে। ঋষি পরমভক্তিতে ঈশ্বরকে ডাকেন। দেখেন সেতুর ওপাশে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরহাসছেন।মিটিমিটি হাসছেন। ঋষি ঈশ্বরের ওপর দারুন খুশী হন। ঈশ্বরযে ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এখন নিশ্চয় হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসবেন।

ঋষি ঈশ্বরের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন। কিন্তু ঈশ্বর যে দাঁড়িয়েই আছেন।সাধকের আহবানে কোনো সাড়া নেই। কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।

সেতু ভীষন কাঁপছে। যেকোনো সময় যে অঘটন ঘটে যেতে পারে। ঋষির প্রচন্ড অভিমান হয়। দুঃখ হয়। এ কেমন বোবা ঈশ্বর। এতোদিন তবে আমি কার তপস্যা করে জীবন রীতির ক্ষয় হলাম। এ কেমন ঈশ্বর যিনি বিপদ চোখ মুদে থাকেন। দেখেও না দেখার ভান করেন।

একজন সাধারণ মানুষওতো এরকম বিপদে সামনে এগিয়ে এসে দুহাত বাড়িয়ে দিবে। এমন নিদারুন ঘনগোর বিপদে কে সামনে এগিয়ে না এসে শুধু দাঁড়িয়ে থেকে মিটিমিটি হাসতে পারে। ঈশ্বর কি তবে উম্মাদ! ঈশ্বরকি তবে খুব স্বার্থপর। শুধু পুজো নিতে জানেন, কিন্তু বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন না।

ঋষি নিদারুন শঙকায় আর উৎকন্টায় সেতুর ওপারে পৌঁছেন।খুব ব্যথিত হন। বিচারের কাঠগড়ায় ঈশ্বরকে দাঁড় করাবার জন্য মনে মনে প্রস্তুতি নেন।

তারপর ঋষি সেতুর শেষপ্রান্তে পা রেখে অবাক বিস্ময়ে দেখেন ঈশ্বর এক হাতে সেতুটি প্রবলভাবে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন যাতে জলস্রোতে সেতুটি ভেসে না যায়,আর নীচে আরেক হাতে বৃদ্ধা মায়ের কুড়ে ঘরের ওপর হাত দিয়ে রেখেছেন যাতে বিজলিতে ছোট ঘরখানা পুড়ে না যায়।
৩০ লাইকস।

মোরালঃ
সুন্দরী, রুপসীর মুখ নিঃসৃত এক লাইন লালা
একটা চমৎকার ছোট গল্পের চেয়েও অনেক বেশী ভালা।
৬০টি মন্তব্য ৬০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×