১) পাকিস্তান ইসলামিক রিপাবলিক- কিন্তু আজ অবধি কোনো ইসলামিক দল পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসেনি।
ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ- কিন্তু পরপর দুবার ধর্মীয় দল বিপুল ভোটে জিতে ভারতের ক্ষমতায় এসেছে।
২) বিশ্বাস করুন আর না করুন-সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ সংখ্যালঘুদের খারাপ চোখে দেখে এবং খুব কম মানুষই এটা থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে।
৩) বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলমানরা চেয়েছিলো ভারতে একটা ধর্ম নিরপেক্ষদল ক্ষমতায় আসুক। কিন্তু এরাই আবার নিজেদের দেশে ধর্মনিরপেক্ষ দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না।
৪) স্বাধীনতার পর এই প্রথম সিপিআই ( কম্যুনিস্ট পার্টি অব ইণ্ডিয়া) একটি আসনও পায়নি।
৫) শিক্ষা, চিকিৎসা প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নত কেরালায় একটি আসনও বিজেপি পায়নি।
৬) সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার এক অনন্য রেকর্ড উপহার দিয়েছে ভারত। "ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখে ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে"-এরকম কেউ বলেনি।
৭) নির্বাচনে হারার পর বিজয়ী দলকে অভিবাদন জানানোর পাশাপাশি দলীয় পদ ছেড়ে দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
৮) নেহেরুর পর মোদীই একমাত্র নেতা যিনি পরপর দুবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন।
৯) নায়িকা মিমি, নায়িকা নুসরতরা যারা গ্লাভস ছাড়া মানুষের সাথে হ্যাণ্ডসেক করেনা তারা নাচা গানা করেই এমপি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সত্যিকারের গণমানুষের নেতা কানহাইয়া কুমার, মুহম্মদ সলিমরা ফেল করেছেন।
১০) আমাদের দেশের কথাই বলিনা কেন। বদির বউ এমপি হয়, কিন্তু ডাক্তার প্রাণ গোপালের মতো মানুষরা নমিনেশনই পায়না।
১১) শিক্ষা রত্ন পুরষ্কার প্রাপ্ত ডাঃ সিংরাজ যিনি জীবনভর মানুষের সেবা করে, জীবন বাঁচানো ঔষধ বিনামূল্যে বিতরণ করে অসংখ্য শিশুর জীবন বাঁচিয়েছেন-তিনি নির্বাচনে হেরেছেন। আর যিনি গোমূত্র সেবনে ক্যান্সার দূর হয় বলেছেন-সেই প্রগ্গা দেবী বিপুল ভোটে জিতেছেন।
১২) ভেড়ার পালে দুয়েকটা বাঘ থাকলেও গণতান্ত্রিক ভোটে ভেড়াদেরই জয় হয়- কারণ- গণতন্ত্রে ভেড়া আর বাঘ দুটোরই সমান ভোট। সেজন্যই সক্রেটিস এই ভেড়া গণতন্ত্রের চরম বিরোধী ছিলেন।
১৩) যে জাতির সংখ্যাগুরু মানুষ যে রকম-সে জাতির নেতাও হয় তেমন। নাগরিক যেমন তার নগরও তেমন। নাগরিকরাই নগর তৈরি করে। নগর নাগরিক তৈরি করেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:৫১