বিশ্ববিখ্যাত PEW রিসার্চ সেন্টারের ডাটা অনুযায়ি মুসলিম দেশগুলোর এ্যাভারেজ লিটারেসির হার ৪৬%। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার হার মুসলমান পুরুষের মাত্র ১০% আর মহিলাদের মাত্র ৬%। পক্ষান্তরে Jewish পপুলেশন মহিলা এবং পুরুষের শিক্ষার হার শতকরা ১০০%। পুরো বিশ্বে পার ক্যাপিটা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ইউনিভার্সিটি ডিগ্রিও ইহুদীদের। সায়েন্টিফিক পাবলিকেশানে ওরা এতো বেশী এগিয়ে ওদের আশে পাশেও কেউ নেই। সবচেয়ে লোয়েস্ট পাবলিকেশান হলো মুসলমানদের। ইসরাইলে রয়েছে অবাধ প্রেস ফ্রিডম। আরব দেশগুলোতে প্রেসফ্রীডম খুবই লিমিটেড অথবা নাই বললেই চলে। জ্বিন জাতি সম্পর্কে জানি- ওদের আমার দেখিনা। কিন্তু ওরা চাইলে আমাদের সবকিছু দেখে। যেকোনো জায়গায় যেকোনো মুহুর্তে হাজির হতে পারে। আধুনিক দুনিয়ার জ্বিন জাতি হলো এই টেকনোলজি। ইন্টারনেট, গুগুল, জিপিএস, নানা রকমের মিডিয়া হলো এইসব জ্বীনজাতির নিজস্ব গোয়েন্দা। গুগুল ম্যাপ টাইমলাইন থেকে আমার কাছে কয়েকদিন আগে একটা ইমেইল এসেছে। ইউরোপ-আম্রিকার কথা বাদই দিলাম। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে কোন কোন জায়গায় ভ্রমণ করেছি। সবকিছুর একেবারে পুঙ্খানুপুঙখ ডাটা ওরা দিয়ে দিয়েছে। ইন্টারনেট, গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ট্যুইটার এসব আপনার চোখ খোলা থেকে চোখ বন্ধ করা পর্যন্ত পুরো জীবন নিয়ন্ত্রণ করে। দুনিয়া এখন টেকনোলজির নিয়ন্ত্রণে। আর এই টেকনোলজিতে যারা এগিয়ে দুনিয়ার নিয়ন্ত্রণ তারাই করবে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়ে বলেছেন- বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা দুনিয়ার নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিয়েছি। যেটা একেবারে সুস্পষ্ট। নতুন রোগ প্রতিরোধেও আমাদের বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে হবে। খুব জরুরি বৈঠকে আমরা Biological Institute and Health Ministry কে নির্দেশ দিয়েছি- অতিদ্রুত কার্যকরি ভ্যাকসিন তৈরি করে ভ্যাকসিনেশন নেটওয়ার্ক সেট আপ করা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের নির্দিষ্ট একটা বাজেটের ভিতরেই আমাদের ট্যালেন্টেড সায়েন্টিস্টরা অতি শ্রীঘ্রই ভ্যাকসিন তৈরি করে- চিকিৎসা বিজ্ঞানে পুরো বিশ্বে এগিয়ে যাবে। নেতানিয়াহু যখন এই কথাগুলো বলছিলেন- তখন তার সামনে ছিলো-একটা পানির বোতল। আর একটা মাইক্রোফোন । আর কিছুই না। যেখানে আমাদের মন্ত্রী, এমপির কথা বাদই দিলাম। একজন কাউন্সিলর, মেম্বর বক্ত্বতা দিলেও মন্চ ফুলের ভারে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। একেকটা মন্চ যেন একেকটা তাজা ফুলের বাগান। আর এই ফুলের বাগানের আশেপাশেই থাকে নর্দমা। ওদের দেখানো কম। কাজ বেশী। আর আমাদের দেখানো বেশী। কাজ কম। ওরা টেকনোলজিতে এগিয়ে আছে। আর আমরা ওয়েলোজিতে এগিয়ে আছি। কে কাকে কীভাবে কেমন করে তেল দিতে পারে- চলছে তার প্রতিযোগিতা। ওদের অদম্য ইচ্ছে ধনে, জ্ঞানে, বিজ্ঞানে ধনী হওয়া। আর আমাদের তৃপ্তি শুধু ধনীর মেয়েকে কোন মোছলমানের ছেলে বিয়ে করলো সেই খবরটা ভাইরাল করে দেয়া। আপাততঃ বিলগ্যেটসের মেয়েকে এক মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করেছে- এই তৃপ্তি ব্যতীত অন্যকোনো সুখবর আর আমাদের নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২২