আমাদের স্বপ্ন - আমাদের হেরে যাওয়া।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আমাদের কিছু স্বপ্ন ছিল।আমাদের কিছু চাওয়া ছিল।কিন্তু আমরা কি পেলাম??বলছি সমাজতন্ত্রের কথা।বাংলাদেশের অতীত ঘাঁটলে দেখা যায় সমাজতান্ত্রিক এক বিপ্লবের এক পুর্বাশা।অতীতে ছাত্র ইউনিয়নে যারা ছিলেন তারা সবাই ছিলেন ব্রাইট মানুষ। বাংলায় আলিকিত মানুষ।আজও আমরা ছাত্র ইউনিয়নে দেখি একঝাঁক মেধাবী মানুষকে।কিন্তু বর্তমানের সময়ের পংকিল ধারায় মিলতে নাপারায় হতাশ বিক্ষুব্ধ এক দল হয়ে গেছে ইউনিয়ন।কোন অনুপ্রেরণা নাই,শুধু ভালোবাসা আর একরাশ স্বপ্ন থেকেই ছাত্র ইউনিয়ন যোগ দেয় ছাত্ররা।আমাদের দেশে সমাজ তন্ত্র আজ আটকা পড়ে গেছে
এক চক্রে।
১।কলেজ জীবন থেকে সমাজতান্ত্রিক স্বপ্ন দেখা।
২।বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান।
৩/বই পড়া,(ইদানিং তাও কম হয়)
৪।নিবেদিত ভাবে কাজ করা।
৫।শেষ দিকে এসে হতাশ হয়ে যাওয়া।
৬।পাশ করার পর কোন একটি চাকরি পেয়ে স্বপ্ন থেকে বাস্তবতায় ফিরে আসা।
এরপরও আরও অনকে হয়ত রাজনীতিই করেন ।কিন্তু সংখ্যাটা কম।
কিন্তু কেন এমন হল। মাত্র ২০ কি ২৫ বছরে এমন কি হল যে আমাদের পরিবর্তনের পুর্বাশার সময় হতাশার সময়ে পরিণত হল।আজকে আমি আমার দিক থেকে এর কারঙুলি বোঝার চেষ্টা করব। ব্লগে আমার চেয়ে অনেক ভালো জানেন এমন মানুষ আছেন।আমার বিশ্লেষনে ভুল থাকতেই পারে।কিনতু ব্যাপারটিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
প্রথমে বলি আমাদের সমাজতান্ত্রিক নেতা কারা। এক কালে ছিলেন মাওলানা ভাসানী,কমরেড ফরহাদ,কমরেড মনি সিংহ সহ আরো অনেকে। আমরা পেয়ে ছিলাম অমিয় চক্রবর্তীর মত এক জনকে,যিনি কলেজে শিক্ষাদান করেছেন স্বপ্নকে ছড়িয়ে দেয়ার নিমিত্তে।কিন্তু আজ আমরা কাদের দেখি,-এক রাশ পতিত চরিত্রের মানুষদের।আমি কখনও কারো ধর্মবিশ্বাস নিয়ে মন্তব্য করিনা।কিন্তু আজ বলি এদের নাম আমার কাছে কমরেড না;নাস্তিক বুর্জোয়া।বাংলাদেশের আজ পরতিস্ঠিত সমাজতান্ত্রিক নেতাকে দেখলে আমার নয় আরো অনেকের মাঝেই এই বিশেষণ উঁকি দিবে। আমরা দেখেছি সমাজতান্ত্রিক নেতাদের ডিগবাজি।এক নেতা বলেছিলেন"সংসদ সেতো শুয়োরের খোঁয়াড়"।বুর্জোয়া শক্তিকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে জিতার পর তার কাছে সংসদ হয়ে গেল মহান জায়গা।স্বাধীনতার পর থকে আজ পর্যন্ত আমাদের কতিপয় নেতারা শুধু স্বপ্ন ভেঙেছেন।সবার কথা বলছিনা।দেশ স্বাধীন হল। আমার তখনকার অবস্থা জানিনা কারণ দেখিনাই-কিন্তু দেখুন যুদ্ধাহত দেশ,তার পক্ষে কি ২-৪ বছরেই সম্ভব মানুষের সব স্বপ্ন পূরণ করা।স্বপ্ন পূরণের জন্য ও চাই স্থিতি।কিন্তু তখনই সিরাজ শিকদার শ্রেণীসংগ্রাম শুরু করে দিলেন।একবার চিন্তাও হয়ত করলেন না ভবিষ্যতের কথা।তার নানা হঠকারী সিদ্ধান্তের বলি হয় হাজারো মানুষ,একরাশ মেধাবী ছাত্র -শিক্ষক, আর অবশ্যই সমাজতন্ত্র।সমাজতন্ত্রের নাম ভাঙিয়ে মানব হত্যার যে ট্রেন্ড তিনি শুরু করলেন-তা দেশকে যেমন পিছিয়ে দিল,সমাজতন্ত্রের প্রতিও মানুষের হল এক বিরূপ মনোভাব।আর এই ফাঁকে নানা সুযোগ কাজে লাগিয়ে উথ্থান ঘটল প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের। তারপরও সিরাজ শিকদার না হয় ভুল করেছেন।বাকিরা???
আজকের কমরেড ইনু।তিনি কি কোন কাজ করেছিলেন???আজ তো খুব সংসদ সদস্য হয়ে পাজেরো গাড়িতে চড়ে বেড়াছ্ছেন।আর এখনতো বেতনও দ্বিগুণ ....একবার ও কি চিনতা করলেননা এইসব মানুষগুলার কথা,যারা চালের দাম ২ টাকা বাড়লেই চিন্তিত হয়ে পড়েন।একবারেও কি মনে হলনা আমাদের কথা।আমরা কি সারা জীবনই শুধু শ্লোগান দিয়ে যাব-আপনাদের জন্য-আর আপনারা নিজেরা দামী গাড়ীতে চড়ে এসে আমাদের উপদেশ দিয়ে যাবেন???একবার ও কি সংসদে বলতে পারলেননা"বেতনটা না বাড়ালে হয়না?" আমাদের শিল্পমন্ত্রী ই একজন কমরেড(!!!!!!!!!!!!)।শিল্পের মত এমন একটি সেক্টর পেয়ে ও তিনি কিছুই করতে পারেননি।জানি সহসাই তো আর পরিবর্তন হয়না। কিন্তু সুচনা তো হয়। কিন্তু কি করছেন তিনি-বেকারত্বের হার ৫০%।শোষিত হচ্ছে গার্মেনটস শ্রমিকেরা।মালিকদের ইদের বাজারে বিলাত যেতে টাকার অভাব নাই;কিনতু শ্রমিকের বেতন আর বোনাসের কটা টাকা দিতে তারা পারেনা।কি আশ্চর্য এক সাহসে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতন বোনাস দেয়ার জন্য সরকারের কাছে টাকা চায়। কইয়ের তেলে কই ভাজার কি নির্লজ্জ বাসনা??কি করেছেন তিনি ??কোথায় ছিল তার আদর্শের বুলি যখন মৃত শ্রমিকের জীবনমুল্য হয় ২ লাখ টাকা।এই আমাদের কমরেড???এদের তাই বলি নাস্তিক বুর্জোয়া।এদের দ্বারা কিভাবে হবে।প্রচলিত স্রতে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন তারাও।
আর ক্রমশও ফিকে হয়ে যাচ্ছে আমাদের স্বপ্ন।তাই (মেনন,ইনু ,দিলিপ ,বাদল) আপনাদের বলি আপনারা সংসদে আপনাদের কথা বলুন যা বলেন বাইরে। না বলতে পারলে বাদ দেন। আমাদের আর লম্বা কথা শোনাতে আসবেন না।আমাদের স্বপ্ন দেখিয়ে বারবার ভেঙে দিবেন না।স্বপ্ন ভাঙার ব্যাথা সারা জীবন আমাদের চাবকে যাবে।তাই কমরেড বলে কাউকে ডাক দিলে কমরেড বলে সাড়া পাইনা।
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল
হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা
গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন