মা ---
মা শব্দটার মাঝে এক অসাধারণ মধুময়তা আছে।হৃদয়ের গহীন অরণ্য থেকে মা শব্দটা যেন কোন এক বুনো ফুলের সৌরভ ছড়ায় মনে প্রাণে আর অস্তিত্বে।মা শব্দটা মনে শক্তি জাগায়।তাই অবুঝ শিশু ভয় পেলে মা বলে ডাকে।চারদিকে শত্রু পরিবেষ্টিত কোন যোদ্ধাও তার শেষ মুহুর্তের লড়াইয়ের শক্তি খুঁজে পায় প্রায়সই তার মায়ের মুখটি স্মরণ করে।ফাঁসির আসামীও তার শেষসময়ে জীবনের নানা স্মৃতির সাথে স্মরণ করে মাকে আর হয়ত পাষান হৃদয়টিও হয়ত কেঁদে উঠে পুনর্জন্মে এক ভালো মানুষ হয়ে ওঠার প্রত্যাশায়।তাই মাকে নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের । তা হলে লিখিনি।লিখিনি-কারণ নিজের উপর বিশ্বাস ছিলনা বলে,লিখিনি দুর্বল লেখনীর মাঝে যদি আমার মা ছোট হয়ে যায়।যদি মানুষের আমার লেখা ভালো না লাগে?এভাবে করে কত অর্ধসম্পাদিত লেখার মৃত্যু হয়েছে ..।কিনতু আজ ভাবলাম লিখবই-আমার মাকে ভালোবেসে,আমি লিখবই-কে কি বলল-কার ভালো লাগলো না লাগলো তাতে কি আসে যায়?আমার determination রীতিমত আগুন ধরাল আমার এক বন্ধু।আজ একসাথে বসে চা খাচ্ছিলাম।
ও বলল "কি রে এখন কি করছিস?"
আমি:আপাতত কিছু না।প্রেজেন্টেশন পর ভালো করে চাকুরি খুজবো,এই আর কি?
বন্ধু:টিউশনি কি করবিনা?
আমি:আপাতত না...অনেকতো করলাম ভাল লাগেনা।
বন্ধু:তাও তো বটে কম তো আর কামালিনা.।
আমি:আমি টিউশনির টাকা আম্মুকে দিয়ে দিতাম.।হাত তাই খালি..
বন্ধুমুচকি হেসে) এই এটিচুড সারা জীবন রাখতে পারবি?
আমি:না পারার কি আছে??
বন্ধু:পারা তো যায়না।একজন মানুষ দেখা যে পেরেছে??বউ আসলে মার প্রতি ভালোবাসা ন্যাপথলিনের চেয়েও তাড়াতাড়ি উড়ে যাবে।
আমি:আমি সবার মত না।আমি সারা জীবন মার সাথেই থাকবো।
বন্ধু:তাই যেন হয়.।আচ্ছা চলি..।
আজ সারাটা দিন এই সংলাপটা সারাক্ষণ মাথায় ঘুরছে,
এই এটিচুড সারা জীবন রাখতে পারবি?
ভাবি না পারার কি কোন কারণ আছে ?আত্মবিশ্লেষণের অনলে নিজেকে পোড়াই।কাল আমি মা ভাতের সাথে আমার ভালো লাগেনা এমন একটা সবজি দেয়াতে খুব রাগ করেছি।এখনি যদি আমার এ অবস্থা হয় ভবিষ্যতে কি হবে।নিজেকে তাই বদলে দিলাম--মা তুমি যা বলবে তাই?তোমার উপর এতটুকু রাগও আর কখনও করবেনা।তোমার সাথে রইব সারা জীবন।
কিন্তু এই তো আর ৭-৮টা বছর -তারপর জীবনে নতুন কেউ আসবে।সে কিভাবে নিবে আমার মাকে?চার পাশের নানা ঘটনায় ভয়ে শরীর মন কেঁপে উঠে।তাই ঠিক করলাম একটা ডায়েরী লিখবো-মাকে নিয়ে ।সেই ডায়রীতে শুধু মা থাকবে-থাকবে আমার জীবনে প্রতি পদে পদে তার অবদানের কথা,ভালোবাসার কথা।লেখা থাকবে অশ্রুভেজা সেই কন্ঠের কথা যে আমায় ফোনে বলেছিল"তোর আব্বু বাড়ী থেকে আম আনছে।তুই তাড়াতাড়ি আয় তোকে ছাড়া কেমন করে খাই?"
লেখা থাকবে জৃরের সময় প্রলাপ বকার সময় যেই সুকোমল হাত দুটা মাথায় পানি ঢেলে দিত তার কথা...।জীবনে প্রতি দিন যত দিন বেঁচে থাকি সেই ডায়রীটা পড়ব..।যেন আমার হাতে কোন দিন আমার মায়ের অপমান না হয় যেন আমার চোখ আমার মায়ের কোন কষ্ট না দেখে।আমি যেন সারা জীবন আমার এখনের আমির মতই থাকি...।
আলোচিত ব্লগ
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট
মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন