বাংলা নববর্ষ উদযাপনে সার্বজনীনতা এবং সরকারের সিদ্ধান্ত
বাঙলীসত্বার প্রধান প্রকাশ ভাষা ; তারপর জাতীয় দিনগুলো ।কিন্তু বাঙলীসত্বাকে যা’কিছু ভেতর ভেতরে শারীরিক রূপ দিয়েছে তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ।মহান নেতা শেরে বাংলার পথ ধরে বর্তমান সরকার নববর্ষকে আরো সার্বজনীন করার উদ্যোগ নিয়েছে ।এজন্য সরকার বাংলা নববর্ষকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নববর্ষ উদযাপনকে অধিকতর নন্দিত করার জন্য সরকারি চাকুরীজীবিদের উৎসব বোনাস দিচ্ছে । সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রশংসাযোগ্য এবং যুগান্তকারী । আমরা এক্ষেত্রে সকারের আরও কিছু করার যৌক্তিকতা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ।সার্বজনীন অনুষ্ঠান তখনই হয় যখন সর্বজনীন হয় ।এক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করছি সরকারি বেতনভোগী ৫ লক্ষ এম পি ও ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।ফলে সরকারের আংশিক সুবিধা প্রদানের কারণে এটি জাতীয় অনুষ্ঠান হয়ে উঠার পথে অন্তরায় হবে ।কারণ, জাতীয় দিবস হিসেবে পহেলা বৈশাখ আগেও ছিল ; যেখানে বিভেদ ছিল না ।এখন এটি বৈষম্যযুক্ত এবং বৈষম্য সৃষ্টিকারি দিবস ও উৎসব হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে ।
সরকারের বোনাস প্রদান যদি সর্বজনীন হতো তা’হলে যৌক্তিত হতো এবং সরকারের লক্ষ্যও অর্জিত হতো ।কারণ , এম পি ও ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রয়েছেন যাদের মাধ্যমে সরকারের মহতী কাজের বার্তা পৌঁছে যেত ; সাথে সাথে তাহা উৎসবকে মহিমান্বিত করতো । তাই , আমাদের প্রত্যাশা সরকার জাতীয় দিবসকে বিভেদের সূত্র না করে ঐক্য ও সংহতির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে ।
অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী যারা বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত তাদেরকেও আমরা এই আয়োজনে সাথী হিসেবে চাই ।মালিক পক্ষ বাঙালির ঐক্যের পথে কতটুকু এগুলো তাও সরকারকে দেখতে হবে । আমাদের একান্ত প্রত্যাশাঃ বাংলা নববর্ষ বাঙালির ঐক্যকে প্রতিষ্ঠিত রাখবে ।
-------------------
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০১