somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লায়লা

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সামুতে অনেক কিছু নিয়া পোস্টাইতে মন চায়। কিন্তু কী-বোর্ড হাতে নিলে আর কিছু মাথায় আসে না। তাই অগত্যা মিউজিকই শেষ ভরসা। আজকে আমার অতি পছন্দের দুইটা গান নিয়ে কিছুক্ষণ বকবক করতে চাই:

Layla
এই গানটা যারা 70's Rock মিউজিকের ভক্ত তারা সবাই শুনেছেন ধরে নেয়া যায়। বন্ধুপত্নী প্যাটি বয়েডের প্রেমে পইড়া এরিক ক্ল্যাপটনের তখন বেরাছেড়া অবস্থা। তখনই আবার এক বন্ধু তারে "লাইলী-মজনু" র প্রেম কাহিনী গিফট করলেন। ফলশ্রুতিতে এই লিজেন্ডারি লাভ সং এর সৃষ্টি।

গানের শুরুটা হইসে একটা অসাধারণ ডাইনামিক রিফ দিয়ে।সত্তরের দশকের এভারগ্রীন সিগনেচার স্ট্র্যাটোকাস্টার সাউন্ড। তারপর যে হারমোনিকটা বাজে সেটা একেবারে কলজেয় ধাক্কা মারে! তারপর ক্ল্যাপটনের হৃদয়ের আর্তনাদ :
Layla, you've got me on my knees.
Layla, I'm begging, darling please.
Layla, darling won't you ease my worried mind.

ভাবতে মজাই লাগে প্রেমে পড়লে অ্যাতো হাই ক্যালিবারের মানুষেরও কি মদন মদন অবস্থা হয়:P

প্যাটি বয়েডের কথা চিন্তা করতে করতে :
Like a fool, I fell in love with you,
Turned my whole world upside down. আহা কি পেইন :P

গানের ভার্স সেকশন শেষ হইসে এরিক ক্ল্যাপটন আর ডুয়েন আলম্যানের ডুয়েল লীড গিটার দিয়া । ক্ল্যাপটনের ছুরির মতো ধারালো স্ট্র্যাটোকাস্টার সাউন্ড , তার সাথে আলম্যানের স্লাইড গিটারের আওয়াজ শুনলে মনে হয় কেউ হৃদয়টা চিইপা সব আত্মা বাইর কইরা নিতাসে। তারপর একটা পিয়ানো আর গিটার-সমৃদ্ধ দীর্ঘ ইনস্ট্রুমেন্টাল সেকশন। অদ্ভুত বিষন্ন সুন্দর একটা বাজনা। গানটা শুনলে একটা কমপ্লিট ফীল আসতে বাধ্য। গানটা আমার অলটাইম ফেভারিট( এখনো হেডফোনে বাজছে)

পরিশেষে গানটার লাইভ পারফরমেন্স নিয়ে কিছু বলতে চাই। এই ৬৫ বছর বয়সেও এরিক ক্ল্যাপটন যে এনার্জি আর ফীল নিয়ে গানটা পারফর্ম করেন তা সত্যিই অসাধারণ। বিশেষ করে গানের শেষে সলো পার্টটা এখন তিনি একাই বাজান( আলম্যান মারা গেছেন সেই ১৯৭১ সালে, তবে তার অনুপস্থিতি খুব একটা টের পাওয়া যায় না ক্ল্যাপটনের পারদর্শিতার কারণে)।সত্যিকারের প্রেমিক হৃদয় না থাকলে এটা করা যেতো বলে মনে হয় না। একটা অসাধারন ব্লুজ-রক সং হিসেবে এটা শোনা সকল মিউজিক লাভারেরই দায়িত্ব

অডিও লিংক:লায়লা
ভিডিও লিংক:layla

দ্বিতীয় গান:

Sweet Child O' Mine


Guns N Roses নিয়ে বেশী কিছু বলতে চাই না। শুধু বলবো তারা একটা রেভোলিউশন। স্ল্যাশ মামা আমার অতি ফেভারিট গিটারিস্ট( ফীলের বন্যা বইয়ে দেয়)। অ্যাক্সল রোজের গলাটাও সেরাম!!

এই গানটার শুরুর রিফটা শুনলে মনে হয় একটা গিটার গাঁকগাঁক করে চেঁচাচ্ছে!!:) এবং সাথে সাথে ব্যাপক আনন্দবোধ হয়। কিন্তু সবচে টাশকি খাইসিলাম গানের লিরিকস শুনে: শেষের দুইটা লাইন খেয়াল করুন।

"Now and then when I see her face
she takes me away to that special place
that if I stare too long
I'd probably break down and cry"

যে ব্যান্ডের ডাকনাম "Most Dangerous Band in the world" তারা এই অনুভূতি পায় কই?? আমি তো শুইনা পুরা তব্দা হয়া গেসিলাম। ব্যাটারা দেখি আমাদের উপমহাদেশীয়দের মতোই সেন্টিমেন্টাল!!!:-*
তবে কি সব কিছুই ইন্টার-কানেক্টেড???
যাই হোক অ্যাক্সল রোজ তার সুইট চাইল্ডের প্রতি প্রশস্তি গেয়ে যায়। আর আমি খালি শুনেই যাই। তারপর স্ল্যাশ মামা হাজির হয় একটা অসম্ভব কমপ্লেক্স( যে হারে ওয়াহ ওয়াহ মারসে!!) কিন্তু শ্রুতিমধুর গিটার সলো নিয়া। তারপর কি হয় সেটা আপনারা শুনে নিয়েন


সবাই ভালো থাকেন। কমেন্ট আহ্বান করা যাচ্ছে....।:)

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১০ সকাল ৮:৪৮
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×