পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারণিক
উপন্যাস-৩১পর্ব
‘শুনবেন আমার কথা?”
‘আপনার কথা শুনতে হবে,এমন কোন কথা আছে?”
‘না, মানে আপনার কথা শুনছি।”
“তাই! আপনার কথা শুনতে হবে?”
“না, মানে আমি তা বলতি চাচ্ছি না।”
“তবে?”
“আমি স্টেশনে চলে যাচ্ছি।”
“এই বৃষ্টির ভেতর?”
“হ্যাঁ।” বলে, শ্রাবস্তী ওর ব্যাগ নিতে সামনে পা বাড়িয়ে দিলো। তবে কি আমাকে ও ভয় দেখাচ্ছে?
বললাম, “কী করছেন? এই বৃষ্টিতে ভিজে যাবেন তো!”
শ্রাবস্তী কোন কথা বলল না। হাত দিয়ে ব্যাগের হ্যান্ডেল ধরে দরজার দিকে এগিয়ে গেল।
“সত্যি-সত্যি চলে যাচ্ছেন ?”
“আপনি আমার কথা শুনবের না, আপনার কথা শুনবো কেন আমি?”
“আমি এক অপরিচিত ছেলে, আমার উপর রাগ করে..।”
এুখের কথা শেষ করতে না দিয়ে ও বলল, “বৃষ্টিতে ভিজবেন না, তাই তো..এই কথাই তো বলবেন?”
“না, মানে।”
ক্রাবস্তী কৌত’হলী ভাবে তাকিয়ে বললো, “কী?”
“আমি ভেবেুিছলাম আপনাকে ট্রেনের কামরা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে..।” আমার শেষ করতে না দিয়ে ও বললে, “দায়িত্ব শেষ করবেন?”
“কী ভাবে বুঝলেন?”
একটু মৃদু হেসে বললে, “আমার কথা শুনলে আপনার ভাবনা সফল হতে পারে।”
ঊলে নিঃসংকোচে ফিওে দাঁড়ালৃআমার দিকে তাকিয়ে। শ্রাবস্তী ভেবেছে হয়তো ওর সাথে সঙ্গ দেবার জন্য আমি উদগ্রীব। তাছাড়া আমার মনের কথা ও জানলো কী করে? তবে কি ও আমাকে বুঝতে পেরেছে তবে আমি যা সিদ্ধান্ত নিই, তাই করার চেষ্টা করি। তাতে লাভ ক্ষতি যাই হোক না কেন।
ঊললাম, “ ঠিক আছে কী করতে হবে বলুন?”
“জামাটা খুলে ফেলুন।”
“আপনার সামনে জামাটা খোলা ঠিক হবে?”
“হ্যাঁ, ঠিক হবে। তাছাড়া আমিও..।”
ওর কথা শেষ করতে না দিলে বললাম, “হালকা ওজনের মেয়ে না। কি ঠিক বললাম?”
হেসে ফেললো শ্রাবস্তী। আমিও হাসি ঠেকাতে পারলাম না।
“পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়”
কিশোর কারণিক
উপন্যাস-৩২পর্ব
“ঠিক আছে।” বলে জামাটা খুলে ফেললাম। লজ্জা লাগছে অপরিচিত এক সুন্দরী মেয়ের সামনে খালি গা হওয়ার অভিজ্ঞতা আমার এই প্রথম। শ্রাবস্তীও নির্লজ্জেক্ষ মত আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি দেখতে যাই হই না কেন শরীরে গঠন একদম খারাপ না।
“আপনার তো খুব লজ্জা?”
আমি বললাম, “ একটা কথা বলবো?”
“পরে শুনব। আগে দেখি আপনার পিঠের কী অবস্থা!” বলে ও ব্যাগ রেথেই আমার পেছনে এসে আঘাত লাগা জায়গায় হাত দিলো। ওর স্পর্শে শরীরটা কেমন করে উঠল।
“অনেক খানি কেটে গেছো তো। এক্ষুনি তুলো দিয়ে ডেঠল দিতে হবে।”
“ডেটল তুলো এখন কোথায় পাবেন?”
“দাঁড়ান আমি দেখছি।” খুঁজতে খুঁজতে মিনমিনিয়ে ব‘লে ডেটলের শিশি। আবার বলে, “না, ডেটল তো পেলাম না। তাহলে কী হবে?”
“কী আবার হবে?”
“আপনি তো খুব কঠিন মনের লোক।”
“কেন বাজে ছেলেও তো?”
“আপনি না!”বলেই শ্রাবস্তীর নজর গেল খোলা জানালার দিকে। বাইওে গাঁদা ফুলের গাছ দেখে বলল। “দাঁড়ান।” ও জানালার কাছে গিয়ে দেখে একটু দূরে গাছটা। বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বাইরে যাওয়া সম্ভব না। কী করি , কী করবে ভাবখানা এমনি হঠাৎ কী ভেবে একটু উল্লসিত কণ্ঠে বলল, “হ্যাঁ বুদ্ধি একটা পেয়েছি। একটা লাঠি দরকার যে।”
ভয় পাবার স্বরে বললাম, “ লাঠি দিয়ে আবার কী করবেন?”
“দরকার আছে।” ব’লে ও ঘরের আনাচে কানাচে লাঠি খুঁজতে শুরু করলো।
শ্রাবস্তী খবই চঞ্চলা!
“হ্যাঁ পেয়েছি।” বলে ঘওে ঝুল ঝাড়া এক লাঠি নিয়ে এসে জানালার কাছে গেল। জানালার ফাঁক দিয়ে লাঠি দিয়ে গাঁদা ফুল গাছের ডাল জানালার কাছে নিয়ে আসার চেষ্টা করলো। আমি দূও থেকে দেখছি। ও পারছে না। কিন্তু চেষ্টা করছে । ভালোই লাগছে এই মূহুর্তে শ্রাবস্তীকে।
শ্রাবস্তী বললো, “এদিকে একটু আসুন না।”
“কেন?”
“আসুন তো বলছি।”
খালি গায়ে ওর কাছে যেতে লজ্জা করছে । ও আবার কী ভাববে। না, দাঁড়িয়েই থাকি এখানে। ও যা করছে একাই করুক।
“কি হলো আসুন-ব’লে আমার দিকে তাকাল। পরনে টাইট ফিট স্কীন প্যান্ট। খালি গায়ে নিজেকে মনে হচ্ছে চিড়িয়াখানার কোন জন্তু। শ্রাবস্তী এর দর্শক। মাঝে-
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:১৮