-দোস্ত, একখান খবর শুনছস! ঢাবিতে সেকেন্ড টাইমাররা নেক্সট টাইম পরীক্ষা দিতে পারবনা...
-হ মামা! শুনলাম...
-কি করুম! কিচ্ছু তো বুঝতাছি না... চক্ষে তো আন্ধার দ্যাখতাছি।
-ইচ্ছা হইতাছে গলায় ফাঁস দিয়া মইরা যায়... এদ্দিন ভাবতাম যেডি পোলাপাইন সুইসাইড করে সেডি বিচিলেস... এহন বুঝতাছি জীবনের উপ্রে কত্তডা ডিপ্রেস হইলে মানুষ দুনিয়ায় বাঁচতে চায় না...
-কি পাপ কইরা যে চৌদ্দ ব্যাচে পড়ছিলাম! হালা টিচারগোর ‘চ’ বর্গীয় শব্দ পাইলেই পিনিক উইঠ্যা যায়...আমরা তো চৌদ্দ ব্যাচ, চো*টা তো আমগোরই দিতে হইব...
-আম্মা-আব্বার দিকে চাওন যায়নারে...কত্ত স্বপ্ন আছিল আমারে নিয়া...কিচ্ছু হইল না। ভাবছিলাম এইবার চান্স পাইনাই নেক্সটবার দেখায়া দিমু... হাহাহাহা...
-এম্নিতেই গোল্ডেন মিস গেছে...সায়েন্সের সাব্জেক্টে। ইঞ্জিনিয়ারিং এ কোথাও পরীক্ষায় দিতে পারতাছি না। আব্বা সামনের বছর রিটায়ার করব... ঘরে বিয়াইত্যা বড় বইন আর ছোট ভাই এখনো স্কুলে। প্রাইভেটে পড়ানোর সামর্থ্য আমার বাপের নাই। বাপ তো তাউ বিএ পাস করছিল...আমার সেই যোগ্যতাও নাই।
-সারা জীবন তো ভালাই আছিলামরে...কিন্তু এই শিক্ষাব্যাবস্থা আমারে আর ভালা থাকতে দিব না। এদ্দিন ভালা থাইক্যাও মাইনষে কয় পোলায় বইখ্যা গেছে। পড়াশোনা পুরা গোল্লায় গেছে। ওর দ্বারা লাইফে কিচ্ছু হইব না...এদ্দিন তো বখি নাই তয় এইবার সত্যিই বখমু...
-কি করবিইইই...
-কি আর করুম...সোজা পথে তো কিছু হইল না...ট্র্যাকটা না হয় চেইঞ্জই করি...বাংলাদেশের মানুষ অলটাইম পিনিক প্রিয়...তাদের পিনিক বাড়ানোর ব্যাবস্থাটাই না হয় করলাম...