somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পেন্ডুলাম

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


- যাক...মামা! আইজকা এক্কেরে ফুরফুইরা লাগতাছে। অ্যাটলাস্ট এক্সামডা শ্যাষ হইল।
- আইজকার এক্সাম কেমন দিছস?
- ধুরো...জানিনা। এক্সাম শ্যাষ...এক্ষন হইতাছে চিল করার টাইম। তুই হালা...সারাক্ষণ পড়া লইয়া থাকস।
- আরররে নাহ...এমনেই জিগাইলাম। আচ্ছা সেমিস্টার ফাইনাল তো শ্যাষ হইল, সামনে তো একটা ভ্যাকেশন পাইতাছি। কি করা যায় ক তো?
- চল কোথাও ঘুইরা আসি।
- কই যাওয়া যায়?
- হুম...সেন্টমার্টিন গেলে কেমন হয়?
- আরররে মামা... পুরা সেই আইডিয়া দিছস।
- তাইলে চল সবুজ আর ধ্রুবরে কইয়া দেখি... দেখি ওরা কি কয়।
- হুম...চল।


ফাইয়াজ, আরমান, সবুজ আর ধ্রুব চারজনই একই হলে থাকে। এর মধ্যে ফাইয়াজ আর আরমানের রুমমেট আর ঠিক তাদের পাশের রুমেই থাকে সবুজ আর ধ্রুব। এরা চারজনই খুব ভাল বন্ধু। অথচ এদের কেউ কাউকে বছর দুয়েক আগেও চিনত না। একেকজন এসেছে একেক এলাকা থেকে। ফাইয়াজ ঢাকার ছেলে। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করেছে। তবেঁ ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রদের মত কোন ভাবই ওর মধ্যে এখন নেই। ঢাকায় বাসা হলেও সে হলে থাকে কারণ তার মতে হলে না থাকলে বলে ছাত্রজীবনের আসল মজাটাই উপভোগ করা যায় না। আরমানের বাড়ি টাঙ্গাইল। ও নাকি কয়েক বছর মাদ্রাসাতেও পড়েছে। কিন্তু ওর বর্তমান অবস্থা যদি ওর বাবাও দেখে তাহলে সে নিজেই কনফিউজ হয়ে যাবে যে সে কি আসলেই তার ছেলেরে একদা মাদ্রাসায় দিয়েছিলেন। সবুজের নামের সাথেই যেন তার পরিচয় মিশে আছে। একদম গ্রামের সবুজ শ্যামল প্রকৃতিতে বড় হওয়া ছেলে হচ্ছে সবুজ। পুরো গ্রামে তার আবার বেজায় নামডাক। গ্রামের প্রথম ছেলে হিসেবে সে পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। শুধু তার গ্রাম না, পাশ্ববর্তী আরো কয়েক গ্রাম জুড়েই সবুজকে সবাই এক নামে চিনে। আর ধ্রুবর বাড়ি চিটাগং। ফোউজদারহাট ক্যাডেটে পড়াশুনা করেছে ও।

- শোন, সবুজ। আমি আর ফাইয়াজ মিইল্যা একটা প্ল্যান ঠিক করছি। আমরা সেন্টমার্টিনে যামু।
তুই আর ধ্রুব মিইল্যা এখন ক কবে যাবি?
- দোস্ত, এইমাসে তো এখনো টিউশনির ট্যাকা পাইনাই...একটু টানাটানির মধ্যে আছি।
- আরররে ব্যাটা...তোরে টেকা পয়সা নিয়া চিন্তা করতে কইছি নাকি? তুই আর ধ্রুব মিইল্যা আগে একটা ভালা দেইখ্যা ডেট ঠিক কর। কোন সমস্যা হইলে তো আমরা আছিই।
- আচ্ছা... তাইলে দেরী কইরা লাভ কি? আগামী পরশুদিনই রওনা দেই।
- হুম...ভালা কইছস। এইসব কাজে দেরী করলে দেরী হইতেই থাকব। তাইলে তুই আর ধ্রুব মিইল্যা টিকেটের ব্যাপারটা দ্যাখ আর আমি আর ফাইয়াজ মিইল্যা বাকী ব্যাপারগুলা দেখতাছি।


ফাইয়াজের সাথে আনিলার পরিচয় ফেইসবুকে...তাও প্রায় চার বছর আগে। ফেইসবুকে চ্যাট করতে করতেই নিজেদের অজান্তেই দুইজন দুইজনার খুব কাছে চলে এসেছিল। সামনাসামনি দ্যাখা হবার পরে ব্যাপারগুলো যেন তারা আরো গভীরভাবে অনুধাবন করল। তারপর সেখান থেকেই মন দেয়া নেয়া।
- হ্যালো...জান! জানো, আমরা আগামী পরশুদিন সেন্টমার্টিনে যাচ্ছি।
- কবে প্ল্যান করলা এইসবের?
- এইতো আজকেই। একদম হুট করেই প্ল্যানটা করা।
- প্ল্যানটা কে করেছে? নিশ্চয়ই তুমি?
- না আমি না... টোটাল প্ল্যানটা আরমানের।
- ও...আচ্ছা তুমি তো সাঁতার জান না। তারোপর এখন ওয়েদারও তো খুব খারাপ। মাঝেমধ্যেই ঝড় হচ্ছে। এখন যাবার কি দরকার ছিল?
- তুমি না শুধুশুধুই ভয় পাও। কত মানুষ যাচ্ছে না? তুমি গেলে খুব ভাল হত জান। খুব মিস করব তোমাকে...
- আমার কি আর যেতে ইচ্ছা করেনা তোমার সাথে...কিন্তু কি উপায় বল! মেয়ে হয়ে জন্মেছি যখন এসব অবস্ট্যাকেল তো সহ্য করতেই হবে।
- আচ্ছা...এখন রাখছি জান। আরমানের সাথে হোটেল বুক করতে যাইতে হবে। কক্সবাজারে একদিন স্টে করে পরদিন ভোরে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। তোমার সাথে পরে কথা বলবনে। ভাল থেকো, বাই।
- সাবধানে থেকো... বাই।
-------------------------------------------------------------------

আরমান ও ফাইয়াজের মধ্যে কথপোকথনঃ
- কিরে তোর পিরিত করা শ্যাষ হইছে?
- হ হইছে... এহন কাজের কথা বল। কোন হোটেল পাইছস।
- হ পাইছি.....
- ও...ভালই হইল তাইলে...খরচ কেমন পড়ব?
- সস্তায় আছে... অইডা নিয়া চিন্তা করিস না। আমার পরিচিত আর কমায় টমায় রাখব। আচ্ছা মামা...তুই সারাদিন যে ফোনে গুজুরগুজুর করস, কি নিয়া কথা কস?
- তুই এইগুলান বুঝবি না...চল চা খাইয়া আসি।
- হ...বুঝি না বইল্যাই তো জিগাইতাছি।
- প্রেম কর... এমনিতেই বুঝবি। এখন আর বকবক করিস না...চল চা খাইয়া আসি।
- চল...

-------------------------------------------------------------------

অবশেষে সব কিছু ঠিকঠাক করে চার বন্ধু কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
সবুজঃ দোস্ত, তোরা এর আগে কখনো সমুদ্র দেখছস?
ফাইয়াজঃ নাহ...এইবারই ফার্স্ট টাইম। আম্মা-আব্বা কোথাও নিয়ে যাইতে চাই না। এইজন্যই তো এইবার জানিও নাই।
আরমানঃ ধ্রুব তো গেছস, তাই না?
ধ্রুবঃহুম গেছি। তুইও কি আগে সমুদ্র দেখস নাই?
আরমানঃ অনেক ছোটকালে গেছি... কিছুই মনে নাই। আমগোর মধ্যে তো তাইলে তুই সবচাইতে এক্সপেরিয়েন্সড।
ধ্রুবঃ হাহাহাহা... তা কইতে পারস।
ফাইয়াজঃ আচ্ছা কথাবার্তা বাদ দে...এমনিতেই নাইট কোচ। কথা কইলে চিল্লাচিল্লি করব। আর অইখানে যাইয়া তো ঘুমানোও হইব না। এখন সবাই একটু ঘুমা।

--------------------------------------------------------------------

[কক্সবাজারে পৌছানোর পর]
-জান...আমরা কক্সবাজার পৌছে গেছি।
-রাস্তায় কোন ঝামেলা হয়নিতো?
-নাহ...কি ঝামেলা হবে। আচ্ছা ... শোন আজকে বার্মিজ মার্কেটে যাব। তোমার কি কিছু পছন্দ আছে?
-উম...নাহ। তোমার যা ভাল লাগে তাই এনো। আর শোন পানির বেশি গভীরে যাবা না, বুঝছো।
-ঠিক আছে, ম্যাডাম। সারাক্ষণ তো দেখি শুধু উপদেশের উপরেই রাখতেছো।
-হুম... এতবার করে বলি তাও তো শুননা। এইটাইমটা এমনিতেই ভাল না... তাও তো তুমি এই টাইমেই সব অ্যারেঞ্জ করলা।
-শুনিনা বলেই তো তুমি ঐ কথাগুলো বারবার করে বল। তোমার ঐ উপদেশগুলা শোনার জন্যই তো আমি...
-হইছে...আর ঢং করতে হবে না। যা বললাম তা যেন মাথায় থাকে।
-থাকবে ম্যাডাম থাকবে। এখন রাখছি। পরে কথা হবে... বাই।
-বাই।

-------------------------------------------------------------------

আরমানঃ শোন, এখন হোটেলে যাইয়া জিনিসপত্র রাইখ্যা ফ্রেশট্রেশ হইয়া বার্মিজ মার্কেটে ঘুরুম। ওইখানে যার যা কিনার কিইন্যা নিমু। তারপরে ডিনার কইরা কিছুক্ষণ বীচে হাটাহাটি করে আবার হোটেলে ব্যাক করে একটু রেস্ট নিব। কালকে একদম সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দিব, ঠিকাছে?
সবাইঃহুম...বস ঠিকাছে।
আরমানঃ হইছে, আর বস মারানো লাগবে না। চল সবাই।

-------------------------------------------------------------------

পরদিন খুব ভোরে সবাই ঘুম থেকে উঠলো। উঠেই তড়িঘড়ি করে সবাই সেন্টমার্টিনে যাবার জন্য রেদি হওয়া শুরু করল। উদ্দেশ্যঃ টেকনাফের বাস ধরা। বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আনিলাকে ফোন দিল ফাইয়াজ।
-জান, আমরা এখন সেন্টমার্টিনে যাব। ওইখানে মোবাইলের নেটওয়ার্ক থাকে না। তোমার সাথে আগামী দুইদিন কথা বলা হবে না।
-সাত সকালে এই খবরটা জানানোর জন্যই ফোন করেছ, বুঝি...
-বারে...জানাতে তো হবেই। না জানিয়ে চলে গেলে খুব ভাল হত তাই না?
-হইছে...সাবধানে থেকো। আর বেশি পানিতে নামবানা বুঝছো।
-আচ্ছা বাবা...ঠিকাছে। এখন রাখছি দার্লিং। বাই...
-বাই।

বাসে উঠে ফাইয়াজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিল, “আজকের দিন নীল সাগরের সাথে নিজেদের একাত্ম হবার দিন”- with Arman Islam and 2 others.

অতঃপর পরদিন সকালে সবাই সেন্টমার্টিনে যেয়ে পৌছালো। এর আগে কেবল ধ্রুবই সমুদ্র দেখেছে। তবে সেন্ট মার্টিনে এই প্রথম সবাই আসলো। সকলের চোখেই রাজ্যের বিস্ময়। অদূরে নীল আকাশ সাগরের নীল জল যেন একসাথে মিশে গেছে। সমুদ্রের স্বচ্ছ্ব নীল জলে যেন নিজের প্রতিবিম্ব দেখা যায়। চারিদিকে অসংখ্য প্রবাল। সমুদ্রের ঢেউগুলো আছড়ে একের পর এক আছড়ে পড়ছে তীরে। সমুদ্রের এক অদ্ভুত সম্মোহনী শক্তি আছে। সে শুধুই কাছে টানে, বারবার যেন কানের কাছে এসে বলতে থাকে, “আরে ভয় কিসের, আরো সামনে এসো...সাগরের নীলজলের সাথে একাত্ম হও।“

আরমানঃ মামা, কি সিনারি দ্যাখছস?
ফাইয়াজঃ হ, দোস্ত। এইখানে না আসলে জীবন বৃথা।
ধ্রুবঃ দোস্ত, এইখানে ভাল ডাব পাওন যায়। চল খাই।
সবুজঃএখন একটু পানিতে নামি। পরে খাওয়া যাইব।
ফাইয়াজঃহুম, ঠিকই কইছস। আমি আর নিজেরে সামলাইতে পারতাছিনারে। চল... তাড়াতাড়ি নামি।

--------------------------------------------------------------------

ধ্রুবঃ ঐ ফাইয়াজ, এত্ত সামনে যাইস নারে...
ফাইয়াজঃ আররে ব্যাটা কিচ্ছু হইব না। এইহানে কি খালি পা ভিজাইতে আইছি নাকি?
আরমানঃ হ, ব্যাটা... ঠিকই কইছস। ধ্রুব পোলাডা বেশিই ডরায়।
[কিছুক্ষণ পর]

ধ্রুবঃ দোস্ত, আমরা বেশি সামনে আইস্যা পড়ছিরে। এখন বড় কোন ঢেউ আসলে তাল সামলাইতে পারবিনা।
ফাইয়াজঃ আরে... ব্যাটা। তুই সাঁতার জাইন্যা এত্ত ডরাস ক্যান। আমি সাঁতার না জাইন্যাও এত সামনে আইছি।
সবুজঃ দোস্ত, এইখানে সাঁতার জাইন্যা কোন লাভ নাই। পানিতে যখন টান দিবনা তখন মাইকেল ফেলেপ্সও সাঁতরাইতে পারবনা।
আরমানঃ দোস্ত, দ্যাখ। কত্ত বড় একখান ঢেউ আসতাছে।
ধ্রুবঃ ওই পিছনে আয় সবাই, পিছনে আয়...

-------------------------------------------------------------------

[এক মিনিট পর]

ধ্রুবঃ (কাশতে কাশতে) ওই সবুজ, ফাইয়াজ, আরমান... তোরা কই?
সবুজঃ (কাশতে কাশতে) এইতো আমি এইখানে। নাকে মুখে পানি ঢুইক্যা এক্কেরে শ্যাষ।
ধ্রুবঃ বাকী দুইডা কই?
সবুজঃ আল্লাহ, আরমান আর ফাইয়াজ কই? আরমান? ফাইয়াজ?.........
সেন্টমার্টিনে গোসল করতে যেয়ে নিখোঁজ হয় দুই বন্ধু ফাইয়াজ ও আরমান। ধ্রুব আর সবুজ যেয়ে কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। সারাদিন সারারাত তল্লাশি চলে। তবু দুইজনের কোন খোঁজ মিলে না।

ধ্রুব আর সবুজ দুই বন্ধুকে হারানোর বেদনা নিয়েই ঢাকায় আসে। ওরা সবাই বাবা-মাকে না জানিয়েই গিয়েছিল। ফাইয়াজ আর আরমানের মা শোকে পাগল্প্রায় হয়ে যায়। তাদের বাবা-মা আত্মীয়স্বজনরাও শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। ভার্সিটি ক্যাম্পাস শোকে স্তব্ধ হয়ে যায়।

আর আনিলা...সে যেন কথা বলতে ভুলে যায়। ফেসবুকে ফাইয়াজের আপ্লোড করা ছবিগুলো দেখে...বেশিক্ষণ দেখতে পারে না ও। চোখ বাষ্পাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে তার।

ফাইয়াজ আর আরমান যেন সমুদ্রের সাথে বেশিই একাত্ম হয়ে গেছিল। এতটাই যে আর নিজেদেরকে আলাদা করতে পারেনি। শেষের কথাগুলো কেন যে এত সত্য হয়!

------------------------------------------------------------------

[তিন দিন পরে]
খবরঃ সেন্টমার্টিনের নিকটবর্তী একটি দীপ থেকে এক যুবক উদ্ধার। ছেলেটির নাম ফাইয়াজ চৌধুরী। কিছুদিন আগে সেন্টমার্টিন উপকূল থেকে ভার্সিটি পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। তাদের একজন হচ্ছেন ফাইয়াজ চৌধুরী। তাকে এখন প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অবশেষে খানিকটা সুস্থ হয়ে চিটাগং থেকে ইমার্জেন্সী ফ্লাইটে ঢাকায় আসে ফাইয়াজ। এয়ারপোর্টে বাবা-মা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ফাইয়াজের জন্য। অবশেষে ফাইয়াজ যখন চেকিং শেষে বের হইয়ে বাবা-মার কাছে আসে তখন সেখানে এক আবেগধন পরিবেশের জন্ম নেয়। জীবনটা যে কতটা মূল্যবান, ফাইয়াজ তা বুঝতে পারে।

সকলের ভিড়ের মাঝে হঠাৎ করে ফাইয়াজের চোখ যায় এয়ারপোর্টের এক কোনায় একটি মেয়ে দাড়িয়ে আছে। মৃদু বাতাস তার চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে। এলোমেলো চুলের মাঝখানে দিয়ে তার দৃষ্টি ফাইয়াজকে খুঁজে নিচ্ছে।

ভিড় ঠেলে ফাইয়াজ এগিয়ে যায় আনিলার দিকে। আনিলাকে চেনার উপায় নেই। মুখের সেই উজ্জ্বল্ভাবটা নেই, কাঁদতে কাঁদতে চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে ওর। তারপরেও মুখে যেন কিসের আভা। এর সাথে ফাইয়াজ পরিচিত নয়। আনন্দ, বিস্ময়, রাগ, অভিমান সবকিছু যেন একাকার হয়ে আছে ওই আভার সাথে।

কাছে আসার সাথে সাথে ফাইয়াজের গালে ঠাস করে একটা চড় বসাল আনিলা।
-উফ!
-কেন এত্ত কষ্ট দাও আমাকে? হ্যা...আমি তোমার কি ক্ষতি করেছি?
উত্তরের অপেক্ষা করে না আনিলা। জড়িয়ে ধরে ফাইয়াজকে। ফাইয়াজ অনুভব তার বুকের মাঝে ভেজা ভাব অনুভব করে। আনিলার রুক্ষ চুলে বিলি কেটে দেয় ফাইয়াজ। জীবনকে আসলেই বড্ড বেশি সুন্দর...বড্ড বেশিই!
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×