০১) ১৫৫৩ সালে রাজদ্রোহের অভিযোগে সাহিত্যিক টমাস মুর এর শিরোচ্ছেদের আদেশ হয়। জল্লাদ ধারালো কৃপাণ চালানোর আগ মুহূর্তে টমাস মুর সময় চাইলেন। তারপর সযত্নে তার বাবরি চুল সরিয়ে বললেন “দেখো, এগুলো যেন না কাটে।“
০২) ১৮৯৬ সালে চেরোকী বিল নামে একজন রাজনীতিবিদকে ফাঁসির আগে কিছু বলতে বলা হলে তিনি বলেছিলেন - “আমি এখানে মরতে এসেছি, ভাষণ দিতে নয়।”
০৩) কার্ল পানযরাম নামে এক শিল্পীকে ফাঁসিতে ঝোলাতে গিয়ে কোন কারণে জল্লাদের দেরি হচ্ছিল। তাতে কার্ল রেগে গিয়ে বলেছিলেন - “জলদি কর বেজন্মা কোথাকার, - তোর জায়গায় হলে আমি এতক্ষণে এক ডজনকে ঝুলিয়ে দিতাম।”
০৪) জর্জ আ পেল নামে এক খুনীকে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে বসানো হল। চেয়ারে বসে সে উপস্থিত দর্শকদের দিকে তাকিয়ে সহাস্যে মন্তব্য করল - “বন্ধুরা, আপনারা একটু পরেই এই চেয়ারের উপর একটি সেদ্ধ আপেল দেখতে পাবেন।”
০৫) প্রাচীন রোমে সুববিয়াস ফ্লেভাসকে শিরচ্ছেদের মাধ্যমে মৃত্যদন্ড প্রদানের কিছুক্ষণ আগে জল্লাদ তাকে স্থির থাকার পরামর্শ দেয়। এতে রেগে গিয়ে সুববিয়াস বলেছিলেন - “আমি ঠিক আছি গাধা, তোর হাত স্থির থাকলেই হয়।”
০৬) কুখ্যাত গ্যাংস্টার জেমস ডব্লিউ রজারসকে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে শেষ ইচ্ছে জানতে চাওয়া হলে সে ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিল - “একটা বুলেটপ্রুফ পোশাক চাই।”
০৭) রুশ বিপ্লবী কাউন্ট পাসটেলকে ফাঁসিতে ঝোলানোর সময় প্রথম চেষ্টায় জল্লাদ ব্যর্থ হয়। তাতে তিনি রেগে গিয়ে বলেন “স্টুপিড দেশ, কেমন করে ফাঁসি দিতে হয় এরা তাও জানে না।”
০৮) ফরাসি বিপ্লবী জিয়ান সেলভেইন বেইরীকে যখন বধ্যভূমিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তিনি কাঁপছিলেন। উপস্থিত একজন এ বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছিলেন - “বুদ্ধু কোথাকার, ঠান্ডায় কাঁপছি।”
০৯) কবি হেনরী রীচার মৃত্যুর আগের মুহুর্তে বলেছিলেন - “শুরু হল রহস্যের….।”
১০) লেখক ও হেনরী মৃত্যুর আগে ঘরের সব বাতি জ্বেলে দিয়ে বলেছিলেন - “আমি অন্ধকারে বাড়ি ফিরে যেতে চাই না।”
************
সবগুলোই ফেসবুক থেকে কালেক্ট করা।
তাই অবশ্যই আগে দেখে থকাতে পারেন। যারা দেখেন নাই তাদের জন্য।