somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কবি, নাট্যকার, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের ৪র্থতম মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশ ও বিশ্বের সাহিত্য জগতে আলাউদ্দিন আল আজাদ এক শ্রদ্ধেয় নাম। ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট কবি, সব্যসাচী লেখক, শিক্ষাবিদ ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। আলাউদ্দিন আল আজাদ বাংলাদেশের তথা সারা বিশ্বের সাহিত্য জগতের দীপ্তিমান প্রতিভা, মহান ব্যক্তিত্ব ও স্বকীয় মহিমায় উদ্ভাসিত এক নিরীক্ষাধর্মী সাহিত্যশিল্পী। তিনি তাঁর বহু রচনায় সমাজগতি ও মানববিচরণ রূপায়নে যেমন বিশেষ সার্থকতার সঙ্গে রূপক ও প্রতীক ব্যবহার করেছেন তেমনি আবার রোমান্টিকতা এবং মাটি ও মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট ছিলো তাঁর কবিতার স্বাভাবিক কণ্ঠস্বর। আর এভাবেই কালক্রমে তিনি নির্মাণ করেছেন মানুষ, তার বসবাসের ভূমি, তার অবস্থান-রাষ্ট্রের কাঠামো ও চরিত্র এবং অমিত সম্ভাবনার সূত্রাবলির অশেষ কথামালা। আলাউদ্দিন আল আজাদকে তাই বলা চলে আমাদের কালের কবি, আমাদের চেতনার বর্ণনাকারী শিল্পী; পর্যায়ক্রমিক রূপান্তরশীল এক অনন্য প্রতিভা। দেশ বরেণ্য এই কবি ২০০৯ এর ৩রা জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। আজ কবির ৪র্থতম মৃত্যুদিনে তাঁকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়।


আলাউদ্দিন আল আজাদ ১৯৩২ সালের ৬ মে বৃহত্তর ঢাকার বর্তমানে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা গাজী আব্দুস সোবহান এবং মাতার নাম মোসাঃ আমেনা খাতুন। আলাউদ্দিন আল আজাদ অভিজাত, বনেদি ও সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম নিলেও শৈশবটা তেমন সুখকর ছিল না। দেড় বছর বয়সে মা ইন্তেকাল করেন এবং দশ বছর বয়সে বাবা। আর তখন থেকেই প্রায় সর্বহারা আজাদের সংগ্রামশীল জীবনের শুরু। আলাউদ্দিন আল আজাদ ছিলেন প্রগতিশীল লেখক। বামপন্থী চিন্তাধারা ও কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। বামপন্থী রাজনৈতিক-সামাজিক আন্দোলনে এবং প্রগতিশীল সাহিত্য-আন্দোলনে আলাউদ্দিন আল আজাদের সাহসী ভূমিকা আজ অনেকেই ভুলে গেছেন; কিন্তু পথে-মাঠে-ময়দানে ও শিল্পকর্মে আলাউদ্দিন আল আজাদ মার্ক্সসীয় ভাবধারাকে সমুন্নত রাখার জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। আলাউদ্দিন আল আজাদ তার প্রকৃত নাম নয়। আলাউদ্দিনের সাথে যুক্ত হয়েছে লেখক নাম 'আল আজাদ'। আর তাঁর ডাক নাম ছিল 'বাদশা'। শৈশবে তিনি বাবা-মাকে হারান; আর এখান থেকেই শুরু হয় তার জীবনসংগ্রাম। গ্রামজীবনের কৃষিভিত্তিক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা ছিল তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।


আলাউদ্দিন আল আজাদ ১৯৪৯ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে অইএ পাস করেন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এবং ১৯৫৪ সালে প্রথম শ্রেণীতে এমএ পাস করেন। ১৯৫৫ সালে তোলারাম কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ঈশ্বরগুপ্তের জীবন ও কবিতা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে সিলেট এমসি কলেজ, চট্টগ্রাম কলজসহ পাঁচটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা এবং পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপালও ছিলেন। পেশাগত জীবনে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসে সংস্কৃতি উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্ণাঢ্য ও বিশাল কর্মজীবন ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত থেকে দেশ ও জাতির জন্য সেবামূলক কাজ করে গেছেন।


আলাউদ্দিন আল আজাদ ছিলেন রুশ সাহিত্যের ভক্ত, তলস্তয়ও গোর্কির অনুরাগী। তার প্রথম জীবনের ছোটগল্পে বিশেষ করে 'জেগে আছি' ও 'ধান কন্যা'র গল্পগুলোতে মার্কসবাদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। পরে অবশ্য আজাদ মার্কসবাদী ধারা ছেড়ে মনোনিবেশ করেন মনঃসমীক্ষণ রীতির দিকে। তিনি লেখার সমূহ উপাদান সংগ্রহ করেছেন আমাদের চেনা-জানা পরিবেশ থেকে; অবশ্য ভিনদেশি সাহিত্যপাঠের মাধ্যমেও শাণিত করেছেন অনুভব শক্তি। বাংলাদেশের সাহিত্যের ইতিকথা এবং আবহমান বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার প্রতিও ছিল তাঁর বিশেষ ঝোঁক। ভাষা আর জীবনবীক্ষায় তিনি নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন; খুঁজেছেন সম্ভাবনার ইতিবাচক পথ। তাঁর স্বাতন্ত্র্য এবং ঐশ্বর্য বাংলা কবিতাভুবনে নিঃসন্দেহে এক অনন্য সংযোজন। স্বদেশপ্রেম, সমাজ-সচেতনতা এবং সংগ্রামী চেতনা তাঁর কবিতাচর্চার প্রধান কেন্দ্রভূমি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর সাহিত্য কীর্তি দেশ-বিদেশে প্রশংসাধন্য। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, গবেষণা, সম্পাদনাসহ সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় তাঁর সফল ও সার্থক পদচারণা। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৪৯টি। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহঃ
১। তেইশ নম্বর তৈলচিত্র (১৯৬০), ২। শীতের শেষরাত বসন্তের প্রথম দিন (১৯৬২), ৩। কর্ণফুলী (১৯৬২), ৪। ক্ষুধা ও আশা (১৯৬৪), ৫। খসড়া কাগজ (১৯৮৬), ৬। শ্যাম ছায়ার সংবাদ (১৯৮৬), ৭। জ্যোৎস্নার অজানা জীবন (১৯৮৬), ৮। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি (১৯৮৬), ৯। স্বাগতম ভালোবাসা (১৯৯০), ১০। অপর যোদ্ধারা (১৯৯২), ১১। পুরানা পল্টন (১৯৯২), ১২। অন্তরীক্ষে বৃক্ষরাজি (১৯৯২), ১৩। প্রিয় প্রিন্স (১৯৯৫), ১৪। ক্যাম্পাস (১৯৯৪), ১৫। অনূদিত অন্ধকার (১৯৯১), ১৬। স্বপ্নশীলা (১৯৯২), ১৭। কালো জ্যোৎস্নায় চন্দ্রমল্লিকা (১৯৯৬), ১৮। বিশৃঙ্খলা (১৯৯৭)
গল্প গ্রন্থঃ ১। জেগে আছি, ২। ধানকন্যা, ৩। মৃগনাভি, ৪। অন্ধকার সিঁড়ি, ৫। উজান তরঙ্গে, ৬। যখন সৈকত, ৭। আমার রক্ত স্বপ্ন আমার
কাব্য গ্রন্থঃ ১। মানচিত্র, ২। ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ, ৩। সূর্য জ্বালার স্বপন, ৪। লেলিহান পান্ডুলিপি
নাটকঃ ১। এহুদের মেয়ে, ২। মরোক্কোর জাদুকর, ৩। ধন্যবাদ, ৪। মায়াবী প্রহর, ৫। সংবাদ শেষাংশ। রচনাবলীঃ শিল্পের সাধনা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর লেখা বই "ফেরারী ডায়েরী (১৯৭৮)"


তেইশ নম্বর তৈলচিত্রঃ অধ্যাপক, কবি ও ঔপন্যাসিক আলাউদ্দিন আল আজাদের প্রথম উপন্যাস।১৯৬০ সালে পদক্ষেপ নামক এক পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় উপন্যাসটি প্রথম ছাপা হয়। পরবর্তীকালে ১৯৬১ সালে নওরোজ কিতাবিস্তান উপন্যাসটি বই আকারে প্রকাশ করে। নওরোজের পর মুক্তধারা সাতবার ছেপেছে। অনেক ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। ১৯৭৭ সালে বুলগেরীয় ভাষায় অনুবাদ হয়েছে পোত্রেৎ নমের দুবাতসাৎ ত্রি নামে। সুভাষ দত্তের পরিচালনায় সিনেমা হয়েছে 'বসুন্ধরা' নামে। সিনেমাটি সাতটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছে।
উপন্যাসের কাহিনীর নায়ক জাহেদের চিত্র 'মাদার আর্থ' করাচিতে এক আন্তর্জাতিক একজিবিশনে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। এ খবর দিয়ে উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছেদের যাত্রা। আর সাত দিনের সেই একজিবিশনের চার দিনের মাথায়ই জাহেদ স্ত্রী বিরহে ব্যাকুল হয়ে ঢাকায় ফিরে এসেছে এবং দরজার কড়া নাড়ার আগেই দরজা খুলে তার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে 'সরুপাড় সালোয়ার-কামিজ পরা' তার স্ত্রী ছবি এ বর্ণনা দিয়ে উপন্যাসের শেষ পরিচ্ছেদের ইতি। চার দিনের এ-মাথায় ও-মাথায় এভাবে উপন্যাসের শুরু ও শেষ দেখানো হলেও এরই মধ্যে আটকানো হয়েছে জাহেদের শিল্পী জীবনের প্রায় পুরোটা।" তার কাহিনীর উলেস্নখযোগ্য আরেকটি চলচ্চিত্র ‘সূর্যস্নান’। সালাহউদ্দিনের পরিচালনায় নির্মিত এ ছবিটি ১৯৬২ সালে তেহরান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়।


(শামসুর রাহমান, আলাউদ্দিন আল-আজাদ, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, হাসান হাফিজুর রহমান প্রমুখ)
বসুন্ধরা ও সূর্যস্নানের অমর স্রষ্টা আলাউদ্দিন আল আজাদ আলাউদ্দিন আল আজাদ কেবল চলচ্চিত্রকার, সাহিত্যিক ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন না। ছিলেন রাজনীতিসচেতন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভাষা আন্দোলনে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। একুশে রক্তাক্ত ঘটনার পর তাঁরই উদ্যোগে প্রথম প্রকাশিত হয় একুশে প্রথম বুলেটিন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত প্রথম শহীদ মিনার ধ্বংসের পর তিনি রচনা করেন ঐতিহাসিক ও অমর কবিতা ‘স্মৃতিস্তম্ভ’। ১৯৫৩ সালে কবি হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত 'একুশে ফেব্রুয়ারি' সঙ্কলনে তার কালজয়ী এই কবিতাটি স্থান পায়। কবিতাটি অবিস্মরণীয় হয়ে আছে বাঙালি জাতির মনে ও মননে। শহীদ মিনারের ওপর এমন সার্থক আরেকটি কবিতাও বাংলা সাহিত্যে বিরল। কবিতাটির রচনাকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সাল। এই কবিতাটি যখন লেখেন, বয়সে তখন তিনি একেবারেই তরুণ এবং তারুণ্যের উন্মাদনায় বামপন্থী রাজনৈতিক ধারায় সম্পৃক্ত। সাহিত্যসাধনার প্রথম দিকের কবিতাটিতে আমরা দেখতে পাই অত্যন্ত তীক্ষ্ম, ধারালো এবং মার্কসবাদে উজ্জীবিত আলাউদ্দিনকে, মতবাদের বাইরেও যিনি তাঁর রচনাকে করে তুলেছেন অনন্যসাধারণ এক একটি হীরের টুকরো। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শহীদ মিনার ভেঙে ফেললে প্রগতিশীল এই কবি লিখেছেন চেতনা-জাগানিয়া কবিতা। এই কবিতা শুধু শোকগাথা নয়। এটা ছিল আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতীক এবং সর্বজনীন গণমানুষের সংগ্রামী চেতনার প্রতীক। তাঁর রচিত পঙ্ক্তিমালা যেন আমাদের রক্তকণিকার স্পন্দনে উচ্চারিত হয়ঃ


‘স্মৃতিস্তম্ভ’
ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ

স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো
চার কোটি পরিবার খাড়া রয়েছি তো!
ইটের মিনার ভেঙেছে ভাঙুক। একটি মিনার গড়েছি আমরা
চারকোটি কারিগর
বেহালার সুরে, রাঙা হৃদয়ের বর্ণ লেখায়।
পলাশের আর
রামধনুকের গভীর চোখের তারায় তারায়
দ্বীপ হয়ে ভাসে যাদের জীবন, যুগে যুগে সেই
শহীদের নাম
এঁকেছি প্রেমের ফেনিল শিলায়, তোমাদের নামে।
তাই আমাদের
হাজার মুঠির বজ্রশিখরে সূর্যের মতো জ্বলে শুধু এক
শপথের ভাস্কর


আলাউদ্দিন আল আজাদ তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৯৬৪ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার , ১৯৬৫ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৭৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৯৮৩ সালে আবুল কালাম শামসুদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে আবুল মনসুর আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৫ সালে লেখিকা সংঘ পুরস্কার, রংধনু পুরস্কার, ১৯৮৬ সালে অলক্তা সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, ১৯৮৭ সালে শেরে বাংলা সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৯ সালে নাট্যসভা ব্যাক্তিত্য পুরস্কার, কথক একাডেমী পুরস্কার এবং ১৯৯৪ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণ পদক লাভ করেন।


দেশ বরেণ্য কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ ২০০৯ এর ৩রা জুলাই শুক্রবার রাতে ঢাকার উত্তরায় বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর নিজ বাসভবন রত্নদ্বীপে মৃত্যুবরণ করেন।


(মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিক্ষেত্রে চিরশায়িত ড.আলাউদ্দিন আল আজাদ)
‘৫২-এর ভাষা আন্দোলনকে নিয়ে সাড়া জাগানো কবিতা ‘স্মৃতিসত্দম্ভ’-এর রচয়িতা খ্যাতিমান সাহিত্যিক, ভাষা সংগ্রামী, শিক্ষাবিদ ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের ৪র্থতম মৃত্যুদিনে তাঁকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×