বছরের দুই মাস বাকী থাকতেই জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই দশ মাসের মধ্যে তারা প্রায় চারটি পরীক্ষা দিয়েছে, সরকারি ভাবে প্রায় ৬০ দিন ছুটি ভোগ করেছে । তাহলে তারা পড়লো কতদিন ? সরকার বারবার নোট-গাইড, কোচিং নিয়ে কথা বলছে কিন্তু তারা আসল যায়গায় হাত দেয় না। আজ হাতে গোনা অল্প কিছু শিক্ষার্থী ছাড়া ভালো করে কেউ সিলেবাস শেষ করেনি। স্যাররা বিগত বছরের প্রশ্ন বাদ রেখে শর্টকাট সাজেশন্স দিয়ে দিয়েছে।একগ্রুপ প্রশ্ন ফাঁস করা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। আমি মনে করি সরকার কেই প্রশ্ন ফাঁস করা উচিত । তারা তিন সেট প্রশ্ন দিবে, যার থেকে ১০০% কমন পরীক্ষায় আসবে। ঐই তিন সেট প্রশ্ন সমাধান করতে হলে তাকে সিলেবাস ভালোভাবে শেষ করতেই হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্ন আউট করে দেয় আর সেই প্রশ্ন সমাধান করতে গেলে দেখা যায় স্যার –ম্যডোমের উদ্দেশ্য হাসিল হয়েছে , মানে তারা একটি শিক্ষার্থীকে বই পড়তে বাধ্য করেছে।আমাদের মান সম্মত শিক্ষকের বড়ই অভাব। আগে শিক্ষকদের মান বৃদ্ধি করতে হবে। নব্বই দশকের পর বেসরকারি খাত উন্নত হওয়ার কারণে বেশিরভাগ মেধাবীরা শিক্ষক না হয়ে বেসরকারি চাকরি গ্রহণ করছে । কারণ শিক্ষকতার থেকে বেশি টাকা সেখান থেকে আয় করা সম্ভব। আর এ্ জন্য অযোগ্য অদক্ষরা টাকা দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছে। তাই অযোগ্য শিক্ষকদের আগে বাদ দিতে হবে। আর এটা করা খুব সহজ। শিক্ষক নির্বাচন করবে শিক্ষার্থীরা ,একটি ক্লাসের শির্ক্ষীদের অভয় দিয়ে তাদের কাছে জানতে হবে কোন শিক্ষক ভালো ,আর কে খারাপ, কে ভাল শেখায় ,আর কে ভালো শেখাতে পারে না। এই ভাবে যে শিক্ষক ৭৫ % ভোট পাবে সে থাকবে ,আর যে পাবে না তাকে বাদ রাখতে হবে। এখানে আপস করা যাবে না ,আর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলে তাদের ছয় মাস পাঠদাননের সুযোগ দিতে হবে, সে যদি শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারে তো চাকরি স্থায়ী হবে না পারলে নয়। আমাদের শিক্ষকদের সরকারি সুযোগ সুবিধা খুবই কম। তাদের থেকে কম মেধাবীরা যখন গাড়িবাড়ি করে তখন তারা কষ্ট পায় । তাই জীবনের স্বাধ পুরুণ করতে গিয়ে অনেকে কোচিং ব্যাচ পড়াতে বাধ্য হয় ।তাদের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের সবথেকে বেশি সুযোগ সুবিধা তাদেরকে দিতে হবে। তাহলে মেধাবীরা এই পেশায় আসতে চাইবে। আমি বুঝি না ,যার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ যারা এমপি-মন্ত্রী, আমলা-সচিব হচ্ছে তারা শিক্ষকদের থেকে বেশি বেতন সুবিধা ভোগ করে কি ভাবে? তাদের কি নূন্যতম লজ্জা করে না? সরকার অতি মনোযোগ দিতে গিয়ে শিক্ষার ক্ষতি করছে অবিলম্বে প্রাথামিক সমাপনি পরীক্ষা বন্ধ করা উচিত। আর জেএসসি পরিীক্ষা আরো দেরিতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত
মো: হেলাল হোসেন
শিক্ষার্থী
Masters of Development Policy Studies
Khulna University
Email: [email protected]
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮