ইউরোপের বাজারে গত তিন মাস ধরে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চামড়া শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর পরে আবার ব্যাংক ঋণ পেতে শঙ্কায় ভুগছে সংশ্লিষ্টরা। সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্ক কর্তৃক টাকা আত্মসাতের কারণে ব্যাংকগুলোও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে। পবিত্র কুরবানীর আগে ব্যাংক ঋণ না পেলে অনেক ট্যানারির মালিক চামড়া কিনতে পারবে না বলে জানা গেছে। চামড়া কিনতে ব্যর্থ হলে ভারতে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতি বছরই কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সীমান্তের প্রহরীদের হাত করে বেশি দাম পাওয়ার আশায় ভারতে চামড়া পাচার করে দেয়।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, ২০১২-১৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২০ শতাংশ রফতানি আয় কমেছে। এ সময়ে ৯ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে আয় হয় ৭ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। মন্দার প্রভাবে প্রথম তিন মাসে রফতানি কমেছে প্রায় ১ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার।
এদিকে রফতানি কমার পাশাপাশি বিদেশি অর্ডারও বাতিল করছে ক্রেতারা। বিশেষ করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইতালি, জার্মানি, স্পেন ও আমেরিকা। কিছুদিন ধরে ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ কারণেই বিশ্ববাজারে আকস্মিক চামড়ার দাম কমেছে। যে কারণে ইতোমধ্যেই বিদেশি অনেক ক্রেতা বেশ কিছু অর্ডার বাতিল করেছে। আবার মূল্য কমে যাওয়ায় লোকসান হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই চামড়া রফতানি করছে না। বিএফএলএলএফইএ’র দেওয়া তথ্য মতে, গত দেড় মাসে ২০ লাখ ফুট চামড়ার অর্ডার বাতিল করেছে বায়াররা।
তথ্য মতে, এ মুহূর্তে কমপক্ষে ৬০০ কোটি টাকার চামড়া বিভিন্ন ট্যানারিতে মজুদ পড়ে আছে। কারণ বায়ার পাওয়া যাচ্ছে না। জানা গেছে, পবিত্র শবে বরাতের আগে বিশ্ব বাজারে এক বর্গফুট চামড়া গড়ে ২৪৮ টাকা (২.৯৫ মার্কিন ডলার) ছিল। কিন্তু আজকের বাজারে দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৯ টাকা (১.৬৫ ডলার)। মূলত মন্দার কারণেই এই মূল্যের পতন হয়েছে। এই বিপর্যয় ২০০৮ সালের মতো হবে।
গত বছর পবিত্র কুরবানীর চামড়া কিনতে ট্যানারি শিল্পের মালিকদের রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ঋণ দেয়। প্রতি বছর এই ঋণ দেয়া হয় পবিত্র কুরবানির আগে। সম্প্রতি হলমার্ক, গ্রিন প্রিন্টার্স, ডেসটিনিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের ঘটনায় আর্থিক খাতে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। ফলে এ বছর পবিত্র কুরবানীর আগে এই ঋণ পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে এ শিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলে, যদি পবিত্র ঈদ উনার আগে ঋণ না দেয়া হয় বা কমানো হয় তাহলে এটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। অধিকাংশ চামড়া পাচার হয়ে যাবে পাশের দেশে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
এদিকে উত্তরাঞ্চলের চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানের ট্যানারি মালিকদের কাছে। আসন্ন পবিত্র কুরবানীর ঈদে ১৬ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার চামড়া ব্যবসায়ী টাকার অভাবে এবার চামড়া ক্রয় করতে পারবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই সুযোগে একটি সিন্ডিকেট ভারতে চামড়া পাচারের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
এদিকে, চামড়া ক্রয়ে এখন পর্যন্ত কোনও প্রকার ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা না থাকায় এ পেশার সঙ্গে জড়িত লক্ষাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ফড়িয়া রয়েছে হতাশায়।
আর মাত্র ৯ দিনের মতো বাকি রয়েছে পবিত্র কুরবানীর ঈদ উনার। এই পবিত্র ঈদ উনাকে ঘিরে প্রতি বছর চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা গেলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। আগের বকেয়া টাকা না পাওয়ায় চামড়া ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা চরম হতাশায় রয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের গরুর হাটগুলোতে আমদানি প্রচুর হলেও কাঙ্খিত বেচা-কেনা নেই। দামও অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দুর্দশার সুযোগে এরই মধ্যে একটি পাচারকারী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের জন্য। সীমান্ত দিয়ে যাতে পাচার না হয় এ জন্য চামড়া ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এখন থেকেই।
চামড়া ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগেও উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি জেলায় প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার পিস গরুর চামড়া আমদানি হতো। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দা সহ বিভিন্ন কারণে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এখন ৮০০ থেকে এক হাজার পিসে। একইভাবে প্রতি বছর পবিত্র কুরবানীর সময় প্রতিটি জেলায় দুই থেকে আড়াই লাখ পিস চামড়া আমদানি হতো। সেই হিসাবে প্রতি বছর পবিত্র কুরবানীর সময় উত্তরাঞ্চলে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ পিস গরুর চামড়া আমদানি হয়।
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা এবার সেই লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে। আবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও তা ভারতে পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শতভাগ।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, প্রতিবছরই পবিত্র ঈদুল আযহা উনাকে সামনে রেখে সক্রিয় হয় চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেট। সীমান্তের ওপার হতে এক শ্রেণীর মাড়োয়ারী এপারে এসে ফরিয়া ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়া সংগ্রহ করে থাকে। তারা চামড়া কেনার জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগ করে থাকে। দেশের চামড়া ব্যবসায়ীরা বেশি দাম পাওয়ায় হাতের কাছেই খুব সহজেই মাড়োয়ারীদের হাতে ওই চামড়া তুলে দেয়। চামড়া সংগ্রহ করে এসব মাড়োয়ারী বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে পাচার করে নিয়ে যায়।
এদিকে ট্যানারি শিল্প মালিকদের পক্ষ থেকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচারের এসব রুট চিহ্নিত করে পবিত্র ঈদ উনার কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সুপারিশ পেশ করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে চামড়া পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া চামড়ার হাটে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের টহল দল মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত চামড়ার মোকামে র্যাব ও পুলিশের তৎপরতা তেমন চোখে পড়েনি। পুলিশের টহল জোরদার না হলে চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের চামড়ার মান অনেক উন্নত বলে সীমান্তে বেশি দামে তা বেচাকেনা হচ্ছে।
বলাবাহুল্য, এক্ষেত্রে সরকারের উচিত ছিল সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। দেশের সম্পদ দেশে রক্ষা করা।
উল্লেখ্য, এক চামড়া সম্পদ সংরক্ষণ এবং বিপণনে যদি সরকার পদক্ষেপ নেয় তবে এর দ্বারাই দেশের অর্ধেক বাজেট অর্জন সম্ভব।
ইউরোপের বাজারে গত তিন মাস ধরে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চামড়া শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর পরে আবার ব্যাংক ঋণ পেতে শঙ্কায় ভুগছে সংশ্লিষ্টরা। সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্ক কর্তৃক টাকা আত্মসাতের কারণে ব্যাংকগুলোও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে। পবিত্র কুরবানীর আগে ব্যাংক ঋণ না পেলে অনেক ট্যানারির মালিক চামড়া কিনতে পারবে না বলে জানা গেছে। চামড়া কিনতে ব্যর্থ হলে ভারতে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতি বছরই কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সীমান্তের প্রহরীদের হাত করে বেশি দাম পাওয়ার আশায় ভারতে চামড়া পাচার করে দেয়।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, ২০১২-১৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২০ শতাংশ রফতানি আয় কমেছে। এ সময়ে ৯ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে আয় হয় ৭ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। মন্দার প্রভাবে প্রথম তিন মাসে রফতানি কমেছে প্রায় ১ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার।
এদিকে রফতানি কমার পাশাপাশি বিদেশি অর্ডারও বাতিল করছে ক্রেতারা। বিশেষ করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইতালি, জার্মানি, স্পেন ও আমেরিকা। কিছুদিন ধরে ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ কারণেই বিশ্ববাজারে আকস্মিক চামড়ার দাম কমেছে। যে কারণে ইতোমধ্যেই বিদেশি অনেক ক্রেতা বেশ কিছু অর্ডার বাতিল করেছে। আবার মূল্য কমে যাওয়ায় লোকসান হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই চামড়া রফতানি করছে না। বিএফএলএলএফইএ’র দেওয়া তথ্য মতে, গত দেড় মাসে ২০ লাখ ফুট চামড়ার অর্ডার বাতিল করেছে বায়াররা।
তথ্য মতে, এ মুহূর্তে কমপক্ষে ৬০০ কোটি টাকার চামড়া বিভিন্ন ট্যানারিতে মজুদ পড়ে আছে। কারণ বায়ার পাওয়া যাচ্ছে না। জানা গেছে, পবিত্র শবে বরাতের আগে বিশ্ব বাজারে এক বর্গফুট চামড়া গড়ে ২৪৮ টাকা (২.৯৫ মার্কিন ডলার) ছিল। কিন্তু আজকের বাজারে দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৯ টাকা (১.৬৫ ডলার)। মূলত মন্দার কারণেই এই মূল্যের পতন হয়েছে। এই বিপর্যয় ২০০৮ সালের মতো হবে।
গত বছর পবিত্র কুরবানীর চামড়া কিনতে ট্যানারি শিল্পের মালিকদের রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ঋণ দেয়। প্রতি বছর এই ঋণ দেয়া হয় পবিত্র কুরবানির আগে। সম্প্রতি হলমার্ক, গ্রিন প্রিন্টার্স, ডেসটিনিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের ঘটনায় আর্থিক খাতে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। ফলে এ বছর পবিত্র কুরবানীর আগে এই ঋণ পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে এ শিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলে, যদি পবিত্র ঈদ উনার আগে ঋণ না দেয়া হয় বা কমানো হয় তাহলে এটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। অধিকাংশ চামড়া পাচার হয়ে যাবে পাশের দেশে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
এদিকে উত্তরাঞ্চলের চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানের ট্যানারি মালিকদের কাছে। আসন্ন পবিত্র কুরবানীর ঈদে ১৬ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার চামড়া ব্যবসায়ী টাকার অভাবে এবার চামড়া ক্রয় করতে পারবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই সুযোগে একটি সিন্ডিকেট ভারতে চামড়া পাচারের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
এদিকে, চামড়া ক্রয়ে এখন পর্যন্ত কোনও প্রকার ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা না থাকায় এ পেশার সঙ্গে জড়িত লক্ষাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ফড়িয়া রয়েছে হতাশায়।
আর মাত্র ৯ দিনের মতো বাকি রয়েছে পবিত্র কুরবানীর ঈদ উনার। এই পবিত্র ঈদ উনাকে ঘিরে প্রতি বছর চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা গেলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। আগের বকেয়া টাকা না পাওয়ায় চামড়া ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা চরম হতাশায় রয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের গরুর হাটগুলোতে আমদানি প্রচুর হলেও কাঙ্খিত বেচা-কেনা নেই। দামও অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দুর্দশার সুযোগে এরই মধ্যে একটি পাচারকারী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের জন্য। সীমান্ত দিয়ে যাতে পাচার না হয় এ জন্য চামড়া ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এখন থেকেই।
চামড়া ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগেও উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি জেলায় প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার পিস গরুর চামড়া আমদানি হতো। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দা সহ বিভিন্ন কারণে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এখন ৮০০ থেকে এক হাজার পিসে। একইভাবে প্রতি বছর পবিত্র কুরবানীর সময় প্রতিটি জেলায় দুই থেকে আড়াই লাখ পিস চামড়া আমদানি হতো। সেই হিসাবে প্রতি বছর পবিত্র কুরবানীর সময় উত্তরাঞ্চলে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ পিস গরুর চামড়া আমদানি হয়।
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা এবার সেই লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে। আবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও তা ভারতে পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শতভাগ।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, প্রতিবছরই পবিত্র ঈদুল আযহা উনাকে সামনে রেখে সক্রিয় হয় চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেট। সীমান্তের ওপার হতে এক শ্রেণীর মাড়োয়ারী এপারে এসে ফরিয়া ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়া সংগ্রহ করে থাকে। তারা চামড়া কেনার জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগ করে থাকে। দেশের চামড়া ব্যবসায়ীরা বেশি দাম পাওয়ায় হাতের কাছেই খুব সহজেই মাড়োয়ারীদের হাতে ওই চামড়া তুলে দেয়। চামড়া সংগ্রহ করে এসব মাড়োয়ারী বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে পাচার করে নিয়ে যায়।
এদিকে ট্যানারি শিল্প মালিকদের পক্ষ থেকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচারের এসব রুট চিহ্নিত করে পবিত্র ঈদ উনার কিছুদিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সুপারিশ পেশ করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে চামড়া পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া চামড়ার হাটে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের টহল দল মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত চামড়ার মোকামে র্যাব ও পুলিশের তৎপরতা তেমন চোখে পড়েনি। পুলিশের টহল জোরদার না হলে চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের চামড়ার মান অনেক উন্নত বলে সীমান্তে বেশি দামে তা বেচাকেনা হচ্ছে।
বলাবাহুল্য, এক্ষেত্রে সরকারের উচিত ছিল সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। দেশের সম্পদ দেশে রক্ষা করা।
উল্লেখ্য, এক চামড়া সম্পদ সংরক্ষণ এবং বিপণনে যদি সরকার পদক্ষেপ নেয় তবে এর দ্বারাই দেশের অর্ধেক বাজেট অর্জন সম্ভব।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



