মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন ‘আহলে কিতাব তথা কাফির-মুশরিকরা চায় মুসলমান উনারা ঈমান আনার পর উনাদেরকে পুনরায় কাফির বানিয়ে দিতে।’
গরু কুরবানী করা যেরূপ খাছ সুন্নত ও শিয়ারুল ইসলাম তদ্রুপ খাসীকৃত পশু কুরবানী করাও খাছ সুন্নত।
যারা ‘গরু কুরবানী বন্ধে আহবান করে ও খাসী কুরবানী করাকে নাজায়িয বলে’- তারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলমান উনাদের প্রকাশ্য দুশমন।
তারা ইহুদী-নাছারা, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী-মুশরিক তথা বিধর্মীদের প্রকাশ্য দালাল।
তাদেরকে চিহ্নিত ও প্রতিহত করা সকলের ঈমানী দায়িত্ব।
মুসলমান উনাদের ঈমান কি করে হরণ করা যায় এবং উনাদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের পালন থেকে বিচ্যুত করা যায়, সে বিষয়ে কাফির-মুশরিকরা সবসময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন “আহলে কিতাব তথা কাফির-মুশরিকরা চায় মুসলমান উনারা ঈমান আনার পর উনাদেরকে পুনরায় কাফির বানিয়ে দিতে।” নাঊযুবিল্লাহ! আর এক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করছে ধর্মব্যবাসায়ী মৌলবী বা উলামায়ে ‘সূ’দেরকে। তাদের মধ্যে অন্যতমত হচ্ছে দেওবন্দী ও রেযাখানী মৌলবীগং।
গরু কুরবানী বন্ধে কতিপয় দেওবন্দী মালানার আহবান সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য ও কুফরীর শামিল। এ আহবান তাদেরকে হিন্দুতে পরিণত করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে তার হাশর-নশর তার সাথে হবে।” এ পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী দেওবন্দীদের হাশর-নশর হওয়ার কথা হিন্দুদের সাথে।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম, আর আমাদের জন্য আমাদের দ্বীন।” পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত মুবারক অনুযায়ী অন্য ধর্মের অনুভূতির কথা-বিবেচনা করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আমল পরিহার করা কুফরী।
গরু কুরবানী করা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অন্যতম শিয়ার। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য পবিত্র যবেহ উনার বিধান (পবিত্র কুরবানী উনার) নির্ধারণ করেছি। যাতে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার দেয়া গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু যবেহ করার সময় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র নাম মুবারক উচ্চারণ করে।” (পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ : পবিত্র আয়াত মুবারক-৩৪)
গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে অন্যতম হল ‘গরু’। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অন্যতম পবিত্র সূরা শরীফ উনার নাম মুবারক ‘সূরা বাক্বারা শরীফ’ বা ‘গাভী’; যা প্রায় প্রত্যেক মুসলমানই অবগত।
ইতিহাসে যুগে যুগে দেখা গেছে গরু কুরবানী বন্ধে সবসময় হিন্দুরা জোর-যুলুম করেছে আর তা প্রতিবাদের দ্বারা দ্বীন ইসলাম উনার ব্যাপক বিস্তার হয়েছে।
খোদ বাংলাদেশেও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রবেশ হয়েছে গরু কুরবানী বন্ধে রাজা গৌরগোবিন্দের জোর-যুলুমের প্রতিবাদে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জিহাদের দ্বারা।
বাতিল ফিরক্বা রেজভীদের একটি দল তারা প্রচার করে থাকে যে, খাসীকৃত পশু দিয়ে পবিত্র কুরবানী করা জায়িয নেই। নাউযুবিল্লাহ! অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব মুবারক ‘পবিত্র বুখারী শরীফ’ উনারসহ অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত আছে যে, “স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র খাসী মুবারক পবিত্র কুরবানী করেছেন।” তাই বলার অপেক্ষা রাখে না যে, খাসী কুরবানী করা জায়িয তো বটেই বরং খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত।
মূলকথা হলো- গরু কুরবানী করা যেরূপ খাছ সুন্নত ও শিয়ারুল ইসলাম তদ্রুপ খাসীকৃত পশু কুরবানী করাও খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। যারা ‘গরু কুরবানী বন্ধে আহবান করে ও খাসী কুরবানী করাকে নাজায়িয বলে’- তারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ও মুসলমান উনাদের প্রকাশ্য দুশমন। তারা ইহুদী, নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী, মুশরিক তথা বিধর্মীদের প্রকাশ্য দালাল। তাদেরকে চিহ্নিত ও প্রতিহত করা সকলের ঈমানী দায়িত্ব।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৭:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



