নবায়নের সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ায় চুয়াডাঙ্গার ১৪ টি ইটভাটার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ইটপোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন মোতাবেক জেলা প্রশাসক ওইসব ইটভাটার লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করেন। এরপরেও ওই ইটভাটা চালু থাকলে সংশ্লিষ্ট মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
গত ২২ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ভোলা নাথ দে স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, যেহেতু সংশ্লিষ্ট ইটভাটা মালিকরা জেলা প্রশাসন হতে ইস্যুকৃত ইটভাটা লাইসেন্স যথাসময়ে নবায়ন করেনি এবং কারণ দর্শানো হলেও তার জবাব বা নবায়নের আবেদন করেনি তাই এসব ইটভাটার লাইসেন্স বাতিল করা হলো।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩টি দামুড়হুদা উপজেলায় ৬টি এবং জীবননগর উপজেলায় ২টি ইটভাটার লাইসেন্স নবায়নের সময়সীমা উত্তীর্ণজনিত কারণে ইটপোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৯ এর ৪(৪) ধারা মোতাবেক ইটভাটার লাইসেন্স বাতিল করেছেন জেলা প্রশাসক। সেইসাথে এই আদেশের তালিকাভুক্ত কোনো ইটভাটা যদি চালু থাকে তাহলে সেই সমস্ত ইটভাটা বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক ভোলা নাথ দে।
জেলা প্রশাসকের পত্রসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজারের আব্দুল বারীর ইটভাটা, ভুলটিয়ার আব্দুল খালেক মালিতার ইটভাটা, সাড়াবাড়িয়ার রেজাউল হকের এসবিএম ব্রিক্স, আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা মুন্সিগঞ্জের মনিরুদ্দোজার ইটভাটা, নওদা বন্ডবিলের ঠান্ডু রহমানের ইটভাটা, কুমারীর আব্দুল মজিদের এএম ব্রিক্স, দামুড়হুদা উপজেলায় রঘুনাথপুরের সাইদুর রহমান ও আনোয়ার হোসেনের যৌথ ইটভাটা সোনালী এন্টারপ্রাইজ, বড় দুধপাতিলার আব্দুর রহমানের ইটভাটা, দামুড়হুদার আব্দুর কাদিরের দেশ ব্রিক্স, ঈশ্বরচন্দ্রপুরের আশরাফুল আলম ও আব্দুল হান্নানের যৌথ ইটভাটা জনতা ব্রিক্স, কার্পাসডাঙ্গার সহিদুল ইসলাম পল্টু ও আব্দুল মালেকের যৌথ ইটভাটা রায়সা ব্র্রিক্স, দামুড়হুদার তারানীপুরের আবুল হাশেমের নিউ শেখ ব্রিক্স, জীবননগর উপজেলায় নোয়াব আলীর ইটভাটা ও নারায়ণপুরের সিএস রায়ের সীমান্ত ব্রিক্সকে জেলা প্রশাসন থেকে ইস্যুকৃত ইটভাটা লাইসেন্স যথাসময়ে নবায়ণ করেননি এবং অত্র অফিস থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করলেও কোনো জবাব বা নবায়ণের জন্য দরখাস্ত দাখিল না করায় লাইসেন্স নবায়ণের সময়সীমা উত্তীর্ণজনিত কারণে ওই ১৪টি ইটভাটার লাইসেন্স বাতিল করেন জেলা প্রশাসক। সেইসাথে এ আদেশের তালিকাভুক্ত যদি চালু থাকে তাহলে ওই সমস্ত ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ইটপোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৯ এর ৪ (১) ধারায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক ভোলা নাথ দে। জেলা প্রশাসকের এমন নির্দেশনাকে অগ্রাহ্য করে লাইসেন্স বাতিল হওয়া ওই ১৪টি ইটভাটায় পাহাড় সমান কাঠের স্তুপ করে ইতোমধ্যেই ভাটার প্রাথমিক কার্যক্রম চালু করা হয়েছে বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



