আপনার সাথে আমার কোন দ্বন্দ নেই। না জায়গা জমি নিয়ে, না অর্থকড়ি নিয়ে, না ধর্মগত, না অন্য কিছূ। আমি আপনাকে ব্যক্তিগত আক্রমনও করিনি। করেছি আপনার মতবাদকে। ঘৃন্য হেফাজতী মতবাদকে। আপনার হেফাজতে ইসলামের আড়ালে তালেবানী মতবাদকে। আপনার হেফাজতে ইসলামের আড়ালে জামাতের স্বার্থ উদ্ধারের মতবাদকে।
আপনি আমার দুটি কমেন্ট ডিলেট করে দিয়েছেন। কমেন্টগুলো ডেইলী স্টারের একটি আর্টিকেল বিষয়ক ছিল। কমেন্ট ডিলেট করে দেয়া সমাধান নয় ব্লগার আলতামাশ।
ডেইলী স্টার কি লিখেছে "Target Taliban rule"
কি বলতে চায় দি ডেইলী স্টার একটু পর্যালোচনা করি আসুন।
" ........................ হাবিবুর নিজেই তালেবান সংশ্লিস্টতার কথা উল্লেখ করেছিলেন আগস্ট ২০, ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত একটি বুলেটিনে । বুলেটিনটির শিরোনাম ছিল "ইসলামিক বিপ্লব"”। সিলেটে প্রকাশিত এই বুলেটিনটি প্রকাশিত হয়েছিল -"তালেবানদের পরিপূর্ণ বিজয় এবং আফগানিস্তানে একটি ইসলামিক রাস্ট্র প্রতিস্টা”"-কে উদযাপন করার জন্য। হুজি বাংলাদেশ’ - এর উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে আরও যারা ছিলেন, তারা হলেন - শায়কুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক (যিনি আগস্ট ২০১২ সালে ইন্তেকাল করেছেন), যিনি ছিলেন বিএনপির সাবেক সাবেক জোট শরীক, ইসলামিক ঐক্য জোটের প্রধান; বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সেকেন্ড ইন কমান্ড (বর্তমান প্রধান) সিলেটের মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান; কিশোরগঞ্জের আতাউর রহমান খান; চট্রগ্রামের সুলতান জাওক; ফরিদপুরের আব্দুল মান্নান এবং নোয়াখালীর হাবিবুল্লাহ। ..........................
বেশ কয়েক বছর আগে, এক সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেন তাদের পরিচয় যারা ১৯৮৮ সালে তার সাথে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তান সফর করেন। সেসময় তারা তালেবানদের কয়েকটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সাথে দেখা করেন। .......................... বুলেটিনটি তার প্রথম পৃস্টায় যে সাক্ষাতকারটি দিয়েছিল সেখানে হাবিবুর ১৯৮৮ সালে তার আফপানিস্তান সফরের বিস্তারিত বর্ননা দেন। তিনি বলেন, ”"হরকাতুল জিহাদের একটি আমন্ত্রনই আমাকে আফগানিস্তান সফরের মত এরকম একটি সৌভাগ্যমন্ডিত সফরের সুযোগ করে দিয়েছিল . . . . . আমাদের সাথে সফরে আরও যারা ছিলেন তারা হলেন – শায়খুল হাদিস, আতাউর রহমান খান, সুলতান সাওক, আব্দুল মান্নান, হাবিবুল্লাহ, আমি নিজে এবং আরও তিনজন"”। ....................... পাকিস্তানে হুজির স্থানীয় নেতারা নয় সদস্যবিশিস্ট বাংলাদেশ দলকে স্বাগত জানায় এবং তাদেরকে হুজির করাচি অফিসে নিয়ে যায়। হাবিবুর বলেন হুজি পাকিস্তানের প্রধান সাইফুল্লাহ আকতার এবং একজন বাংলাদেশী মুজাহিদিন, আব্দুর রহমান, গাড়ি চালিয়ে তাদেরকে পাক-আফগান সীমান্তের একটি আফগান মোহাজির ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তারা সেখানে অবস্থান করেন এবং কয়েকজন আহত মুজাহিদদের দেখতে যান। এছাড়াও একটি ক্যাডেট কলেজ পরিদর্শন করেন যেখানে ক্যাডেটরা তাদেরকে গার্ড অব অর্নার প্রদান করে। তারপর আব্দুর রহমান তাদেরকে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায় শীর্ষ মুজাহিদ নেতা আব্দে রাব্বির রাসুল সায়াফের বাস ভবনে, ...বর্ননা চলতে থাকে। বাড়ীটি সুরক্ষিত ছিল এন্টি এ্যায়ারক্রাফট গান ও সসস্ত্র প্রহরী দ্বারা। পরদিন আফগানিস্তানে যাওয়ার পথে, বাংলাদেশী দলটি পাকিস্তানে একটি বিশেষ মুজাহিদিন ক্যাম্প পরিদর্শন করে। সেখানে তারা বার জনের একটি বাংলাদেশী দলের সাথে মিলিত হয়, যাদের নেতৃত্তে ছিল আব্দুল কুদ্দুস নামে একজন। তারা দেখতে পান বিভিন্ন দেশের যুবকরা পর্বতময় ভু’মিতে সামরিক প্রশিক্ষন নিচ্ছে। যেসব অস্ত্রের প্রশিক্ষন তারা নিচ্ছে রকেট চালিত গ্রেনেডও রয়েছে তার মধ্যে । সেই রাতে হাবিবুর খাবার হিসাবে ঠান্ডা শুকনো রুটি গ্রহণ করেন। তার সাথে খাবারে অংশ নেয় ”একজন চৌকস আরব যুবক”. তিনি বলেন, "যখন আমি তার পরিচয় সম্পর্কে খোজখবর নিই, আমাকে বলা হয় তিনি ছিলেন ওসামা বিন লাদেন, একটি সৌদি বিত্তশালী পরিবারের সন্তান"। পরদিন তারা আফগানিস্তানে প্রবেশ করেন এবং পাহাড়ের উপরে একটি মুজাহিদিন সেনানিবাসে পৌছান। তারা সুড়ংয়ের ভিতর একটি অস্ত্রাগার পরিদর্শন করেন। তাদেরকে জানানো হয় যে অনতিদুরেই একটি রাশিয়ান বাহিনী অবস্থান নিয়েছে এবং সবাইকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। ”"আমাদের সবাইকে কালাশনিকভ (একে-৪৭) দেয়া হল”", তিনি বলেন । সেই সাথে যোগ করেন যে, রাতে তারা ক্যাম্পেই ছিলেন যখন মুজাহিদিন দল শত্রু অবস্থানের দিকেএগিয়ে যায় এবং যুদ্ধে লিপ্ত হয়। পরের দিনটা শুরু হয় ফিরতি পথের যাত্রা দিয়ে।
সাক্ষাৎকারে হাবিবুর জোর দিয়ে বলেন যে, ”"শুধুমাত্র তালেবান আর্দশনুসারে খেলাফতি রাস্ট্র প্রতিষ্টাই জাতীর ভাগ্যে পরিবর্তন করতে পারে”।"
ডেইলী স্টার আর্টিকেলের একেবারে শেষে এসে মূল কথাটি প্রকাশ করে। Yesterday, at the rally at Shapla Chattar, copies of a booklet were distributed. A line of the booklet read, “If alems and olamas can run Afghanistan then Bangladeshi alems would be able to run the country with Allah’s help.”
আমার প্রথম কমেন্টে আমি ব্লগার আলতামাশকে লিখেছিলাম,
উপরের আর্টিকেলটি নিয়ে কোর্টে মানহানির মামলা করুন ডেইলী স্টারের নামে । ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা। তা দিয়ে আপনাদের শফি হুজুর একটি হেলিকপ্টার কিনতে পারবেন।
আর ২য় কমেন্টে দিয়েছিলাম জঙ্গী মাওলানা হাবিবুর রহমানের সেই বুলেটিনটির ছবি -
আলোচনায় ব্লগার আলতামাশের সহযোগীরাও অংশ নিবেন। আপনারা তার হয়ে এগুলোর উত্তর কি হতে পারে, হেফাজতকে কেন তালেবানের পেইড এজেন্ট বলা যাবে কিংবা না, এগুলো প্রমান করে দিতে পারেন। একটি বিষয় সুন্দরভাবে সমাধানের জন্য আলোচনার বিকল্প নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



