somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কান্না ভেজা সেই ডাইরি

০৪ ঠা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

”কান্না ভেজা সেই ডাইরি”
আমার নাম নীলিমা। আসল নাম না, সবাই আমাকে অন্য নামে চিনে। কিন্তু আমি আমার সত্যিকারের নাম ব্যবহার করতে চাই না। আমার জন্ম দুই বছর পর আমার বাবা মারা যায়। এরপর থেকেই আমাদের দুঃখের জীবন শুরু। আমার মা অল্প শিক্ষিত, তাই তেমন কোন ভাল চাকরি পায় নি। আমার মামারা সম্পতি ভাগ দেবার ভয়ে, আমার মা বা আমার খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করে নি। আর আমার চাচারা এক হিসেবে আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে...। আমাকে নিয়ে আমার মা অথৈ সাগরে পরে যায়। আমার মা একটি কলেজের আয়ার চাকরি পায়। আমার বাবার ব্যবসায় টাকার পর, সাধারণ আয়ার টাকা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পরে। তবুও আমাদের অভাবী জীবন ঠিক ভাবেই চলছিল, কিন্তু.........।
আমার মা আমাকে বাসায় একা রেখে কলেজে যেতেন, আর আমি একা একা বাসায় দিন কাটাতাম। আমার বয়স যখন ছয়, তখন আমাদের পাশের বাসার শফিক মামা আমাদের ঘরে ঢুকেছিলেন, সেই ভয়াল দিনের কথা মনে পরলে, আজও শরীর কেঁপে উঠে। সেই দিন সে আমাকে বিবস্ত করেছিল প্রথম। এরপর মাঝে মাঝে সে আসত। কিন্তু আমি কাউকে ভয়ে বলি নি। সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল, সেই বাচ্চা বয়ছে যা আমার জন্য একটা মারাত্রক মানসিক চাপ ছিল। এরপর শফিক মামা আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ায় মনে মনে অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন আমার জীবনে শয় নি। আমি যখন ক্লাস সেভেনে পরি, নারীত্ব যখন প্রথম প্রথম অল্প কিছু বুঝি, সেই সময় আমাদের বাসার বাড়ীওয়ালা, আমাদের বাসা ভাড়া চাওয়ার নাম করে আমাদের বাসায় ঢুকে পরেছিল। সেইদিন সেই পিচাশের হাত আমার দেহকে ক্ষত-বিক্ষত করেছিল। অল্প বয়েসে কিশোরী মন আমার তখন কি রকম করছিল, তা আমি লিখে বুঝাতে পারব না। আমি আমার মায়ের দুঃখের দিকে তাকিয়ে কখনো মাকে সেই সব কথা কখনো বলি নাই। পড়ালেখায় খুব ভাল না থাকলে মোটামুটি ভাল ছিলাম। সেই দিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, অনেক শিক্ষিত হয়ে আমার জীবনের সব কাল দিন গুলি মুছে ফেলব। আমার মা খুব শিক্ষিত হলে হয়তো এই সব দিক আমাকে দেখতে হত না।
এখন আমি ঢাকার এক নামকরা কলজে ইংরেজিতে অনার্স থার্ড ইয়ারে পরি। আমার লেখাপড়া এবং খাওয়া থাকার খরচ পুরাটা মা চালাতে পারে না। অনেক টিউশনি খুঁজেছিলাম, কিন্তু পরিচিত কোন লিংক না থাকলে এই শহরে কোন কিছুই পাওয়া যায় না। এক বড় আপুর পরামর্শে আমার এই খারাপ জগতে আসা। সপ্তাহে এক দুই দিন আমি টাকার বিনিময়ে আমি অন্যের দেহ সঙ্গী হই। তাদের সেই বিশ্রী কার্যক্রম সব আমার মুখ বুঝে সহ্য করতে হয়। মাঝে মাঝে তাদের মুখের ভাষা আমার দেহের ক্ষত-বিক্ষতকে হার মানায়। হাজারও মানুষ আমার নগ্ন দেহকে দেখেছে, আমার দেহর প্রতিটি জায়গায় সমাজের সেই সব হাতের ছাপ কিলবিল করে। আমি প্রতিদিন সাবান দিয়ে আমার দেহ পরিষ্কার করার চেষ্টা করি কিন্তু মনে হয় প্রতিটি সময় আমার দেহের আপত্তিকর জায়গায় কে যেন আঙ্গুল বুলিয়ে যাচ্ছে.........।
আমি আর পারছি না, আর পারছি না........................।

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×