সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা ধাই-ধাই করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশে প্রতি মিনিটে ৬জন করে নুতন ব্যবহারকারি যোগ হচ্ছে ফেসবুকে!
ক্রিকেটার নাসিরের মত আমরাও যারা ফেসবুকটা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে থাকি প্রত্যকেের বিব্রত হবার ইতিহাস আছে। আসল সমস্যাটা হল আমাদের মূল্যবোধ এবং যথেচ্ছো ব্যবহারের ফল। আমি গত ৫বছর যাবৎ ফেসবুক ব্যবহার করে আসছি, যেটা দেখেছি সেটা হল কিছু বিকৃতমনা মানুষ এটাকে পর্নসাইটের মত ব্যবহার করে তারা এটা করে হয়ত জেনে বা না জেনে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ফেসবুকে প্রতিটা পোষ্টে লাইক, কমান্ড, এবং শেয়ার করার আপশন থাকে। আর্থাৎ ঐ পোষ্টের বিষয়ভিত্তিক ভালোলাগা, মন্দলাগা আপনি জানাতেন পারেন এবং তা আবশ্যয় শালিন ভাষায় কারন এটা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। সমাজে যেমন আশালিন জিনিস শোভনিয় না এখানেও ঠিক তাই। এটাই সবাই হয়ত ভুলে যায় আথবা তারা সামাজিক শিষ্টাচার জানেনা।
আমি উদ্বেগের সাথে লহ্ম্য করি, এক শ্রেনীর মানুষ ফেসবুকে একাউন্টে ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করে, এমনকি ছদ্মনাম ব্যবহার করে একাউন্ট খুলে বিভিন্ন আশালীন এবং বিকৃত কর্মকান্ড করে পরিবেশ নষ্ট করে।
আরও বেশি আবাক হই নিউজ পোর্টাল হতে প্রাপ্ত খবরের কমান্ড আপশনে গেলে! এখানে বিষয় ভিত্তিক কমান্ডের চেয়ে, বাংলা গালাগাল, নিজের বিজ্ঞাপন, বন্ধু হবার আহবান, এমন কি ফোন সেক্সের বিজ্ঞাপন! সত্যি বিচিত্র এ দেশ, সেলুকাস!
নাসির তার ফ্যান পেজে ছোটবোনের সাথে একটা সেলফি দিয়েছিল, তার জন্য যে বিব্রত তাকে হতে হয়েছে তার জন্য আমরা লজ্জিত। তাই বলে কি আমরা আমাদের সামাজিক আনুভুতি প্রকাশ করব না? না করবনা, বিকৃত রুচির মানুষের যেখানে আনাগোনা সেখানে নিজেকে নিজে রহ্মা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। মাশরাফির সাথে আমি একমত " যেখানে মানুষ সন্মান দিতে জানেনা দরকার নেই সেখানে থাকার"।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩১