somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি কেন পেদানি খেলাম :(

১৭ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি তখন ক্লাস ত্রি এ পড়ি। ক্লাস ওয়ান ঢাকা পড়েছিলাম। ক্লাস টু পড়িনি :(
ক্লাস ত্রি গ্রামের এক স্কুল এ ভর্তি হ্ই। ঐ স্কুলে আমার এক আপা ( ফুফাত বোন) টিচার ছিলেন। তাই আম্মা আমাকে ঐ স্কুল এ দিসিলেন। ওটার ও কাহিনী আছে। আমি গ্রাম এর স্কুল এ যেতে চাইতাম নাহ। তাও ক্লাস রুম এ বাসতাম নাহ। কান্না করতাম।
তাই আপার সাথে অফিস রুম এ বসতাম। যখন যেই টিচার ক্লাস এ যেতেন তাঁর সাথে ক্লাসে যেতাম। পিকুলিআর কান্ড, মনে পড়লে হাসি পায় খুব।স্কুল এ কোন ড্রেস ছিল নাহ, আমি আগের স্কুল এর ড্রেস এবং কেডস পড়ে স্কুল এ যেতাম। তাই ক্লাস এর ছেলেরা আমাকে বেইলি কেডস ডাকত।আমি খুব মন খারাপ করতাম। :(

ঐ স্কুল এর ছেলেমেয়ে গুলা তেমন পড়াশুনা করত নাহ। সবাই দেখা যেত সারাদিন মাটে কাজ করছে, আর স্কুল এর সময় হলে স্কুলে আসে। বাসায় গিয়ে আর পড়ত না। কিন্তু আমি সব পাড়তাম। টিচার পড়ানোর আগে আম্মা আমাকে সব পড়িয়ে ফেলতেন। ইংলিশ ও ভালো পাড়তাম। তাই ক্লাস এর ছেলে-মেয়েরা আমার কাছ থেকে অনেক কিছু দেখিয়ে নিত। আমার এক বান্ধবী ছিল, সে ও সব পড়া পারত। স্কুলে অনেকদিন হয়ে গেলো। এখন মাঝে মাঝে টিচার না থাকলে ও ক্লাস এ বসি। আমার সাথে একটা নেইলকাটার থাকতো, কেন জানি ওটা খুব ভাল লাগত আমার, মামা এনেছিলো বাইরে থেকে। তো একদিন এক ছেলে আমাকে বলল, তোমার সাথে কথা আছে, টিফিনের পরে স্কুল এর পিছনে থেক( আন্চলিক ভাষায়)। আমি ভাবলাম, আমার কাছে থেকে হোম ওয়ার্ক গুলা দেখে নিবে।

টিফিন এর পরে দেখা করলাম..ওমা সে আমাকে বলে কি .."আঁই তোরে বিয়া গইজ্জইম". মানে "আমি তোমাকে বিয়ে করব"...
আমি নেইল কাটার এর ছুরি দেখিয়ে বললাম..."তোর ফেডদি ছুরি ঢুকাই দিয়ম".
মানে "তো পেটে ছুরি ঢুকাই দিব"....
ঐ চেলের নাম ছিল মঁয়ুর
এর পর সে অনেক ভয় পাইছে। আর স্কুলে আসে নাহ।
আমি এটা আমার বান্ধবী পলিন কে বললাম। ও বলল কাউকে বলার দরকার নাই, কেউ জানলে আমাদেরকে মারবে। আমি আম্মাকে বলতে চাইলাম, ও নিষেধ করলো।ক্লাস ফাইভ এ পড়ত আমার এক প্রতিবেশি ছিল, নাম মামুন, সে আবার একটু কাবিল টাইপস।পলিন এইবার এই কাহিনী মামুন কে বলে দিল। আর মামুন বাড়িতে এসে সাবইকে বলল। আম্মাকে ও বলল।আমার অই টিচার আপাকেও বলল। আরো বলল সে নাকি আমাকে ময়ুরের হাত থেকে বাচাইছে।কি হাস্যকর।

আপা তো পরদিন গিয়ে আমার ক্লাস টিচারকে বলল। সেদিন ময়ুর ও আসলো। ক্লাস টিচার এই গহটনার কথা ক্লাসের সব ছেলেকে জিগাসা করল। সবাই চুপ। এক ছেলে আবার বলল, সব ছেলে এটা এ জরিত। আমিত কিছুই বুঝতে পারছিলামনা। টিচার ৪/৫ টা বেত এনে সবাইকে মারলো।
অই ৪/৫ বেত ভেংগেও গেল, শুধু দুইজান ছাত্রকে মারেনি...কারন তারা সেদিন স্কুল এ আসেনি।

সবশেষে এসে আমাকে আর পলিনকে ও হাতে ২ করে বেতের বারি দিল,আমরা কেন টিচার কে জানাইনি তাই। আমি কখনো হাতে বেতের বারি খাইনি...আমি ত অনেক কাদলাম। কিন্তু কেউ দেখি এত মাইর খেয়েও কাঁদল না।

আমি এখনো বুঝলাম না সেদিন ক্লাস এর সবাইকে কে টিচার মারল, আমাকেই বা কেন মারল?

আমি ত মাইর খেয়ে অই ছেলের উপর রাগ বেড়ে গেল। ময়ুর মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ের সামনে দিয়ে যেত।একদিন তাকে দেখলাম.।যাচ্ছে...একটা লাটি নিয়ে মাইর দিলাম....বললাম আর কনদিন এই দিক দিয়ে যাবি নাহ।
তার ও কিছুদিন পরে বৃষ্টির দিনে আবার তাকে দেখলাম..আমাদের বড়ির সামনে দিয়ে যেতে, ছাতা নিয়ে। সাথে আমার আর এক ফ্রেন্ড ছিল। দুইজন মিলে ছাতা কেড়ে নিলাম..তারপর ছাতা নিয়েই তার পায়ে মাইর দিলাম। তখন অবশ্য আমি অই স্কুলে পড়তাম নাহ।তার ছাতা টা নিয়ে পানিতে ফেলে দিছিলাম :)



[আমি অনেক কষ্ট করে লিখলাম, বাংলা লিখা, কষ্ট। আর ভাল লিখতেও পারি নাহ,তাই অগোছালো।]
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:২৮
১৯টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাস বিজয় উৎসব শুরু করেছে, ইসরায়েল বলছে, "না"

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮



গতকাল অবধি হামাস যুদ্ধবিরতী মেনে নেয়নি; আজ সকালে রাফাতে কয়েকটা বোমা পড়েছে ও মানুষ উত্তর পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। আজকে , জেরুসালেম সময় সন্ধ্যা ৮:০০টার দিকে হামাস ঘোষণা করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×