আজ আপনাদের নতুন একটি তথাকথিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। আপনারা হয়তো ভাবছেন হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ ইত্যাদির মতো গণতান্ত্রিক আন্দোলন (!) থাকতে আমি আবার কি আন্দোলনের কথা বলছি? হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ এগুলো আমাদের নিকট অতিপরিচিত শব্দ, প্রতিদিন এই সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে আমরা তথা সাধারণ মানুষের অবস্থা অনেকটা মরিচের মতো। ব্যাথা পাচ্ছি কিন্তু কিছু বলতে পারছি না, কারণ আমরাতো গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি। আর এগুলোতো আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার!!! এতদিন আমরা দেখে আসছি আমাদের মহান রাজনৈতিক দলগুলো কখন আমদের হরতাল উপহার দিচ্ছেন, আবার কখনোবা অবরোধ বা অসহযোগ। কিন্তু আমরা কি কখনো দেখেছি হরতাল ও অবরোধ একসাথে চলছে? মনে হয়না!!! তবে আমদের মহান রাজনৈতিক দলগুলো আমদের সেটাও উপহার দিয়েছে আজ। গতকাল থেকে গণতন্ত্র রক্ষার (!!!) জন্য বিরোধীদলের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলছে। আজ আবার ওনারা মনে করেছেন এতেও মনে হয় হচ্ছে না, তাই তারা আগামীকাল থেকে দুই দিনের হরতাল কর্মসূচি ঘোষনা করেছে। কি চমত্কার, হরতাল আর অবরোধ একসাথে। গুরু জেমসের ভাষায় বলতে হয় " দে দে তালি, দে তালি". কিন্তু দুঃখজনক ভাবে ওনারা এই নতুন আবিস্কারের কোন নাম দিলেন না, আমি ভাবলাম এই সুযোগটা নেয়া যায়। বাংলা শব্দ ভান্ডারে নতুন একটি শব্দ যোগ করে নিজের নাম সবার কাছে পরিচিত করে তোলার এটাই মোক্ষম সুযোগ!!! তাই সুযোগটা নিলাম (সবাই আমাকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দিত করুন, পরে কিন্তু পস্তাবেন)।
যাই হোক আমার আবিস্কৃত নতুন শব্দ টি হলো "অবতাল".
অবরোধ + হরতাল = অবতাল
আমরা জানি অবরোধে গাড়ি চলতে পারে না কিন্তু অফিস আদালত খোলা থাকতে পারে। অন্য দিকে হরতালে গাড়িও চলতে পারবে না, অফিস আদালতও খুলতে পারবে না। আর অবতাল হলো সেই আন্দোলন যখন গাড়ি, অফিস আদালততো বন্ধ থাকবেই সাথে অন্য সব কিছু বন্ধ থাকবে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবে মরাও যাবে না, মরতে হলে আপনাকে হয় পুড়ে মরতে হবে, না হলে গুলি খেয়ে মরতে হবে। অর্থাৎ স্বাভাবিক মৃত্যু বন্ধ! উপরি হিসেবে খাওয়া দাওয়াও বন্ধ, এমনকি হাগাও বন্ধ(শব্দটি ব্যবহারের জন্য দুক্ষিত)।
শুধু মাত্র সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এই আন্দোলনের সময় সবাই বাসায় থেকে যত খুশি তত সন্তান জন্ম দিতে পারবে।
সবাই ভালো থাকবেন আর অবতালকে সফল করবেন
জয় অবতাল জয়
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২১