আজকে খুব ব্যস্ত একটা দিন কাটিয়েছি। তাই সারাদিন পেপারটাও পড়তে পারিনি। একটু আগে বাসায় ফিরে খেয়ে দেয়ে আরাম করে বসে পেপারটা পড়া শুরু করলাম। প্রথম পেজে একটা খবর দেখে মাথাটা খারাপ হয়ে গেল.....................এও কি সম্ভব!
ঘটনাস্থল- চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ (উত্তর) ইউনিয়নের কাপাইকাপ গ্রাম। কাপাইকাপ মাদ্রাসার আরবির শিক্ষক আবদুল জলিল গ্রামের বকাউলবাড়িতে জায়গির থাকতেন। সকাল বেলায় বাড়ির কাচারিঘরে তিনি মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতেন। গত বছরের ৩রা আগস্ট অন্য ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে জলিল ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কথা আছে বলে বসিয়ে রাখেন। অন্যরা চলে যাওয়ার পর জলিল ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। এরপর মেয়েটি আর তার কাছে পড়তে যেতে রাজি হয়নি।
ক্লাস সিক্সে পড়া একটা মেয়ে, সে কতটুকুই বা বোঝে! সরলতার সুযোগে তার সাথে তার শ্রদ্ধেয়(!) শিক্ষক যে এমন জঘন্য একটা কাজ করবে তা কি সে ভাবতে পেরেছিল। উল্লেখ্য এই শিক্ষকের(!) বয়স ৬০ বছ। উপরের ছবিটা ঐ শিক্ষকের(!)
মেয়েটি এই ঘটনাটা কাউকেই জানায় নি। কিন্তু পরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ডাক্তারের কাছে নেয়া হ্য় এবং ডাক্তার জানান যে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। এরপর মেয়েটি সব ঘটনা খুলে বলে।
পুরো ঘটনা পড়ার পর যে কোন মানুষের মেজাজ হারিয়ে ফেলার কথা।
এমন ঘটনা আমাদের দেশে এই প্রথম না। সামাজিক মর্যাদায় পিছিয়ে থাকার কারণে মেয়েরাই এমন ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়। বলা হ্য় মেয়েরা পুরুষদের প্রলুব্ধ (!) করেছে। কিন্তু এই শিশুটি নিশ্চয়ই বুড়াটারে প্রলুব্ধ করে নাই। এইসব ধর্মীয় বেশধারী হারামজাদাদের বিচার হবে কবে?
পুরো ঘটনা পড়ুন
আপডেট দেখুন
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৪৯