অনেকে মনে করেন যে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানীরা কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের হত্যা করতে এসেছিলো, এবং এটার একটা অবিচল প্রমান বহন করছে এই ছবিটা
এই ছবিটা, যেটা দিয়ে দেখানো হয়েছে একজন সৈন্য সাধারন মানুষের খাতনা হয়েছে কিনা তা দেখছে, তাদের কে বলছি, পাকিস্তানিরা শেষের দিকে কোন নির্দিষ্ট ধর্মের লোককে হত্যা করার জন্য গুলি চালায় নি, যাকে পেয়েছে তাকেই মেরেছে, যুদ্বটা ছিলো সব বাংগালীর অধিকার আদায়ের সংগ্রাম।
যাহোক ছবিটার কথায় আসি,
ছবিটি তুলে ছিলো ভারতীয় ফটোগ্রাফার ''কিশোর পারেখ'', পরে তিনি ছবিটি তার
''বাংলাদেশ এ ব্রুটাল বার্থ'' নামে বইয়ে প্রকাশ করেন।
এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় কিছু সৈন্যের হাতে ধরা পরা কিছু রাজাকার কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, এখানের ১,২,৩ লেখা জায়গাটা খেয়াল করুন,
এবার দেখুন এই ছবিটায় দেখুন ১,২,৩ লেখা জায়গার সাথে মিলিয়ে দেখুন, তাহলেই বুঝবেন সৈন্যটি খাতনা নয় অস্র আছে কিনা তা চেক করছে। এটিই ছবিটার আসল সাইজ।
ভারতীয় ফটোগ্রাফার ''কিশোর পারেখ'' ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দু-মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য মুল ছবিটির নিচে বিবৃতির জায়গায় এই কথাটি লিখেন....
যা আজ পর্যন্ত অনেক হিন্দুদের খেপিয়ে তুলছে। এটা স্বাভাবিক। তবে সত্য সবারই জানা উচিত। আমরা পাকি জারজ এবং তাদের দোসরদের বিচার চাই কিন্তু কোনো সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ চাইনা।
অনেকে ভাবতে পারেন ছবিটি ভারতীয় সৈন্যের প্রমান করে পাকিদের সাফাই গাইছি, তারা ভুল ভাববেন। একটি সত্যকে তুলে ধরে সাম্প্রদায়িক হিংসা রোধ করার জন্যই আমার এই চেষ্টা। কারন অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকই এই ছবি দেখে ক্ষুব্ধ। পাকিস্তানি হানাদাররা মানুষের জাত ছিলোনা, তারা অমানুষ। এদেশের প্রত্যেকটি যুদ্ধপরাধির ন্যায়বিচার চাই।
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ ''মেংগো পিপোল''