বিএনপি'র নেত্রী খালেদা জিয়া ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পর এই প্রবাদের কথা মনে পড়ল। এর আগে খালেদা জিয়া ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জীর সাথে সাক্ষাত করতে যাননি। এখন তিনি ভারতের যেকোনো কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে উদগ্রীব। খালেদার মনে এই পরিবর্তন দেখে বলতে হয় সেই তো গেলি তবে কেনো লোক হাসালি। ভেবেছিলাম আজ খালেদা জিয়া সুষমা স্বরাজের কাছে গিয়ে ফেলানির কথা বলবেন, তিস্তার কথা বলবেন, বিএসএফের বাংলাদেশি ধরে নিয়ে যাবার ও তাদের গরু বাছুর নিয়ে যাবার নালিশ জানাবেন। সারা বছর প্রেস ক্লাবে ও বিভিন্ন সেমিনারে বিএনপি'র নেতা মন্ত্রীদের এসব বলতেই শুনি। তাই এমন ধারণা। কিন্তু কই সুষমা স্বরাজের কাছে এসব কিছুই বলেননি খালেদা ও তার চামচারা।
ময়দানে ভারত বিরোধি রাজনীতি আর সাক্ষাতে অন্যসুর। এই রাজনীতির মানে কি? বিএনপি'র তেনা মন্ত্রীরাও গিয়েছিলেন সুষমার সাথে দেখা করতে। কই তারাও কিছু বললেন না। এদিকে শেখ হাসিনার সাথে সুষমার সাক্ষাতে ভেবেছিলাম শেখ হাসিনা মদিনা সনদের কথা বলবে, গুজরাটে মুসলিম নিধনের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে কসাই যে আর বলা হবে না সেটা স্মরণ করিয়ে দিবেন। কই গুজরাটের মুসলমানদের জন্য শেখ হাসিনা কিছুই বললেন না। শেখ হাসিনা বহু চেষ্টা করেছিলেন সুষমা যেনো খালেদার সাথে সাক্ষাত না করেন। কিন্তু ভারতীয়রা এতো বোকা মনে হয় না। সুষমা ঠিকই খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করলেন। কংগ্রেসের মত একচেটিয়া সমর্থন যে হাম্বালীগ পাচ্ছে না। এটা এখন দিনের আলোর মত পরিস্কার। একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতি নিয়ে ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চায়। সুষমা স্বরাজের এই সফরে বিএনপি চাইছে এই সরকারের পতন ঠেকাতে ভারত যেন সাহায্য না করে। যেটা বিগত কংগ্রেস সরকার করেছে। বিজেপি সেই বার্তা বিএনপিকে দিলো কিনা। কে জানে। সময় বলে দিবে আগামীতের ভারতের নতুন সরকার আওয়ামীলীগকে সমর্থন করে কিনা।