বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ফতোয়াকে স্বীকৃতি দিলেও ভারতের সর্বোচ্চ আদালত ফতোয়াকে বেআইনি ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও ফতোয়াবাজিকে আইনি স্বীকৃতি দিল। অন্যদিকে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মতই ফতোয়াবাজিকে বিচার বর্হিভূত কাজ বলে মনে করে।
খবরে জানা যায়, কশ্মিরের মুজাফফরনগরের একটি ঘটনা, যেখানে শ্বশুরের কাছে ধর্ষিত হওয়ার পর স্বামীকে সন্তান হিসেবে মেনে নিতে ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল। যার বিরুদ্ধে অ্যাডভোকেট বিশ্ব লোচন মদন একটি মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টে। সে মামলা চলাকালীন সময়ে আদালত ফতোয়াকে বেআইনী ঘোষণা করেন।
সুপ্রিম কোট আরো বলে, ব্যক্তিগত ব্যাপারে ফতোয়ার মতো ধর্মভিত্তিক মত চাপিয়ে দেওয়া অনৈতিক। তাছাড়া এটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।' সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রমৌলি কে প্রসাদ এবঙ পিনাকি চন্দ্র ঘোষের বেঞ্চ ফতোয়ার বিরুদ্ধে আরও বলেন, মোঘল বা বৃটিশ শাসনামলে ফতোয়া কী ছিল না ছিল সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো স্বাধীন ভারতে এসব চলবে না।' সূত্র দৈনিক ইত্তেফাক